চাঁদপুরের কচুয়ার কড়াইয়া ইউনিয়নের নলুয়া গ্রামের মাটি খেকো মাসুদের অত্যাচারে অতিষ্ঠ হয়ে উঠেছে পুরো কড়াইয়া ইউনিয়ন তথা নলুয়া গ্রামের সাধারণ মানুষ । ১৩ নভেম্বর সরজমিন ঐ এলাকায় বাসিন্দারা জানায়, আমরা নলুয়া গ্রামের সাধারণ মানুষ বালু খেকো মাসুদের অত্যাচারে অতিষ্ঠ হয়ে উঠেছি। সে ড্রেজার দিয়ে জোর করে এলাকার নিরীহ মানুষ জমির মাটি কেটে নিয়ে অন্যত্র বিক্রি করে । বাঁধা দিলে তার লেলিত গুন্ডা বাহিনী দিয়ে হুমকি ধমকি প্রদান করে ও মারধর করে এ জন্য ভয়ে কেউ কিছু বলতে পারছে না।
এ ব্যপারে গত ২৮ আগষ্ঠ ২০২২ তাং তার বিরুদ্ধে এবং এর প্রতিকার চেয়ে চাঁদপুরের জেলা প্রশাসক বরাবর এলাকা বাসি আবেদন করেন এবং জেলা প্রশাসক বিগত ৩১ আগষ্ট ইউএনও কচুয়া বরাবর ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য নির্দেশ প্রদান করেন। অদৃশ্য কারনে তার বিরুদ্ধে কোন ব্যবস্থাই নেওয়া হয় নাই । এমতাবস্থায় ঐ এলাকার মানুষ তার কাছে জিম্মি হয়ে পরেছে। এলাকাবাসীর পক্ষে লোকমান ভূঁইয়া, সিদ্দিকুর রহমান, সাইফুল মিয়া,জাহাঙ্গীর মিয়া, আলী হোসেন সাক্ষরিতজেলা প্রশাসক বরাবর অভিযোগ পত্রটি নিন্মরুপঃ আমরা চাঁদপুর জেলার কচুয়া উপজেলার ৯নং কড়ইয়া ইউনিয়নের, ০৫ নং ওয়ার্ডের নলুয়া ও চাঁদপুর গ্রামের সাধারণ বাসিন্দা। আমাদের দীর্ঘ দিন ধরে আমাদের ফসলি জমি নষ্ট করে অসুদপায়ী বালু উত্তোলনকারী ব্যবসায়ের উদ্দ্যেশে আমাদের ফসলি মাঠ ধ্বংস করছে। নলুয়া ও চাঁদপুর মৌজা এর প্রায় ৪টি ড্রেজার বসিয়ে প্রায় ৫০০ শতাংশ জমিকে কেটে বালু উত্তোলণ করছে। স্থানীয় জনগণ বাঁধা প্রয়োগ করলেও তাদের ক্ষমতার দাপট দেখিয়ে তারা দীর্ঘদিন ধরে বালু উত্তোলণ করে যাচ্ছে। কচুয়া ভূমি অফিসে আবেদন করেও কোন প্রতিকার পাওয়া যায়নি। এমতাবস্থায় আমরা এলাকাবাসী ও ভুক্তভোগিরা জোড় দাবি জানাচ্ছি। অবৈধভাবে বালু উত্তোলন বন্ধ করে ফসলি জমি ও আমাদের বসতবাড়ি রক্ষার্তে আপনার সদয় অবগতি জানাচ্ছি।
এ ব্যাপারে অভিযুক্ত মাসুদ বেপারির সাথে কথা বললে তিনি জানান, আমি এই এলাকায় আমি সমাজসেবা করে যাচ্ছি আমি সাধারণ মানুষের মানুষের খাল পুকুর নালা পুরিয়ে তাদের উপকার করছি। এ সময় তিনি গণমাধ্যম কর্মীদের সাথে অশোভন আচরন করেন।
এ ব্যাপারে কড়াইয়া ইউনিয়নের চেয়ারম্যান মোঃ আঃ ছালাম বলেন, মাসিদ বেপারির ব্যাপারে আমার কাছে অনেক অভিযোগ এসেছে, এলাকাবাসী আমার কাছে তার ড্রেজার ব্যবসা বন্ধ করার জন্য এসেছিল, আমি কয়েকবার নিজে গিয়ে বন্ধ করেছি আবার সে অনেকটা জোর করে চালু করেছে। আমি তাকে কয়েকবার বারন করেছি সে আমার কথাও শুনেনাই। এ সময় তিনি সাংবাদিক দের কাছে একপ্রকার অসহায়ত্ব প্রকাশ করে এর প্রতিকার চান।
এ ব্যাপারে কচুয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা ইব্রাহিম খলিল বলেন, কড়াইয়া ইউনিয়নের সাহেদাপুর ও নলুয়া গ্রামের মাসিদ বেপারি ড্রেজার চালানোর ব্যাপারে এলাকাবাসীর অভিযোগ এখনও আমার কাছে আসেনি, যদি এমন কোন অভিযোগ আমার কাছে আসে তাহলে তার বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থাগ্রহণ করা হবে। অবৈধ ড্রেজারের বিরুদ্ধে আমাদের নিয়মিত অভিযান চলবে।