সান্তোস ছিল পেলের ঘরের মতো। ১৯৫৬ থেকে ১৯৭৪- দীর্ঘ ১৮ বছর ব্রাজিলিয়ান ক্লাবটিতে খেলেছেন তিনি। প্রাণের ক্লাব ছেড়ে যাননি কোথাও। খেলেছেন, জিতেছেন, করেছেন উল্লাস। পুরোনো সেই দিনের কথাগুলো মনে পড়ে গেল পেলের। আর তা মনে করিয়ে দিলেন মেসি।
ভ্যালেন্সিয়ার বিপক্ষে গোল করে এক ক্লাবের হয়ে সবচেয়ে বেশি গোল করা পেলেকে ছুঁয়ে ফেলেন লিওনেল মেসি। সান্তোসের হয়ে পেলে করেছিলেন ৬৪৩ গোল। এখন বার্সার হয়ে মেসিরও গোল ৬৪৩। এমন ঐতিহাসিক রেকর্ডের দিনে চুপ থাকতে পারেননি পেলে। তার পাশে বসা মেসিকে জানিয়েছেন অভিনন্দন।
ম্যাচের পর তাৎক্ষণিক এক বার্তায় ব্রাজিলিয়ান কিংবদন্তি বলেন, ‘হৃদয় যখন ভালোবাসায় পরিপূর্ণ হয়ে যায় তখন ঠিকানা পরিবর্তন করাটা কঠিন। তোমার মতো আমিও ভালো করে জানি, প্রতিদিন একই জার্সি পরার মর্মটা কী। যেটাকে আমরা ঘর মনে করি, তার চেয়ে ভালো কিছু আর হতে পারে না। ঐতিহাসিক এই রেকর্ডের জন্য তোমাকে অভিনন্দন, লিওনেল।’
আধুনিক ফুটবলে এক ক্লাবে লম্বা সময় ধরে থাকা আসলেই দেখা যায় কম। যেখানে মেসি পুরোই ব্যতিক্রম। সেই শৈশব থেকে বার্সার জার্সি আঁকড়ে দেখেছেন বড় ফুটবলার হওয়ার স্বপ্ন। এই অনুভূতি নিঃসন্দেহে পেলেই ভালো বোঝেন।
ব্রাজিলের হয়ে তিন বিশ্বকাপজয়ী এই সুপারস্টারের কথায় তা পরিষ্কার, ‘সবার আগে বার্সেলোনায় তোমার অসাধারণ এই ক্যারিয়ারের জন্য অভিনন্দন। আমাদের মতো এত লম্বা সময় ধরে একই ক্লাবকে ভালোবেসে যাওয়ার গল্প ফুটবলে কমে আসছে। আমি তোমার এই দিকটির প্রশংসা করি, লিও।’
মেসির রেকর্ডের দিনে বাজে এক রেকর্ড গড়েছে বার্সেলোনা। চলতি মৌসুমে কর্নার থেকে উড়ে আসা বলগুলো যেন তীরের মতো বিঁধেছে বার্সার জালে। ভ্যালেন্সিয়ার বিপক্ষে ২-২ গোলে ড্রর ম্যাচেও কর্নার থেকো গোল খেয়েছে তারা। গড়েছে চলতি মৌসুমে কর্নার থেকে সবচেয়ে বেশি গোল হজম করার রেকর্ডও।