শিরোনাম
The Safest Online Gaming Sites: A Comprehensive Guide চাঁদপুর জমিন পত্রিকার ২৫ বছরে পদার্পণে মিলাদ সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের জ্ঞাতার্থে অবগতি পত্র প্রশিক্ষণ যুদ্ধবিমান বিধ্বস্ত হয়ে পাইলটের মৃত্যু বাইডেনের অস্ত্র সরবরাহ বন্ধের হুমকি খুবই হতাশাজনক: ইসরাইল প্রথম ফ্লাইটে সৌদি আরব গেলেন ৪১০ জন হজযাত্রী ৪৬তম বিসিএস প্রিলিমিনারির ফল প্রকাশ, উত্তীর্ণ ১০৬৩৮ দেশবরেণ্য পরমাণু বিজ্ঞানী ওয়াজেদ মিয়ার ১৫তম মৃত্যুবার্ষিকী উপজেলা ভোট অবাধ ও শান্তিপূর্ণ হয়েছে: সিইসি অ্যাস্ট্রাজেনেকা টিকার বিষয়ে অনুসন্ধান চলছে: স্বাস্থ্যমন্ত্রী বিএসএফ’র গুলিতে দুই বাংলাদেশী নিহত গাজীপুরের তিন উপজেলায় ভোটগ্রহণ শুরু সারাদেশে পরিবেশ রক্ষায় গাছ কাটা নিয়ন্ত্রণে হাইকোর্টের রুল কেনিয়ায় বাঁধ ভেঙে ৪২ জন নিহত স্কুল-মাদরাসা বৃহস্পতিবার পর্যন্ত বন্ধ রাখতে হাইকোর্টের নির্দেশ
শনিবার, ১৮ মে ২০২৪, ১২:১৪ অপরাহ্ন

জাতীয় পরিচয়পত্র দিয়েই খোলা যাবে ব্যাংক হিসাব

নিজস্ব প্রতিবেদক / ২২৯ বার এই সংবাদটি পড়া হয়েছে
প্রকাশের সময় : সোমবার, ১৬ নভেম্বর, ২০২০
ফাইল ছবি

 

দেশের অর্থনৈতিক উন্নয়নে ক্ষুদ্র ব্যবসায়ীদের জন্য ব্যাংকে চলতি হিসাব খোলা এবং পরিচালনার পদ্ধতি সহজ করা হয়েছে। একই সঙ্গে বাড়ানো হয়েছে লেনদেনের সীমা। এর আওতায় ক্ষুদ্র ব্যবসায়ীরা বাণিজ্যিক ব্যাংক, মোবাইল ব্যাংকিং সেবাদানকারী প্রতিষ্ঠান ও পেমেন্ট সার্ভিস প্রোভাইডারদের কাছ থেকে সহজে সেবা নিতে পারবেন। ক্ষুদ্র ব্যবসায়ীদের লেনদেনকে আর্থিক ব্যবস্থায় নিয়ে আসার জন্যই কেন্দ্রীয় ব্যাংক এ উদ্যোগ নিয়েছে।

এ বিষয়ে ১৪ নভেম্বর (সোমবার) বাংলাদেশ ব্যাংক থেকে একটি সার্কুলার জারি করে বাণিজ্যিক ব্যাংক, মোবাইল ব্যাংকিং সেবাদানকারী প্রতিষ্ঠান ও পেমেন্ট সার্ভিস প্রোভাইডারগুলোর প্রধান নির্বাহীদের কাছে পাঠানো হয়েছে।

সার্কুলারে বলা হয়, এর আওতায় ক্ষুদ্র, অতিক্ষুদ্র, প্রান্তিক পণ্য ব্যবসায়ী বিভিন্ন সেবা প্রদানকারী প্রতিষ্ঠান ও ব্যক্তিরা সুবিধা পাবেন।

