মঙ্গলবার, ০৭ মে ২০২৪, ০১:২৮ পূর্বাহ্ন

ইউক্রেনে রাশিয়ার হামলা হতে পারে ‘ভয়াবহ’, সতর্ক করল যুক্তরাষ্ট্র

আন্তর্জাতিক ডেস্ক / ২০৩ বার এই সংবাদটি পড়া হয়েছে
প্রকাশের সময় : শনিবার, ২৯ জানুয়ারী, ২০২২

রাশিয়া ইউক্রেনে হামলা চালালে সেটি ভয়াবহ হবে বলে সতর্ক করেছে যুক্তরাষ্ট্রের শীর্ষ সেনা জেনারেল মার্ক মিলি। তিনি বলেছেন, রাশিয়া হামলা করলে তাতে উল্লেখযোগ্যসংখ্যক হতাহতও ঘটবে বলে জানিয়েছেন মার্ক। 

ইউক্রেন সীমান্তজুড়ে রাশিয়ার এক লাখের বেশি সৈন্য সমাবেশের ঘটনাকে জেনারেল মার্ক মিলি স্নায়ুযুদ্ধের সর্বোচ্চ প্রকাশ বলে বর্ণনা করেছেন। তবে মার্কিন প্রতিরক্ষামন্ত্রী লয়েড অস্টিন বলেছেন, কূটনীতির মাধ্যমে এখনও সংঘাত এড়ানো যেতে পারে।

যদিও রাশিয়া ইউক্রেনে হামলার পরিকল্পনা অস্বীকার করে বলেছে, ইউক্রেনের প্রতি মার্কিন সমর্থন হুমকিস্বরূপ।

শুক্রবার পেন্টাগনে এক সংবাদ সম্মেলনে মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনের সর্বোচ্চ সামরিক কর্মকর্তা জেনারেল মার্ক মিলি সতর্ক করে দিয়ে বলেছেন, ইউক্রেন সীমান্তের কাছে রাশিয়ার সৈন্য সমাবেশের অর্থ হলো একটি সম্ভাব্য আক্রমণ এবং এর পরিণতি হবে গুরুতর।

যুক্তরাষ্ট্রের জয়েন্ট চিফ অব স্টাফের এই চেয়ারম্যান বলেছেন, ‌যদি ইউক্রেনে হামলা হয়, তাহলে এটি হবে তাৎপর্যপূর্ণ। হামলার ফলে উল্লেখযোগ্য পরিমাণে হতাহতের ঘটনা ঘটবে।

জেনারেল মিলি বলেছেন, ঘনবসতিপূর্ণ শহুরে এলাকায় এর ফল হবে ভয়াবহ।

মার্কিন প্রতিরক্ষামন্ত্রী লয়েড অস্টিন বলেন, ইউক্রেনের সুরক্ষার জন্য আরও অস্ত্রসহ দেশটিতে সব ধরনের সহায়তা করতে যুক্তরাষ্ট্র প্রতিশ্রুতিবদ্ধ। তিনি বলেছেন, সংঘাত অনিবার্য নয়।

সেখানে এখনও কূটনীতির সময় এবং জায়গা রয়েছে। রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের প্রতি স্থির হওয়ার আহ্বান জানিয়েছেন তিনি।

লয়েড বলেছেন, এই পরিস্থিতিকে সংঘর্ষে রূপ দেওয়ার কোনও কারণ নেই, পুতিন সৈন্যদের ফিরিয়ে নেওয়ার আদেশ দিতে পারেন।

এর আগে, শুক্রবার মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন বলেন, পূর্ব ইউরোপে ন্যাটো জোটের শক্তি বৃদ্ধি করতে তিনি ওই অঞ্চলে স্বল্পসংখ্যক সৈন্য পাঠাবেন। তবে এই সৈন্যরা কোথায় সমাবেশ করবেন অথবা কোথায় পৌঁছাবেন সে ব্যাপারে নির্দিষ্ট করে কিছু জানাননি তিনি।

গত সপ্তাহে পেন্টাগন জানায়, প্রায় সাড়ে ৮ হাজার সৈন্য সতর্ক অবস্থায় রয়েছেন, একেবারে সংক্ষিপ্ত নোটিশে মোতায়েনের জন্য তারা প্রস্তুত আছেন।

২০১৪ সালে একই ধরনের এক উত্তেজনাকর পরিস্থিতির পর ইউক্রেনের দক্ষিণাঞ্চলের ক্রিমিয়া দ্বীপের দখল নেয় রাশিয়া। এই ঘটনার পর পূর্বাঞ্চলীয় ডনবাস অঞ্চলের বিচ্ছিন্নতাবাদী বিদ্রোহীদের প্রতি সমর্থন দেয় মস্কো। সেই সময় বিচ্ছিন্নতাবাদী এই গোষ্ঠী ডনবাসের বৃহৎ অংশের নিয়ন্ত্রণ নেয়। ক্রিমিয়া দখলের সেই সংঘাতে ১৪ হাজারের মতো মানুষের প্রাণহানি ঘটে।


আপনার মতামত লিখুন :

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এই ক্যাটাগরির আরো সংবাদ