আগুনে পুড়ে দোকান ঘরের শেষ চিহ্নটুকুও আর নেই। যেখানটায় দোকান ঘর ছিল তার এক কোনায় পড়ে আছে আধা পোড়া কিছু টিন আর সিমেন্টের তৈরি পালা। এর পাশেই ছড়িয়ে-ছিটিয়ে রয়েছে পাঁচ, দশ ও এক শ টাকার কয়েকটি ঝলসানো নোট। পোড়া ঘরের মধ্যে নির্বাক দাঁড়িয়ে আছেন ক্ষুদ্র ব্যাবসায়ী মোহাম্মদ করিম মন্ডল (৬৪)। গভীর রাতের আগুনে পুড়ে গেছে তাঁর সর্বস্ব। বয়সের ভারে দিনমুজুরের কাজ করতে না পারায় আত্মীয় স্বজন আর এনজিও থেকে ঋন নিয়ে শুরু করেছিলেন এই ব্যাবসা প্রতিষ্ঠান। সব হারিয়ে এখন নিঃস্ব তিনি।
মঙ্গলবার (২২ ফেব্রুয়ারী) গভীর রাতে মতলব উত্তরে পুরে যাওয়া দোকান মালিক করিম মন্ডলের কথা। তার সাথে কথা হলে তিনি বলেন, ২২ ফেব্রুয়ারী গভীর রাতে বিদ্যুতের গোলযোগের কারনে আগুন লেগে পুড়ে যায় দোকান ঘর। কোনো জিনিস ব্যবহার করার মতো অবস্থায় নেই। তবু খুঁজে খুঁজে কিছু জিনিস সংগ্রহ করেন। আগুনে পুড়ে গেছে পুরো দোকান ঘর। ফ্রিজ,বৈদ্যুতিক পাখা, বাকী খাতা, সেলাই মেশিন টিভিসহ মুদি মালামাল মিলিয়ে এখানে ৪ লাখ টাকার ক্ষতি হয়েছে। একটি বস্তুও আগুন থেকে রক্ষা পায়নি।
তিনি আরও বলেন, বয়সের কারনে যখন ভারিকাজ করতে পারছিনা তখনই সিদ্ধান্ত নেই দোকান দেওয়ার জন্য। স্ত্রী আর ২ সন্তানদের নিয়ে কোন রকম দিন যাপন করে আসছিলাম। দোকান ঘর আর মালামাল কিনতে সময় লেগেছে কয়েক মাস। আত্মীয়দের থেকে ধার আর এনজিও থেকে ঋন দিয়েই ঘরে উঠেছিল এ স্বপ্নের দোকানঘর। আর স্ত্রীর নাম অনুসারে নাম করন করা হয়েছিল কাজলী স্টোর। স্বপ্ন ছিল ব্যাবসা করে স্ত্রী আর সন্তানদের নিয়ে সুখে দিন কাটাবো। কিন্তু নিমিশেই সেই স্বপ্ন কেরে নিল আগুন। আমার দোকান ঘর পুড়ে গেলেও ‘প্রশাসনের পক্ষ থেকে কোন রকমের সহযোগীতা পাইনি।