শিরোনাম
কেনিয়ায় বাঁধ ভেঙে ৪২ জন নিহত স্কুল-মাদরাসা বৃহস্পতিবার পর্যন্ত বন্ধ রাখতে হাইকোর্টের নির্দেশ ৪ বিভাগে বজ্রসহ বৃষ্টি হতে পারে উপস্থিতি প্রমাণ করে আস্থা ফিরেছে ভোটারদের: ইসি আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কার্যনির্বাহী সংসদের সভা আগামীকাল ওষুধের মূল্যবৃদ্ধি রোধে ব্যবস্থা নেয়ার নির্দেশ হাইকোর্টের বিএনপি সাংগঠনিকভাবে আরও দুর্বল হচ্ছে : কাদের নানা কর্মসূচিতে শেখ জামালের ৭১তম জন্মদিন পালিত খাদ্য ও পুষ্টি নিরাপত্তা নিশ্চিতে প্রধানমন্ত্রীর গুরুত্বারোপ মন্ত্রী-এমপি’র স্বজনদের উপজেলা নির্বাচন থেকে সরে দাঁড়ানোর নির্দেশ শহীদ ও মুক্তিযোদ্ধা পরিবারের সম্মানি বৃদ্ধির প্রস্তাব বিবেচনাধীন প্রতীক বরাদ্দের আগেই ডিজিটাল মিডিয়ায় প্রচারণা চালানো যাবে: ইসি লিটারে সয়াবিনের দাম বাড়লো ৪ টাকা, কমলো খোলায় বিমানবন্দরে প্রবাসীদের জন্য সেবা বৃদ্ধি পেয়েছে: দীপু মনি বাংলাদেশে গ্রিসের দূতাবাস হচ্ছে: পররাষ্ট্রমন্ত্রী
শনিবার, ০৪ মে ২০২৪, ০৬:০২ পূর্বাহ্ন

ইসলামে দাড়ি রাখার বিধান ও ফজিলত

মুহাম্মদ সুয়াইব আহমেদ / ৩৫৩ বার এই সংবাদটি পড়া হয়েছে
প্রকাশের সময় : মঙ্গলবার, ২৮ সেপ্টেম্বর, ২০২১

ইসলাম একটি পরিপূর্ণ জীবন বিধান। মানুষের জন্য কল্যাণকর সবকিছুকে ইসলামে স্বীকৃতি দেয়া হয়েছে আবার অকল্যাণকর বা ক্ষতিকর সবকিছুকে অস্বীকৃতি বা নিষেধ করা হয়েছে। ইসলামী শরিয়তের সবকিছুই পবিত্র কোরআন ও হাদীসের ওপর নির্ভরশীল। পবিত্র কোরআনে যা কিছু বলা হয়েছে তার সবকিছুই মহান আল্লাহর তরফ থেকে এসেছে আর মহান আল্লাহর সকল আদেশই ফরজ এবং যা হাদীসের মাধ্যমে এসেছে তা কিছু সময় ওয়াজিব আবার কিছু সময় সুন্নাত।

ইমাম বোখারী (রহ.) প্রমাণ করেছেন, ইসলামের বিধান শরীয়ত মতে, হযরত নবী সা. এর নিষেধাবলী হারাম হওয়া অর্থে এবং আদেশাবলী ফরজ ওয়াজিব হওয়া অর্থে পরিগণিত হবে। অবশ্য যদি সেই অর্থ উদ্দেশ্য না হওয়ার অন্য কোনো দলিল পাওয়া যায় তবে তা স্বতন্ত্র কথা। সেই হিসেবে প্রথমেই পবিত্র কোরআন মহান আল্লাহর একটি নিদর্শন যা তাঁর খালেস বান্দাদের জন্য প্রযোজ্য। যারা কোরআনের কথা বিনা বাক্য ব্যয়ে মেনে নিয়ে মহান আল্লাহর প্রিয়পাত্র তাদের পরিচয় দিতে গিয়ে তিনি বলেছেন ‘এটা সেই কিতাব যাতে কোন সন্দেহ নেই- মুত্তাকীদের পথ প্রদর্শক।

