সম্পূর্ণ অবৈধ ড্রেজার বসিয়ে স্কুলের জায়গা ভরাটের বিষয়টি জানেননা প্রসাশনের কেউ। দুর্গাপুর জনকল্যাণ উচ্চ বিদ্যালয়ের নিচু জায়গা ভরাটের কাজে মেঘনা-ধনাগোদা নদী থেকে বালু উত্তোলনের পক্রিয়ায় বিদ্যালয়ের ম্যানেজিং কমিটি ও প্রধান শিক্ষক নিজেদের মনগড়া কার্যক্রম পরিচালনা করেছেন।
এ ক্ষেত্রে উপজেলা প্রশাসন এমনকি খোদ জেলা প্রশাসক (ডিসি) কামরুল হাসান ও অবগত নন বলে নিশ্চিত হওয়া গেছে। স্কুলের প্রধান শিক্ষক স্বপন কুমার সূত্রধর ও ম্যানেজিং কমিটির সভাপতি আল আমিন ভুলভাল তথ্য দিয়ে ঘটনার সত্যতা আড়াল করার অনৈতিক চেষ্টার বিষয়টি স্পষ্ট হয়েছে। নদী থেকে অবৈধভাবে ড্রেজার বসিয়ে বালু উত্তোলনের দায়ভার ড্রেজার মালিকের উপর চাপিয় দেয়ার অনৈতিক উপায় অবলম্বন করছেন বিদ্যালয় কমিটি। বিষয়টি সম্পর্কে তিনি অবগত নন বলে জানিয়েছেন জেলা প্রশাসক কামরুল হাসান। এদিকে জেলা শিক্ষা কর্মকর্তা প্রাণকৃষ্ণ দেবনাথ এ ঘটনায় কোন তথ্য জানেননা বলে নিশ্চিত করেছেন। মেঘনা-ধনাগোদা নদী থেকে ড্রেজারের মাধ্যমে বালু উত্তোলন করে স্কুলের জায়গা ভরাটের বিষয়টি উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা আশরাফুল হাসানের ও জানা নেই বলে তিনি জানিয়েছেন।
উল্লেখ্য, গত রবিবার (১৮ সেপ্টেম্বর ২০২২) সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায় চাঁদপুরের মতলব উত্তরের দুর্গাপুর জনকল্যাণ উচ্চ বিদ্যালয়ের একটি নিচু জায়গায় ভরাট করছেন স্কুল কর্তৃপক্ষ। ম্যানেজিং কমিটির সভায় জায়গাটি ভরাটের সিদ্ধান্ত নেয়ার পর সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে দরপত্র বিজ্ঞপ্তি দিয়ে ড্রেজার মালিকের মাধ্যমে ভরাট করাতে শুরু করেন বলে জানিয়েছিলেন স্কুল ম্যানেজিং কমিটির সভাপতি আল আমিন। তবে কোন প্রক্রিয়ায় মেঘনা-ধনাগোদার তলদেশ থেকে বালু উত্তোলন করা হচ্ছে এমন প্রশ্নের উত্তর না দিয়ে স্থানীয় প্রভাবশালী মহলের নাম ব্যবহার করেন তিনি।
এদিকে প্রতি ঘনফুট বালুর মূল্য ৫ টাকা ৮০ পয়সা করে ড্রেজার মালিককে প্রদান করার কথা স্বীকার করেন প্রধান শিক্ষক স্বপন কুমার সূত্রধর।