ফরিদগঞ্জ উপজেলার ৮ নং পাইকপাড়া দক্ষিণ ইউনিয়ন পরিষদ আসন্ন নির্বাচনে স্বতন্ত্র প্রার্থী হুমায়ুন কবিরের বিরুদ্ধে তথ্য গোপনের অভিযোগ করেন নৌকা প্রতীক প্রার্থী মোহাম্মদ হোসেন মিন্টু।
তিনি তার অভিযোগে জানান,আমার প্রতিপক্ষ স্বতন্ত্র প্রার্থী হুমায়ুন কবির নির্বাচনের তথ্য গোপন করেন।যাচাই বাছাই পর্বে ও প্রার্থীর তথ্যাদি গোপন রেখে বর্তমানে ঘোড়ার প্রতীক নিয়ে নির্বাচনে অংশ গ্রহণ করেন।
ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনের আইনের চতুর্থ পরিচ্ছদের “ছ” কলামে উল্লেখ রয়েছে, তিনি বা তার পরিবারের উপর নির্ভরশীল কোনো সদস্য সংশ্লিষ্ট পরিষদের কোন কাজ সম্পাদনের বা মালামাল সরবরাহের জন্য ঠিকাদার হন বা এর জন্য নিযুক্ত ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান অংশীদার হন বা সংশ্লিষ্ট পরিষদের কোন বিষয়ে তার কোন প্রকার আর্থিক স্বার্থ থাকে বা তিনি সরকার কর্তৃক নিযুক্ত অত্যাবশ্য কোন দ্রব্যের ডিলার হন । তিনি নির্বাচনে অযোগ্য হবেন, ঘোড়ার প্রতীক হুমায়ুন কবির উনার সরবরাহকারী সরকারী ডিলার ছিলেন। যাহার নাম- মেসার্স এন.এস.ট্রেডিং। প্রোপাইটর- ফাতেমা বেগম। যাহা প্রার্থীর স্ত্রী,সার এর পরিবেশক ।
এ বিষয়টি তিনি গোপন করে সে নির্বাচনে অংশগ্রহণ করেন। ও নির্বাচন রিটার্নিং অফিসে ফরম দাখিল করেন। যাহা নির্বাচন অফিস কখনো তদারকি না করে তাকেই নির্বাচনে অংশগ্রহণের অনুমতি দেন। অনুচ্ছেদের “ছ” কলামে উল্লেখ আছে উনি বা উনার পরিবারবর্গের কেহই এই ধরণের কাজের সাথে জড়িত থাকিলে নির্বাচনে অংশ গ্রহণ করিতে পারিবে না। উনি চতুর বিধায় উনার স্ত্রীর নামে উক্ত ডিলারশীপটি ট্রান্সফার করে বর্তমানে নির্বাচনে অংশ গ্রহণ করছেন। যাহা নির্বাচনী আইনের বর্হিভূত কাজ। বিষয়টি তদন্তকারী বিহীত ব্যবস্থা গ্রহণ করার জন্য জোর দাবী জানান তিনি।
এ বিষয়ে উপজেলা নির্বাচন কর্মকর্তা ও ফরিদগঞ্জের দক্ষিণ পাইকপাড়া ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনের রিটার্নিং কর্মকর্তা কাজী আবু বক্কর বলেন, এ বিষয়ে এখন আমার কিছু করার নাই। বিষয়টি নিয়ে যাচাই-বাছাই কালে কেউ অভিযোগ করে নাই। যারা অভিযোগ করেছে তারা ইচ্ছে করলে আদালতের শরণাপন্ন হতে পারে।
এ বিষয়ে স্বতন্ত্র প্রার্থী ও হুমায়ুন কবিরের সাথে কথা বক্তব্য নিতে চাইলে তিনি বলেন, আমি কোন বক্তব্য দিতে রাজি নই, আমি কিসের বক্তব্য দিব।