সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে বাংলাদেশ সুপ্রীম কোর্ট, হাইকোর্ট বিভাগ বিচারপতি ও লিগ্যাল এইড কমিটির চেয়ারম্যান এসএম জাহাঙ্গীর হোসেন বলেন, ছোট্ট একটা বিষয় নিয়ে আমাদের দেশে যে মামলা মোকাদ্দামা হয়। সেটা তো পারিবারিক ভাবে সমাধান করা যায়, প্রতিহত করা যায়। তারা কেন আইন ভুলে ঝগড়া বিবাদ করবে। এ জন্য মানুষজনকে সচেতন করতে হবে। অনেক সময় বলা হয় কোর্টের মাটিও কিন্তু টাকা খায়। জনগনকে বুঝাতে হবে কোর্ট আদালত কোন ভাল জায়গা না। এজন্য গ্রাম অঞ্চলের মানুষদেরকে সচেতন করতে হবে যাতে মানুষ ঝগড়া বিবাদে লিপ্ত না হয়। এ হাইমচরের মানুষ অত্যান্ত অসহায়। ৬টি ইউনিয়নের মধ্যে ৩টি ইউনিয়ন নদীর গর্ভে চলে গেছে। বাকি যারা আছেন কেযে কখন চলে যান তারই কোন ঠিক ঠিকানা নেই। কাজেই আপনারা সেচতন হোন। আসুন না আমরা নিরীহ মানুষজনের জন্য প্রচার করি। এ প্রচারের জন্য প্রশাসন যদি দ্বায়িত্ব নেন তাহলে আমরা অনেক দুর এগোতে পারবো। এখনো গ্রামঅঞ্চলের মানুষ বুঝেনা লিগ্যাল এইড কি। লিগ্যাল এইডে কি হয়। লিগেল এইডে পৌছতে গিয়েও কিন্তু তাদেরকে বিভিন্ন ভাবে হয়রানী করা হয়। লিগ্যাল এইডে সরকারের টাকা দিয়ে অসহায় জনগন আইনগত সহযোগীতা পাবে। এটা গ্রামঅঞ্চলের লোকজ জানে না। তাই আগে লিগ্যাল এইড সম্পর্কে গ্রামঅঞ্চলের মানুষজনকে সচেতন করতে হবে। তিনি জনপ্রতিনিধিদের উদ্দেশ্যে বলেন, আমরা কিন্তু মরণশীল, আমাদের সবাইকে মরে যেতে হবে। কেউ কিন্তু চ্যালেঞ্জ করে বেঁচে থাকতে পারববে না। মানুষ মরণশীল মানুষের কর্মটাই দুনিয়াতে থেকে যায়। বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান এ দেশের জন্য সেক্রিপাইজ করেছেন। বঙ্গবন্ধু তার জীবদ্দশায় এদেশের মানুষজনের জন্য কাজ করে গেছেন। তাই আজও দেশে, গ্রামে, শহরে এবংকি আন্তর্জাতিক ভাবে বঙ্গবন্ধুর আদর্শ প্রশারিত হচ্ছে। আশাকরি আপনারা যারা জনপ্রতিনিধি আছেন আপনারা নিরীহ মানুষজনের বিনামূল্যে, বিনা স্বার্থে সহযোগীতা করবেন।