শিরোনাম
খাদ্য ও পুষ্টি নিরাপত্তা নিশ্চিতে প্রধানমন্ত্রীর গুরুত্বারোপ মন্ত্রী-এমপি’র স্বজনদের উপজেলা নির্বাচন থেকে সরে দাঁড়ানোর নির্দেশ শহীদ ও মুক্তিযোদ্ধা পরিবারের সম্মানি বৃদ্ধির প্রস্তাব বিবেচনাধীন প্রতীক বরাদ্দের আগেই ডিজিটাল মিডিয়ায় প্রচারণা চালানো যাবে: ইসি লিটারে সয়াবিনের দাম বাড়লো ৪ টাকা, কমলো খোলায় বিমানবন্দরে প্রবাসীদের জন্য সেবা বৃদ্ধি পেয়েছে: দীপু মনি বাংলাদেশে গ্রিসের দূতাবাস হচ্ছে: পররাষ্ট্রমন্ত্রী রোনালদোর পাওনা ১১৪ কোটি টাকা দিতে জুভেন্টাসকে নির্দেশ আদালতে হাজির হতে পরীমণিকে সমন জারি স্বাস্থ্যসেবায় দেশ-বিদেশে বাংলাদেশের ভাবমূর্তি উজ্জ্বল করেছে : রাষ্ট্রপতি সংবাদপত্র বন্ধ থাকবে ৯-১৪ এপ্রিল আবারও বাড়লো স্বর্ণের দাম ঈদের চাঁদ দেখার আহ্বান সৌদি আরবের আজ পবিত্র শবে কদর চাঁদপুরে ৯০ কেজি জাটকা সহ গ্রেফতার ১
শনিবার, ২৭ এপ্রিল ২০২৪, ০৯:২৩ পূর্বাহ্ন

সামাজিক নিরাপত্তা

সম্পাদকীয় / ২৩৪ বার এই সংবাদটি পড়া হয়েছে
প্রকাশের সময় : বুধবার, ১২ মে, ২০২১

সামাজিক নিরাপত্তা কর্মসূচির আওতায় ৮৮ লাখ ৫০ হাজার সুবিধাবঞ্চিত মানুষকে ভাতা দিয়ে থাকে সমাজকল্যাণ মন্ত্রণালয়। আমরা জানি, সুবিধাবঞ্চিত মানুষের প্রকৃত সংখ্যা এর চেয়ে অনেক বেশি, আর যে টাকাটা তাঁদের দেওয়া হয়, তা প্রয়োজনের তুলনায় অনেক কম। তারপরও এই সামান্য সাহায্য এসব মানুষের জন্য অনেক কিছু। এসব ভাতাগ্রহীতার কেউ অতি বৃদ্ধ, তিন কুলে তাঁকে দেখার কেউ নেই; কেউ অসহায় বিধবা, সন্তানও হয়তো যাঁকে পুছে না; কেউ হয়তো স্বামী পরিত্যক্ত, শ্বশুর বা বাপের বাড়ি কোথাও যাঁর ঠাঁই নাই; কিংবা প্রতিবন্ধী কোনো মানুষ, এই টাকাটাই যাঁর বাঁচার একমাত্র অবলম্বন।

এই শ্রেণির মানুষের জন্য এক মাস ভাতা বন্ধ থাকাও জীবন অচল হওয়ার শামিল। সেখানে ছয় মাস ধরে বন্ধ ছিল ভাতা। আর এমন এক সময়ে বন্ধ ছিল, যখন সুস্থ–সমর্থ উপার্জনক্ষম মানুষেরই চলা দায়। করোনায় চাকরি হারিয়ে, ব্যবসা বন্ধ করে বা আয়-রোজগার কমে তাঁদেরই অবস্থা যেখানে টলমল, সেখানে এই মানুষগুলো কীভাবে পার করছে দুঃসময়? যখন টাকাটা তাঁদের সবচেয়ে দরকার, তখনই কেন বন্ধ হলো ভাতা?

সুখের কথা, এপ্রিলের শেষ থেকে আবার ভাতা দেওয়া শুরু হয়েছে। ৯ মে পর্যন্ত ৫০ লাখ ভাতাভোগীর ইলেকট্রনিক ফান্ড ট্রান্সফার হয়েছে। পর্যায়ক্রমে সব ভাতাভোগীই অক্টোবর থেকে মার্চ পর্যন্ত ছয় মাসের টাকা পাবেন। সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিরা বলছেন, দীর্ঘ মেয়াদে এই ডিজিটাল অ্যাকাউন্ট ব্যবস্থার সুফল সুবিধাভোগীরাই পাবেন। আমাদেরও চাওয়া, এই ব্যবস্থায় মধ্যস্বত্বভোগীদের দৌরাত্ম্য বন্ধ হবে। তালিকাটা নিয়মিত হালনাগাদ রাখা হবে, কেউ মারা গেলে তাঁর নাম বাদ যাবে, ঢুকবে নতুন নতুন প্রকৃত দাবিদারের নাম। প্রযুক্তি অদক্ষতার সুযোগ নিয়ে কেউ তাঁদের বঞ্চিত করবে না। আর করলে দায়ীদের কঠোর শাস্তির ব্যবস্থা করা হবে।


আপনার মতামত লিখুন :

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এই ক্যাটাগরির আরো সংবাদ