চাঁদপুরের ফরিদগঞ্জে চকলেট খাওয়ানোর লোভ দেখিয়ে ৭ বছরের এক শিশু ধর্ষণের স্বীকার হয়েছে। এই ঘটনায় অভিযুক্ত আল-আমিন হোসেনকে (২০)কে ধর্ষণের ছয় ঘণ্টার মধ্যে আটক করতে সক্ষম হয়েছে পুলিশ।
মঙ্গলবার (৩১ আগস্ট) উপজেলার চরদুঃখিয়া পশ্চিম ইউনিয়নের দক্ষিণ বিষকাঁটালি গ্রামে এমন পাশবিক নির্যাতনের স্বীকার হয় ৭ বছরের শিশুটি।
পুলিশ ও ধর্ষণের স্বীকার শিশুর পরিবার সূত্রে জানা গেছে, মঙ্গলবার বিকেলে শিশুটিকে পাশের বাড়ি রাবেয়া কাছে আরবী পড়তে দিয়ে শিশুর মা আলগী বাজারে যায় এবং সন্ধ্যায় বাড়ি ফিরলে শিশুটি তার মাকে এমন পাশবিক নির্যাতনের কথা কাঁদতে কাঁদতে জানায়। এদিকে ধর্ষকের মামাসহ তার পরিবারের লোকজন ধর্ষিত শিশুর পরিবারকে মামলা না দেওয়ার জন্য হুমকি দিচ্ছে বলে ভুক্তোভুগী পরিবার জানায়। এছাড়া একটি প্রভাবশালী মহল ঘটনাটি ধামাচাপা দেয়ার চেষ্টায় ওই পরিবারকে ভয়-দেখিয়ে সমঝোতার জন্য উঠেপড়ে লাগে এবং শিশুটিকে ডাক্তারের কাছে নিতে বাঁধা প্রদান করে। নিরূপায় হয়ে শিশুটির পরিবারের লোকজন ফরিদগঞ্জ থানায় ফোন করে।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এলাকার লোকজন জানান, অভিযুক্ত ধর্ষক আল-আমিন কর্তৃক ইতিপূর্বেও একই বাড়ির বিধবা ও বৃদ্ধা দুই মহিলা অনুরূপ ঘটনার শিকার হয়েছেন। লোকলজ্জার ভয়ে তারা তখন কোনো প্রকার আইনের আশ্রয় নেননি।
থানার ওসি (তদন্ত) বাহার মিয়া ঘটনাটি শুনা মাত্রই রাতেই উপ-পরিদর্শক নূরুল ইসলাম, বরকত উল্যা, এ এস আই শিকদার হাসিবুর রহমান, জুমায়েত হোসেনকে সঙ্গে নিয়ে ওই এলাকায় অভিযান চালিয়ে অভিযুক্ত ধর্ষক পালিয়ে যাওয়ার সময় তার মামার বাড়ি থেকে আটক করে। ১ সেপ্টেম্বর বুধবার দুপুরে শিশুর মা বাদী হয়ে মামলা দায়ের করলে পুলিশ আটককৃত আল-আমিনকে চাঁদপুর আদালতে প্রেরণ করে। এছাড়া ঐ শিশুকে পুলিশি হেফাজতে নিয়ে ডাক্তারি পরীক্ষার জন্য চাঁদপুর মেডিকেলে প্রেরণ করেন।
এ বিষয়ে ফরিদগঞ্জ থানার অফিসার ইনচার্জ মোহাম্মদ শহীদ হোসেন জানায়, ধর্ষককে আটকের পর জিজ্ঞাসা করলে ধর্ষণের কথা স্বীকার করে এবং ধর্ষণের শিকার শিশুটি চাঁদপুর জেনারেল হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছে।