শিরোনাম
The Safest Online Gaming Sites: A Comprehensive Guide চাঁদপুর জমিন পত্রিকার ২৫ বছরে পদার্পণে মিলাদ সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের জ্ঞাতার্থে অবগতি পত্র প্রশিক্ষণ যুদ্ধবিমান বিধ্বস্ত হয়ে পাইলটের মৃত্যু বাইডেনের অস্ত্র সরবরাহ বন্ধের হুমকি খুবই হতাশাজনক: ইসরাইল প্রথম ফ্লাইটে সৌদি আরব গেলেন ৪১০ জন হজযাত্রী ৪৬তম বিসিএস প্রিলিমিনারির ফল প্রকাশ, উত্তীর্ণ ১০৬৩৮ দেশবরেণ্য পরমাণু বিজ্ঞানী ওয়াজেদ মিয়ার ১৫তম মৃত্যুবার্ষিকী উপজেলা ভোট অবাধ ও শান্তিপূর্ণ হয়েছে: সিইসি অ্যাস্ট্রাজেনেকা টিকার বিষয়ে অনুসন্ধান চলছে: স্বাস্থ্যমন্ত্রী বিএসএফ’র গুলিতে দুই বাংলাদেশী নিহত গাজীপুরের তিন উপজেলায় ভোটগ্রহণ শুরু সারাদেশে পরিবেশ রক্ষায় গাছ কাটা নিয়ন্ত্রণে হাইকোর্টের রুল কেনিয়ায় বাঁধ ভেঙে ৪২ জন নিহত স্কুল-মাদরাসা বৃহস্পতিবার পর্যন্ত বন্ধ রাখতে হাইকোর্টের নির্দেশ
শনিবার, ১৮ মে ২০২৪, ০২:৫২ পূর্বাহ্ন

মতলব উত্তরে বিলুপ্তির পথে বিলের পাখি ডাহুক

মতলব উত্তর প্রতিনিধি / ২৬০ বার এই সংবাদটি পড়া হয়েছে
প্রকাশের সময় : সোমবার, ২৭ সেপ্টেম্বর, ২০২১

ডাহুক নামটি অনেক সুন্দর হওয়ায় পল্লী কবি জসিম উদ্দিনসহ অসংখ্য লেখকের গান, গল্প, কবিতা ও নাটকে বহুবার উঠে এসেছে এই পাখির নামটি। নিসর্গের কবি জীবনানন্দ লিখেছেন, মালঞ্চে পুষ্পিতা অবনতামুখী/ নিদাঘের রৌদ্রতাপে একা সে ডাহুকী/ বিজন তরুণ শাখে ডাকে ধীরে ধীরে/ বনচ্ছায়া অন্তরালে তরল তিমিরে।


চাঁদপুরের বৈচিত্রপূর্ণ জনপদ মতলব উত্তর  উপজেলায় গ্রামের তেপান্তর পুকুর, খাল-বিল, হাওর-বাওড় জলাভূমি ও পতিত পুকুরের ঝোপে-ঝাড়ে থাকা এই পাখিটি এখন হারিয়ে যাচ্ছে। রাতে কোয়াক কোয়াক ডাক শুনে সহজেই চিনতে পারা যায় তাকে। ডাহুকের লেজ ছোট। লেজের নিচের অংশ লালচে আভা সমৃদ্ধ। পিঠের রং ধূসর থেকে খয়েরী-কালো, মাথা ও বুক সাদা। পা লম্বা। ঠোঁট হলুদ, ঠোঁটের উপরে লাল রঙের একটি ছোট দাগ আছে। দেহ কালচে। মুখমন্ডল, গলা, বুক ও পেট সম্পূর্ণ সাদা।

মাটিতে ঝোপের তলায় এরা বাসা বাঁধে। জুন থেকে সেপ্টেম্বর এদের প্রজননকাল। ৬/৭টি ডিম পাড়ে। ডিমের রং ফিকে হলুদ বা গোলাপী মেশানো সাদা। ডাহুক-ডাহুকী উভয়েই ডিমে তা দেয়। ডাহুক আসলে চিরবিরহী একটি পাখি। সঙ্গীহীন হলে এরা পাগল হয়ে যায়। বাচ্চাদের রং সব সময় হয় কালো। জলজ পোকা-মাকড়, উদ্ভিদের কচি ডগা, শ্যাওলা এদের প্রিয় খাবার। পাখিটি বাংলাদেশ, ভারত ছাড়াও দক্ষিণ ও দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার বিভিন্ন দেশে দেখা যায়। কোনো কোনো জায়গায় এদেরকে ডাইক, পান পায়রা, ধলাবুক ডাহুক নামেও ডাকা হয়। সারা পৃথিবীতে প্রায় ৮৩ লাখ ৪০ হাজার বর্গ কিলোমিটার জুড়ে এদের আবাস। বাংলাদেশ বন্যপ্রাণী আইনে ডাহুক পাখিকে সংরক্ষিত ঘোষণা করা হয়েছে। কিন্তু আমাদের অসতর্কতার কারণে হারিয়ে যাচ্ছে পাখিটি। ডাহুক খুব সতর্ক পাখি। আত্মগোপনে পারদর্শী। বাসা করে পানির কাছে ঝোপঝাড়ের ভেতরে অথবা ছোট গাছের ঝোপালো ডালে। নিরাপত্তা ঠিকঠাক থাকলে মাটিতেও বাসা করে। প্রকৃতির নানা প্রতিকূলতায়ও দারুণ লড়াকু পাখি এরা।

উপজেলার মোহনপুর ইউনিয়নের খান বাড়ির বাসিন্দা কবি নুর মোহাম্মদ খান  বলেন, আমাদের মাথাভাঙ্গা বালুরচর এলাকায় ডাহুক দেখা যায়। বাড়ির সামনের ডোবার পাশে ঝোপে কতগুলো ডাহুক বাস করে।
কখনো দল বেঁধে ছানাসহ এরা বাইরে আসে। একটু শব্দ হতেই মা ডাহুকী তার বাচ্চাদের নিয়ে উধাও। চলে গেছে নিরাপদ আশ্রয়ে। তিনি বলেন, এখানে ডাহুক ধরতে আসে কিছু পাখি শিকারী। কিন্তু আমরা এইসব শিকারীদের সন্ধান পেলে তাড়া করি। এরপরও শিকারীরা থেমে নেই।


আপনার মতামত লিখুন :

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এই ক্যাটাগরির আরো সংবাদ