বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ সভাপতি ও মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার উন্নয়ন ও অগ্রযাত্রার অন্যতম সারথী জননেতা মোফাজ্জল হোসেন চৌধুরী মায়া বীরবিক্রম বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য মনোনীত হওয়ার পর এই প্রথমবারের মত নিজ জন্মভূমিতে ৪ দিনের সফরে আসেন।
শনিবার (১৯ ফেব্রুয়ারি) সড়কপথে ঢাকা থেকে নিজ জন্মভূমি মতলব উত্তরের উদ্দেশ্যে রওয়ানা হয়ে উপজেলার প্রবেশদ্ধার শ্রীরায়েরচরে আসলে হাজার হাজার কর্মী সমর্থক মোটর শোভাযাত্রা সহকারে প্রিয় নেতাকে ফুল দিয়ে শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন জানান চাঁদপুর জেলা আওয়ামী লীগ, মতলব উত্তর উপজেলা আওয়ামী লীগের নেতৃবৃন্দ।
মহাসড়কজুড়ে হাজার হাজার নেতা কর্মী সমর্থকরা করতালি ও শ্লোগানের মধ্য দিয়ে প্রিয় নেতাকে স্বাগত জানায়। এ সময় পুরো এলাকা মিছিলে মিছিলে মুখরিত হয়। পরে মোটার শোভা যাত্রা সহকারে প্রিয় নেতার গাড়ির বহরে যোগ দেয়। পথিমধ্যে রাস্তার দুপাশে বিপুল সংখ্যক নারী পুরুষ দাঁড়িয়ে প্রিয় নেতাকে শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন জানান।
মায়া চৌধুরীর গাড়ি বহর যখন শ্রীরায়েরচর এলাকা অতিক্রম করছিলো তখন হাজার হাজার নেতাকর্মী ও সমর্থকরা স্লোগানে স্লোগানে মুখরিত করে তুলে আশপাশের এলাকা। শ্রীরায়েরচর থেকে মোহনপুর পর্যন্ত ১৮ কিলোমিটার পথজুড়ে হাজারো নেতাকর্মী তাকে করতালি ও স্লোগানের মধ্য দিয়ে শুভেচ্ছা ও স্বাগত জানান। মায়া চৌধুরীও নেতাকর্মীদের উদ্দেশে হাত নেড়ে অভিবাদন জানান।
বিশাল গাড়িবহর মোহনপুর এসে পৌঁছলে দলীয় নেতাকর্মীরা আবারও ফুলেল শুভেচ্ছায় সিক্ত করেন প্রিয় নেতাকে। পরে সংক্ষিপ্ত সভায় আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য ও সাবেক মন্ত্রী মোফাজ্জল হোসেন চৌধুরী মায়া বীরবিক্রম তাঁর বক্তব্যে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের সভাপতি ও মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার প্রতি ধন্যবাদ ও কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন। তিনি বলেন, আমি যাতে আমার দায়িত্ব যথাযথভাবে পালন করতে পারি, সকলে দোয়া করবেন। আমি আমার সর্বোচ্চ দিয়ে দলের জন্য এবং মানুষের জন্য কাজ করে যাব। আমার পরিশ্রম মেধা, শ্রম যদি দলের জন্য বিন্দুমাত্রও কাজে লাগে, সেটি হবে আমার জীবনের সবচেয়ে বড় পাওয়া।