মহান আল্লাহ্‌ বলেছেন, অবশ্যই রাসুল সুসংবাদদাতা ও সতর্ককারী। তাঁর মর্যাদা ও গুরুত্ব বোঝাতে মহান আল্লাহ্‌ পবিত্র কোরআনে বলেছেন, আর যখন আল্লাহ্‌ ও তাঁর রাসুল কোনো বিষয়ে আদেশ প্রদান করেন, কোনো মুসলমান পুরুষ ও নারীর ওই কাজে কোনো অধিকার থাকে না। যে আল্লাহ্‌ ও তাঁর রাসুলের আদেশ পালন করবে না সে প্রকাশ্যভাবে পথভ্রষ্ট হবে।

অর্থাৎ আল্লাহ্‌ ও তাঁর রাসুল কোনো বিষয়ে মত দিলে কোনো মুসলমান নারী বা পুরুষের ওই কাজে কোনো মত থাকবে না। আর যদি কারো মত থাকে তবে সে অবশ্যই ভ্রান্ত। সেজন্যই ভ্রান্তদের দলে না থেকে দাড়ি রেখে মহানবীর আদর্শ অনুসরণ করা আবশ্যক। (অন্তত উপরের আলোচনা থেকে আমি নিশ্চিত এই ব্যাপারে।

ইসলাম ধর্মে দাড়ি রাখার অনেক ফজিলত বা উপকারীতা সম্পর্কে বর্ণিত আছে।

(১) দাড়ি রাখলে মহান আল্লাহ পাক ও তার রাসূল খুশি হন,

(২) দাড়ি রাখলে হাশরের ময়দানে শেষ বিচারের দিন নবীজির শাফায়াত লাভ হবে,

(৩) দাড়ি রাখলে সকল নবী-রাসূলগণের সাদৃশ্য গ্রহণ করা হয়,

(৪) দাড়ি রাখলে কবরের আজাব মাফ হয়ে যায়,

(৫) দাড়ি চেহারার সৌন্দর্য্য বাড়ায় ও বীরত্বের পরিচয় বহন করে,

(৬) কিয়ামতের দিন অন্ধকার সময়ে মুমিনের দাড়ি নূরে (আলোয়) পরিণত হবে,

(৭) ঈমান ও আমল ঠিক থাকলে দাড়িওয়ালা ব্যক্তিদের সাক্ষাৎ এবং হাশর হবে নবী ও ওলীদের সঙ্গে,

(৮) দাড়ি একজন মুসলমানকে অনেক পাপ কাজ থেকে বাঁচিয়ে রাখে,

(৯) দাড়ি ইসলামী সভ্যতার ও মুসলমানের অন্যতম প্রতীক, দাড়ির মাধ্যমে একজন মুসলিমকে সহজে চেনা যায়,

(১০) দাড়ি রাখলে কবরে প্রশ্নকারী ফেরেশতা মুনকার-নাকীরের সওয়াল-জাওয়াব সহজ হয়

পরিশেষে বলা যায় যে, হাদীসে লূত সম্প্রদায়ের কথা উল্লেখ রয়েছে, যে সম্প্রদায়কে মহান আল্লাহ তায়ালা ধ্বংস করে দিয়েছিলেন। আর এ ধ্বংসের পেছনে যে ১০টি কারণ ছিলো ‘দাড়ি না রাখা এবং গোফ বড় রাখা’ তাদের অন্যতম একটি কারণ ছিল।তাই আমাদের উচিত ধর্মের প্রতি শ্রদ্ধাশীল হয়ে এবং নিজের আখিরাতের কথা ভেবে দাড়ি রেখে দেয়া। কারণ ইসলাম ধর্মে দাড়ির রাখার গুরুত্ত্ব অনেক ।


আপনার মতামত লিখুন :

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এই ক্যাটাগরির আরো সংবাদ