অনিয়ন্ত্রিত খাওয়া-দাওয়ার কারণে বদ হজম এবং গ্যাসের সমস্যা সৃষ্টি হয়। এমন পরিস্থিতিতে পেটকে চাঙ্গা করে তুলতে লাউয়ের বিকল্প নেই। এটি পুষ্টিগুণে ভরপুর একটি খাবার। কারণ লাউয়ে রয়েছে প্রচুর মাত্রায় পানি এবং ফাইবার, যা হজম ক্ষমতার উন্নতি ঘটাতে সাহায্য করে। সেইসঙ্গে কনস্টিপেশনের মতো রোগের প্রকোপ কমাতেও বিশেষ ভূমিকা পালন করে থাকে। লাউ রান্না, ভাজি, সিদ্ধ কিংবা রস করেও খাওয়া যায়। শুধু তাই নয়, লাউয়ের পাতা, ডগাও খাওয়া যায়। খেতে সুস্বাদু এ সবজিটি শুধু শরীর ঠাণ্ডাই করে না, এটি হৃদরোগের জন্যও উপকারী।
এ ছাড়া শরীরের নানা রোগবালাই দূর করতে ভূমিকা রাখে লাউ। সবজি হিসেবে রান্না করে খাওয়ার পাশাপাশি জুস ও হালুয়া করেও খেতে পারেন লাউ। ভারতের লাইফস্টাইল বিষয়ক গণমাধ্যম বোল্ডস্কাই অবলম্বনে নিয়মিত লাউ খেলে যেসব স্বাস্থ্য উপকারিতা পাওয়া যায়-
অনেক সময়ই শরীরের ভেতরের তাপমাত্রা বেশ বেড়ে যায়, যা একেবারেই ভালো নয়। তাই তো সপ্তাহে ২-৩ দিন নিয়মিত লাউ খাওয়া উচিত। এতে যেমন প্রচুর মাত্রায় পানি রয়েছে, তেমনি রয়েছে প্রচুর পরিমাণ খনিজও, যা শরীরকে ঠাণ্ডা রাখার পাশাপাশি দেহের ভেতরে উপস্থিত ক্ষতিকর টক্সিক উপাদানও বের করে দেয়। ফলে নানাবিধ রোগে আক্রান্ত হওয়ার আশঙ্কা কমে।
প্রতিদিন লাউয়ের রসের সঙ্গে লেবুর রস মিশিয়ে খেলে শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতার উন্নতি ঘটে। ফলে সংক্রমণের পাশপাশি ছোট-বড় নানাবিধ রোগে আক্রান্ত হওয়ার আশঙ্কা কমে যায়।
লাউয়ের মধ্যে থাকা সেডাটিভ উপাদান শরীর ঠাণ্ডা করতে ভূমিকা রাখে। এ কারণে সবজিটি খেলে মানসিক চাপ কমে।
উচ্চ রক্তচাপের মতো সমস্যায় যারা ভুগছেন তাদের ডায়েটে লাউ দিয়ে তৈরি খাবার রাখা জরুরি। কারণ এতে রয়েছে এমন কিছু পুষ্টিকর উপাদান, যা রক্তচাপকে স্বাভাবিক রাখতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে থাকে। আর রক্তচাপ স্বাভাবিক থাকলে হার্টের স্বাস্থ্যও ভালো হয়ে ওঠে।
লাউ হৃত্পিণ্ডের জন্যও বেশ উপকারী। সপ্তাহে তিনবার লাউয়ের রস খেলে হৃৎপিণ্ড ভালো থাকে। এটি উচ্চ রক্তচাপ কমাতেও ভূমিকা রাখে।
যারা ওজন কমাতে চান তারা নিয়মিত খাদ্যতালিকায় লাউ রাখতে পারেন। এতে থাকা আয়রন, ভিটামিন ও পটাশিয়াম ওজন কমাতে সাহায্য করে। এ ছাড়া লাউয়ে পর্যাপ্ত পরিমাণে ফাইবার ও অ্যালকালি থাকায় এটি অ্যাসিডিটির সমস্যা কমায়। ফলে হজমশক্তি বাড়ে।
যাদের ঘুমের সমস্যা আছে তারা লাউয়ের রসের সঙ্গে সামান্য তিলের তেল মিশিয়ে খেতে পারে। এতে ঘুমের সমস্যা অনেকটাই কমে যাবে।
দূষণের কারণে আজকাল অনেকেরই অল্প বয়সে চুল পাকা সমস্যা দেখা দিচ্ছে। নিয়মিত লাউ খেলে এ সমস্যা কমে যায়।
লাউয়ে উপস্থিত বিশেষ কিছু উপাদান শরীরে প্রবেশ করে এমন খেল দেখায় যে ত্বক ভিতর থেকে স্বাস্থ্যকর হয়ে ওঠে। ফলে সৌন্দর্য বাড়ে। সেইসঙ্গে তৈলাক্ত ত্বকের সমস্যাও নিয়ন্ত্রণে চলে আসে।