শিরোনাম
‘মেট্রোরেলে ভ্যাট পুনর্বিবেচনার আশ্বাস দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী’: কাদের দুই লক্ষ আনসার-ভিডিপি সদস্য মোতায়েন মধ্যরাত থেকে মাছ আহরণ বন্ধ ৬৫ দিনের জন্য চলতি মাসের ১৭ দিনে দেশে এলো ১৩৬ কোটি ডলার স্বর্ণের ভ‌রি ১ লাখ ১৯ হাজার টাকা ছাড়াল পায়রা বন্দরের সাথে সড়ক ও রেলের সংযোগ বাড়ানোর সুপারিশ পাকিস্তানে গাড়ি খাদে পড়ে নিহত ১৪ মিডিয়া ট্রায়াল পুরোপুরি বন্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে: আইজিপি সামান্য অর্থ বাঁচাতে দেশ ধ্বংস করবেন না: প্রধানমন্ত্রী বজ্রপাতে তিন জেলায় ৭ জনের মৃত্যু যুক্তরাষ্ট্রে পৌঁছেছে বাংলাদেশ ক্রিকেট দল দ্বিতীয় ধাপের উপজেলা ভোটের মাঠে ১৫৭ ম্যাজিস্ট্রেট চাঁদপুর জমিন পত্রিকার ২৫ বছরে পদার্পণে মিলাদ হিলি বন্দর দিয়ে পেঁয়াজ আমদানি শুরু জলবায়ু পরিবর্তন ইস্যুতে একসঙ্গে কাজ করার প্রত্যাশা যুক্তরাষ্ট্রের
সোমবার, ২০ মে ২০২৪, ১২:৪৮ অপরাহ্ন

পরকালে যেভাবে দৃশ্যমান হবে মানুষের আমল

মুহাম্মদ সুয়াইব আহমেদ / ৩২৬ বার এই সংবাদটি পড়া হয়েছে
প্রকাশের সময় : বৃহস্পতিবার, ১৮ নভেম্বর, ২০২১

কোরআন, হাদিস ও কাশফের আলোকে জানা যায় যে পার্থিব জগৎ ছাড়া আরো দুটি জগৎ রয়েছে। এক. আলমে বারজাখ বা অন্তরাল জগৎ, দুই. আলমে গায়েব বা অদৃশ্যের জগৎ। আখিরাত বা পরকাল দ্বারা এই উভয় জগেকই বোঝানো হয়। আলমে বারজাখের অপর নাম ‘কবর’।

মানুষ যখন কোনো কাজ করে সঙ্গে সঙ্গে আলমে বারজাখে তার প্রতিবিম্ব অঙ্কিত হয় এবং সে অস্তিত্বের কিছু প্রভাব ও প্রতিক্রিয়াও সৃষ্টি হয়। পরবর্তী সময়ে এসব আমলের পরিপূর্ণ প্রকাশ ঘটবে। যাকে হাশর বা পুনরুত্থান দিবস বলা হয়। ফলে প্রতিটি কাজের তিনটি স্তর হলো—১. কাজ সংঘটিত হওয়া, ২. তার প্রতিবিম্ব সৃষ্টি হওয়া, ৩. তা প্রকৃতরূপে প্রকাশ পাওয়া।

গ্রামোফোন (আধুনিক অডিও রেকর্ডার) দ্বারা দৃষ্টান্ত দিলে বিষয়টি ভালো বুঝে আসবে। যখন মানুষ কথা বলে, তখন তার তিনটি স্তর হয়ে থাকে। প্রথম স্তরে কথাটি মুখ থেকে বের হয়, দ্বিতীয় স্তরে শব্দগুলো গ্রামোফোনে রেকর্ড করা হয়, তৃতীয় স্তরে গ্রামোফোন থেকে শব্দগুলো বের করতে চাইলে হুবহু ওই শব্দই বের হয়ে আসে। কথা মুখ থেকে বের হওয়া পার্থিব জগতে কর্ম সংঘটিত হওয়ার দৃষ্টান্ত। গ্রামোফোনে আবদ্ধ হওয়া আলমে বারজাখ তথা অন্তরাল জগতে প্রতিবিম্ব সৃষ্টি হওয়ার দৃষ্টান্ত। আর গ্রামোফোন থেকে হুবহু ওই শব্দ বের হয়ে আসা অদৃশ্য জগতে আমলের পরিপূর্ণ প্রকাশের দৃষ্টান্ত।
কোনো বিবেকবান যেমন এই বিষয়ে সন্দেহ পোষণ করে না যে মুখ থেকে যে শব্দ বের হয় তাই গ্রামোফোনে আবদ্ধ হয় এবং গ্রামোফোন থেকে বের করলে সেই কথাগুলোই বের হয়, যেগুলো আগে মুখ থেকে বের হয়েছিল। তার বিপরীত হয় না। ঠিক তেমনিভাবে একজন ঈমানদারের এতে সন্দেহ থাকা উচিত নয় যে যখন কোনো আমল তার থেকে সংঘটিত হয়, সঙ্গে সঙ্গে তা প্রতিবিম্ব জগতে চিত্রায়িত হয়ে যায় এবং আখিরাতে তারই প্রকাশ ঘটবে।

উপরোক্ত ভিত্তিতে নিশ্চিত প্রমাণিত হলো যে পরকালের বিষয়গুলো সম্পূর্ণরূপে আমাদের ইচ্ছাধীন। সেখানে কোনোরূপ জোর-জবরদস্তি বা বাধ্যবাধ্যকতা নেই। তবে যেভাবে গ্রামোফোনের মুখোমুখি হলে প্রতিটি কথার প্রতি সজাগ দৃষ্টি থাকে যেন মুখ দিয়ে এমন কোনো কথা বের না হয়, যা ওই ব্যক্তির সম্মুখে প্রকাশ করা আমার পছন্দ নয়, যার সামনে পরবর্তী সময়ে এই গ্রামোফোন খোলা হবে এবং তখন আর অস্বীকার করার উপায় থাকবে না। কেননা এই যন্ত্রের বৈশিষ্ট্যই হলো, কখনো এর দ্বারা এ রূপ হয় না যে বলেছে একটা আর রেকর্ড হয়েছে আরেকটা। ঠিক একইভাবে আমল সংঘটিত হওয়ার সময় এই বিষয়ে লক্ষ্য রাখা উচিত যে আমি যা কিছু করছি তা এক জায়গায় রেকর্ড হচ্ছে এবং কোনোরূপ যোগ-বিয়োগ ছাড়া তা একদিন উন্মুক্ত হবে। তখন কোনো ওজর-আপত্তির সুযোগ থাকবে না।

জাঝাউল আ’মাল গ্রন্থ থেকে


আপনার মতামত লিখুন :

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এই ক্যাটাগরির আরো সংবাদ