রাজনৈতিক পরিচয়ে অপরাধ করার সুযোগ আওয়ামী লীগে নেই জানিয়ে দলের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের বলেছেন, দল কখনো কোনো অপরাধীকে রক্ষার ঢাল হবে না।
বৃহস্পতিবার (২৬ নভেম্বর) রাজধানীর সংসদ ভবন এলাকায় নিজের সরকারি বাসভবনে এক সংবাদ সম্মেলনে এ কথা বলেন তিনি।
আওয়ামী লীগে অভ্যন্তরীণ গণতন্ত্র চর্চার পাশাপাশি দলীয় প্রধান শেখ হাসিনার নেতৃত্বে দুষ্টের দমন ও শিষ্টের লালন নীতি অনুসরণ করা হয় বলেও এ সময় জানান তিনি।
আওয়ামী লীগ একটি সুশৃঙ্খল রাজনৈতিক দল উল্লেখ করে ওবায়দুল কাদের বলেন, সাংগঠনিকভাবে কোনো অনিয়ম, দুর্নীতি প্রশ্রয় দেওয়া হয় না, যেকোনো অভিযোগের প্রমাণ পাওয়া মাত্রই নেওয়া হচ্ছে সাংগঠনিক ব্যবস্থা।
তিনি বলেন, অনিয়ম দুর্নীতির বিরুদ্ধে শেখ হাসিনা স্বপ্রণোদিত হয়ে যে শুদ্ধি অভিযান শুরু করেছিলেন, তা এখনও চলমান আছে। ভবিষ্যতেও অব্যাহত থাকবে।
ওবায়দুল কাদের বলেন, শেখ হাসিনার কাছে অপরাধীর পরিচয় অপরাধীই। গুটি কয়েক মানুষের অপরাধের জন্য সরকারের অনন্য অর্জনগুলো ম্লান হতে দেওয়া যায় না জানিয়ে তিনি বলেন, অপরাধের দায় ব্যক্তির, দলের নয়। মজবুত এবং গণমুখী সংগঠন আওয়ামী লীগের প্রধান লক্ষ্য, বিভিন্ন ইউনিটে পারস্পরিক সমঝোতা, সমন্বয় এবং সম্প্রীতির অভাব দেখা দিলে সংগঠনের অচলাবস্থা তৈরি হয়।
সম্প্রতি দুটি জেলায় সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদককে অব্যাহতি দেওয়া প্রসঙ্গে তিনি বলেন, এটি কেন্দ্র হতে তৃণমূলের জন্য দলীয় প্রধানের একটি বার্তা। দলের অভ্যন্তরীণ শৃঙ্খলাকে এখন গুরুত্বের সঙ্গে দেখা হচ্ছে বলেও জানান তিনি।
সততা, নিষ্ঠা এবং দলের প্রতি ত্যাগের স্বীকৃতিস্বরুপ জেলা থেকে কেন্দ্রে পুরস্কৃত করা হয়েছে বলেও জানান ওবায়দুল কাদের।
পুরো দেশে সাংগঠনিক নেতৃত্বের ওপর দলীয় সভাপতির দৃষ্টি রয়েছে উল্লেখ করে ওবায়দুল কাদের আরও বলেন, শেখ হাসিনার কাছে সবার পারফরম্যান্সের রিপোর্টও রয়েছে।