বঙ্গবন্ধু টি-টোয়েন্টি কাপের চতুর্থ ম্যাচে চরম ব্যাটিং বিপর্যয়ে পড়ে ১৬.২ ওভারে মাত্র ৮৮ রানে অলআউট মুশফিকুর রহিমের নেতৃত্বাধীন ঢাকা।
উদ্বোধনী ম্যাচে রাজশাহীর বিপক্ষে তীরে গিয়ে তরী ডুবানো দলটি নিজেদের দ্বিতীয় ম্যাচেও চ্যালেঞ্জিং স্কোর গড়তে পারেনি, খেলতে পারেনি পুরো বিশ ওভার।
বৃহস্পতিবার মিরপুর শেরেবাংলা জাতীয় ক্রিকেট স্টেডিয়ামে মোস্তাফিজের নেতৃত্বাধীন চট্টগ্রামের বিপক্ষে ব্যাটিংয়ে নেমে সময়ের ব্যবধানে উইকেট হারায় ঢাকা।
দলীয় ৭ রানে শরিফুলের বলে সৌম্য সরকারের হাতে ক্যাচ তুলে দিয়ে ফেরেন ওপেনার তানজিদ হাসান তামিম। ১৪ রানের ব্যবধানে নেই তিন নম্বর পজিশনে ব্যাটিংয়ে নামা সাব্বির রহমান রুম্মনের উইকেট। আগের ম্যাচে ৭ বলে অপরাজিত ৫ রান করা এই অলরাউন্ডার এদিন ১০ বল খেলেও রানের খাতা খুলতে পারেননি। ব্যাটিংয়ে নেমেই গোল্ডেন ডাক মারেন অধিনায়ক মুশফিক। নাহিদুলের বলে সৌম্য সরকারের হাতে ক্যাচ দিয়ে ফেরেন জাতীয় দলের এই নির্ভরযোগ্য ব্যাটসম্যান।
২১ রানে তানিজদ, সাব্বির, মুশফিকের বিদায়ের পর চতুর্থ উইকেটে আকবর আলীকে সঙ্গে নিয়ে ৪৪ রানের জুটি গড়েন অন্য ওপেনার মোহাম্মদ নাঈম শেখ। ১৩ বলে ১৫ রান করে মোসাদ্দেক হোসেন সৈকতের বলে বোল্ড আকবর। একইভাবে আউট হন ইনিংসের শুরু থেকে বাড়তি দায়িত্বশীলতার পরিচয় দেয়া নাঈম শেখ। তিনিও মোসাদ্দেকের বলে বোল্ড হন। তার আগে ২৩ বলে তিন চার ও তিন ছক্কায় করেন দলীয় সর্বোচ্চ ৪০ রান।
পেস বোলার আবু হায়দার রনিকে রানের খাতাই খুলতে দেননি বাঁ-হাতি স্পিনার তাইজুল ইসলাম। ১৩ বল খেলে ৩ রান করা শাহাদাত হোসনকে ফেরান মোস্তাফিজুর রহমান। ৯ বলে ৮ রান করা নাসুম আহমেদ আউট হন সৌম্য সরকারের বলে।
মাত্র তিন বল খেলা রুবেল হোসেনকে রানের খাতা খুলতে দেননি জাতীয় দলের টেস্ট স্পেশালিস্ট স্পিনার তাইজুল ইসলাম। শেষ ব্যাটসম্যান হিসেবে মুক্তার আলীকে আউট করে ঢাকাকে ১৬.২ ওভারে ৮৮ রানে প্যাকেট করে দেন চট্টগ্রামের অধিনায়ক মোস্তাফিজ। তার আগে ১৬ বলে ১২ রান করার সুযোগ পান মুক্তার আলী।