আরো বলা হয়, এখন থেকে ব্যাংক, এজেন্ট ব্যাংকিং, মোবাইল ব্যাংকিং সেবাদানকারী প্রতিষ্ঠান ও পেমেন্ট সার্ভিস প্রোভাইডারদের কাছে আলোচ্য উদ্যোক্তারা সেবা নিতে পারবেন। এগুলোয় তারা সহজে হিসাব খুলতে পারবেন। শুধু জাতীয় পরিচয়পত্র দেখিয়েই এসব প্রতিষ্ঠানে চলতি হিসাব খুলে রিটেইল ব্যাংকিং পরিচালনা করা যাবে। অন্যান্য কাগজপত্র লাগবে না। এ ধরনের হিসাবে কোনো লেনদেন সীমা থাকবে না। গ্রাহকরা যত খুশি লেনদেন করতে পারবেন। অর্থাৎ হিসাব খোলার সময় গ্রাহকদের বছরে কী পরিমাণ লেনদেন হবে, এর একটি সীমা উল্লেখ করতে হয়। নতুন নিয়মে এ সীমা উল্লেখ করতে হবে না।

তবে বাংলাদেশ আর্থিক গোয়েন্দা ইউনিটের নিয়ম অনুযায়ী ই-কেওয়াইসি বা গ্রাহককে জানার তথ্য থাকতে হবে। এক্ষেত্রে লেনদেনের সীমা কার্যকর হবে। এ সীমা মাসিক কোনোক্রমেই ১০ লাখ টাকা এবং এককালীন সর্বোচ্চ স্থিতি ১০ লাখের বেশি হবে না। হিসাব খোলার আগে গ্রাহকের পেশা সম্পর্কে নিশ্চিত হতে হবে।

মোবাইল ব্যাংকিংয়ে হিসাব খোলার সময় সাধারণ কেওয়াইসির বা ই-কেওয়াইসি দুটির যে কোনো একটিতে খোলা যাবে। এসব হিসাব মোবাইল সেবাদানকারী এজেন্টের কাছে খোলা যাবে না। খুলতে হবে সেবা প্রধানকারী প্রোভাইডারের সরাসরি নিয়োগ করা কর্মকর্তার তত্ত্বাবধানে। এক্ষেত্রে গ্রাহকের নিজস্ব জাতীয় পরিচয়পত্র ও নিজের নামে নিবন্ধিত মোবাইল নম্বর লাগবে।

এ হিসাবে পেমেন্ট এবং সংযুক্ত নিজ ব্যাংক হিসাব থেকে অর্থ স্থানান্তর ছাড়া অন্য কোনো প্রক্রিয়ায় নগদ টাকা তোলা, অর্থ স্থানান্তর করা যাবে না। এক্ষেত্রে মাসিক ও দৈনিক ভিত্তিতে লেনদেন সংখ্যা ও টাকার পরিমাণ নির্ধারিত থাকবে। এর বেশি লেনদেন ও টাকা স্থানান্তর করা যাবে না। এসব হিসাবে সর্বোচ্চ এককালীন স্থিতি ৫ লাখ টাকার বেশি রাখা যাবে না। বিশেষ করে মোবাইল ব্যাংকিংয়ের মাধ্যমে হুন্ডি ও মানি লন্ডারিং বন্ধে এ উদ্যোগ নেয়া হয়েছে।

পেমেন্ট সার্ভিস প্রোভাইডারদের (ই-ওয়ালেট) কাছে রিটেইল ব্যাংকিং হিসাব খোলার ক্ষেত্রে কেওয়াইসি বা ই-কেওয়াইসি পালন করতে হবে। হিসাব খোলার আগে গ্রাহকের পেশা, যোগ্যতা, নিবন্ধিত মোবাইল নম্বর দেখে প্রতিষ্ঠান কর্তৃক নিয়োজিত কর্মকর্তার তত্ত্বাবধানে হিসাব খুলতে হবে। গ্রাহকের ঝুঁকি অনুযায়ী প্রয়োজন হলে গ্রাহকের পক্ষে স্থানীয় জনপ্রতিনিধি বা পেশাজীবী সমিতির প্রত্যয়নপত্র নিতে পারবে। এ হিসাবে মাসে সর্বোচ্চ ১০ লাখ টাকা এবং এককালীন স্থিতি রাখা যাবে সর্বোচ্চ ৫ লাখ টাকা।


আপনার মতামত লিখুন :

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এই ক্যাটাগরির আরো সংবাদ