তিনি আরো বলেন, দুঃসময়ের নেতা-কর্মীদের এখন ঐক্যবদ্ধ হওয়া প্রয়োজন, শক্তিশালী হওয়া প্রয়োজন। তাহলে যারা সুবিধার জন্য দলে এসেছে, তারা সুবিধা করতে পারবে না। আবার সতর্ক থাকতে হবে, তারা যেন দলের ব্যাপক ক্ষতিসাধন করতে না পারে, দলের ভাবমূর্তি ক্ষুন্ন করতে না পারে। কারণ আওয়ামী লীগ গণমানুষের দল। নব্যলীগার, হাইব্রিডদের দিয়ে দল যেন ক্ষতিগ্রস্ত না হয়, দল যেন জনগণ থেকে বিচ্ছিন্ন না হয়, সে জন্য সজাগ ও সতর্ক থাকতে হবে। মোফাজ্জল হোসেন চৌধুরী মায়া বীরবিক্রম এর সাথে ছিলেন ঢাকা মহানগর দক্ষিণ আ’লীগের কার্যকারী কমিটির সদস্য সাজেদুল হোসেন চৌধুরী দিপু, মতলব উত্তর ও দক্ষিণ মহিলা আ’লীগের প্রধান উপদেষ্টা পারভীন চৌধুরী রিনা, উপদেষ্ঠা সুবর্ণা চৌধুরী বীণা, ছাত্রলীগ কেন্দ্রীয় সংসদের সহ সম্পাদক আশফাক হোসেন চৌধুরী মাহি।
এ সময় চাঁদপুর জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি নাছির উদ্দিন আহমেদ, সহ সভাপতি আবদুল রশিদ সরদার, আঃ রব ভুইয়া, সাধারণ সম্পাদক বীর মুক্তিযোদ্ধা আবু নঈম পাটওয়ারী দুলাল, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক এডভোকেট জহিরুল ইসলাম, আহসান আখন্দ, দপ্তর সম্পাদক শাহ আলম, শিল্প ও বানিজ্য সম্পাদক বিল্লাল হোসেন মজুমদার, সাংস্কৃতিক সম্পাদক এডভোকেট জসিম উদ্দিন ভূঁইয়া, সদস্য এডভোকেট বদিউজ্জামাল কিরন।
চাঁদপুর জেলা মুক্তিযোদ্ধা সংসদের সাবেক কমান্ডার যুদ্ধাহত বীর মুক্তিযোদ্ধা এম এ ওয়াদুদ, বীর মুক্তিযোদ্ধা মিয়া জাহাঙ্গীর আলম, জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান ওচমান গনি পাটওয়ারী, জেলা আওয়ামী লীগের সাবেক সদস্য এডভোকেট জসিম উদ্দিন, ফরিদগঞ্জ উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আবু শাহেদ সরকার, জেলা আওয়ামী যুবলীগের আহবায়ক মিজানুর রহমান ভূঁইয়া কালু, সদর উপজেলা আওয়ামী স্বেচ্ছাসেবক লীগের আহবায়ক সফিকুর রহমান গাজী, যুগ্ম আহবায়ক শরীফ হোসেন, চাঁদপুর পৌর আওয়ামী স্বেচ্ছাসেবক লীগের সভাপতি খোরশেদ আলম হাওলাদার ও সাধারণ সম্পাদক রুবেল হাওলাদার ছিডু।
মতলব উত্তর উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি এডভোকেট রুহুল আমিন, সহ সভাপতি গিয়াস উদ্দিন চৌধুরী, সাধারণ সম্পাদক বীর মুক্তিযোদ্ধা এম এ কুদ্দুস, সাংগঠনিক সম্পাদক জাহাঙ্গীর আলম হাওলাদার, গাজী ইলিয়াসুর রহমান, শাহজাহান প্রধান, উপজেলা আওয়ামী যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক কাজী শরীফ হোসেন, জেলা ছাত্র লীগের সাবেক সহ সভাপতি এডভোকেট সেলিম মিয়া, মতলব উত্তর উপজেলা ছাত্রলীগের আহবায়ক মিনহাজ উদ্দিন খান, যুগ্ম আহবায়ক তামজিদ সরকার রিয়াদ সহ আওয়ামী লীগ ও যুবলীগ , ছাত্রলীগ , স্বেচ্ছাসেবক লীগ ও তার ভ্রাতৃপ্রতিম সংগঠনের নেতৃবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।
