ভেনিজুয়েলার ১৯ জন জ্যেষ্ঠ কর্মকর্তা, আইনপ্রণেতা ও সেনা সদস্যের বিরুদ্ধে নিষেধাজ্ঞা দিয়েছে ইউরোপীয় ইউনিয়ন।
নির্বাচনী কারচুপির অভিযোগে সোমবার এ নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়।
এসব কর্মকর্তার বিরুদ্ধে গত বছরের ডিসেম্বরে অনুষ্ঠিত নির্বাচনে প্রেসিডেন্ট নিকোলাস মাদুরোর পক্ষে নির্বাচনে কারচুপির অভিযোগ আনা হয়।
নতুন নিষেধাজ্ঞার ফলে ইউরোপিয়ান ইউনিয়নের নিষেধাজ্ঞার তালিকায় মোট ৫৫ জনের নাম উঠল। এর আগেও ভেনেজুয়েলার বেশ কিছু কর্মকর্তার বিরুদ্ধে নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়েছে।
বিরোধী দলগুলোর বর্জন সত্ত্বেও গত বছরের ডিসেম্বরে অনুষ্ঠিত নির্বাচনে মাদুরোর মিত্ররা প্রায় সব আসনেই জয় পান।
এর মাধ্যমে ক্ষমতাসীন সমাজবাদী প্রেসিডেন্ট নিকোলাস মাদুরো আরও অবস্থান সুদৃঢ় করেন।
২০১৯ সালের জানুয়ারিতে মাদুরোর কর্তৃত্বকে চ্যালেঞ্জ জানিয়ে নিজেকে ভারপ্রাপ্ত প্রেসিডেন্ট হিসেবে ঘোষণা করেন এবং ২০১৮ সালের পুর্ননির্বাচনে মাদুরোর বিরুদ্ধে ভোট কারচুপির অভিযোগ আনেন গুয়াইদো।
মাদুরো নিয়ন্ত্রিত সুপ্রিম কোর্ট কর্তৃক নির্বাচনী কর্মকর্তাদের নিয়োগের পরে স্বচ্ছতার ঘাটতির অভিযোগ এনে প্রধান বিরোধীদলীয় নেতা গুয়াইদো ৬ ডিসেম্বরের নির্বাচন বয়কটের ঘোষণা দিয়েছেন।
প্রায় ৩৭টি বিরোধী দল এই নির্বাচন বয়কটকে সমর্থন দিয়েছে এবং মাদুরোর স্বৈরশাসনের বিরুদ্ধে ঐক্যবদ্ধ হয়েছে। তবে কয়েকজন বিরোধী রাজনৈতিক নেতা নির্বাচনে অংশ নেয়ার পক্ষে অবস্থান নিয়েছেন।
দুই বছর ধরেই যুক্তরাষ্ট্রের পাশাপাশি ইইউ মাদুরোর ওপর নানা নিষেধাজ্ঞা জারি করে আসছে। তাদের যুক্তি, ২০১৮ সালের প্রেসিডেন্ট পুনর্নির্বাচন ছিল লজ্জাজনক।