সোমবার, ০৬ মে ২০২৪, ০৯:৫৬ অপরাহ্ন

চট্টগ্রামে কমেছে শনাক্ত; চলছে ওমিক্রন আতঙ্ক

চট্টগ্রাম ব্যুরো / ১৬২ বার এই সংবাদটি পড়া হয়েছে
প্রকাশের সময় : শনিবার, ২৯ জানুয়ারী, ২০২২

চট্টগ্রাম নগরী ও জেলায় করোনা আক্রান্ত কমলেও কমেনি ওমিক্রন আতঙ্ক। গত চার দিন টানা চট্টগ্রামে করোনা শনাক্ত ছিল এক হাজারের উপরে। সর্বশেষ গত ২৪ ঘণ্টায় আরো কমে ৮০৯ জনের মধ্যে এসেছে। এটি কিছুটা ‘সুখবর’ দিলেও ওমিক্রন নিয়ে আতঙ্কে আছেন অনেকেই। বর্তমানে প্রতিটি ঘরে ঘরে দেখা দিয়েছে জ্বর, সর্দি, ব্যাথা, কাশিসহ বিভিন্ন উপকরণ। ফলে করোনা-ওমিক্রনের ভয় লেগেই আছে সাধারণে মাঝে।

অন্যদিকে গত ২৪ ঘণ্টায় চট্টগ্রাম মহানগরী ও জেলায় করোনা মোট আক্রান্ত হিসেবে শনাক্ত হয়েছেন ৮০৯ জন। শনাক্তদের মধ্যে ৫৬১ জন নগরীর এবং ২৪৮ জন বিভিন্ন উপজেলার বাসিন্দা। এ নিয়ে চট্টগ্রামে এখন পর্যন্ত শনাক্ত বেড়ে দাঁড়িয়েছে ১ লাখ ১৮ হাজার ১২ জনে। তাদের মধ্যে নগরীর বাসিন্দা ৮৬ হাজার ৮৫ জন। বাকিরা বিভিন্ন উপজেলার। আক্রান্তদের মধ্যে ইতোমধ্যে ১ হাজার ৩৫৪ জনের মৃত্যু হয়েছে। এর মধ্যে ৭৩০ জন নগরীর। আর বিভিন্ন উপজেলায় মৃত্যু হয়েছে ৬২৪ জনের।

শনিবার চট্টগ্রাম সিভিল সার্জন কার্যালয় থেকে প্রকাশিত প্রতিবেদনে এসব তথ্য জানা গেছে।

আজম নামের একজন ব্যবসায়ী জানান, ঘরের মধ্যে বউ-বাচ্চাসহ ৫ জন মেম্বার রয়েছি। সকলেই কোন না কোনভাবেই অসুস্থ রয়েছেন। দীর্ঘদিন ধরেই করোনা পরিস্থিতির কারণে ব্যাবসায়ীকভাবেও মন্দা যাচ্ছে সব কিছু। তাছাড়া বর্তমানে চলছে ওমিক্রন নিয়ে নানা টেনশনে। একইভাবে বললেন নুরুল ইসলামও।

চট্টগ্রাম সিভিল সার্জন ডা. মোহাম্মদ ইলিয়াছ চৌধুরী বলেন, গত ২৪ ঘণ্টায় চট্টগ্রামের ১১টি ও কক্সবাজারের ১টি ল্যাবে ২ হাজার ৯১৩ জনের নমুনা পরীক্ষায় ৮০৯ জনের দেহে করোনার জীবাণু শনাক্ত হয়। নমুনা পরীক্ষার তুলনায় সংক্রমণের হার ২৭ দশমিক ৭৭ শতাংশ। তিনি বলেন, উপজেলায় শনাক্ত ২৪৮ জনের মধ্যে হাটহাজারীতে সর্বাধিক ৪৭ জন রয়েছেন। এছাড়া ফটিকছড়িতে ৪২ জন, রাঙ্গুনীয়ায় ২৯ জন, রাউজানে ২২ জন, চন্দনাইশে ১৬ জন, বাঁশখালীতে ১৪ জন, সাতকানিয়া ও পটিয়ায় ১৩ জন করে, বোয়ালখালী ও আনোয়ারায় ১২ জন করে, লোহাগাড়া, স›দ্বীপ ও মিরসরাইয়ে ৮ জন করে এবং সীতাকুন্ডে ৪ জন শনাক্ত হয়েছেন।

চট্টগ্রাম ইন্টারন্যাশনাল মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল এক্সিকিউটিভ কমিটির (ইসি) সেক্রেটারী অধ্যাপক ডা. মুসলিম উদ্দিন সবুজ বাংলাদেশ প্রতিদিনকে বলেন, চট্টগ্রাম নগরীসহ জেলার প্রতিটি এলাকায় করোনার সর্তকতায় আছেন সকলেই। সেই করোনার পর এখন ওমিক্রন নিয়ে টেনশনে সকলেই। সরকারের নির্দেশনায় সকল প্রকার স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলাসহ বিভিন্ন তৎপরতায় কাজও চলছে। তবে সরকারের দেয়া স্বাস্থ্যবিধি মেনে চললে আক্রান্তও কমে আসবে। তিনি বলেন, আমার হাসপাতালে করোনা রোগীর বিষয়ে সচেতন রয়েছে। কোন ধরণের চিমটক থাকলেও প্রতিদিনই করোনার পরীক্ষায় কাজ চলছে। এতে চিকিৎসাসেবার পাশাপাশি করোনা বেডও রয়েছে প্রস্তুত। এতে সেন্ট্রাল অক্সিজেনসহ ১৫০ জনের মতো করোনা রোগীর সেবা দেয়ার প্রস্তুতি রয়েছে।


আপনার মতামত লিখুন :

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এই ক্যাটাগরির আরো সংবাদ