শিরোনাম
‘মেট্রোরেলে ভ্যাট পুনর্বিবেচনার আশ্বাস দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী’: কাদের দুই লক্ষ আনসার-ভিডিপি সদস্য মোতায়েন মধ্যরাত থেকে মাছ আহরণ বন্ধ ৬৫ দিনের জন্য চলতি মাসের ১৭ দিনে দেশে এলো ১৩৬ কোটি ডলার স্বর্ণের ভ‌রি ১ লাখ ১৯ হাজার টাকা ছাড়াল পায়রা বন্দরের সাথে সড়ক ও রেলের সংযোগ বাড়ানোর সুপারিশ পাকিস্তানে গাড়ি খাদে পড়ে নিহত ১৪ মিডিয়া ট্রায়াল পুরোপুরি বন্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে: আইজিপি সামান্য অর্থ বাঁচাতে দেশ ধ্বংস করবেন না: প্রধানমন্ত্রী বজ্রপাতে তিন জেলায় ৭ জনের মৃত্যু যুক্তরাষ্ট্রে পৌঁছেছে বাংলাদেশ ক্রিকেট দল দ্বিতীয় ধাপের উপজেলা ভোটের মাঠে ১৫৭ ম্যাজিস্ট্রেট চাঁদপুর জমিন পত্রিকার ২৫ বছরে পদার্পণে মিলাদ হিলি বন্দর দিয়ে পেঁয়াজ আমদানি শুরু জলবায়ু পরিবর্তন ইস্যুতে একসঙ্গে কাজ করার প্রত্যাশা যুক্তরাষ্ট্রের
সোমবার, ২০ মে ২০২৪, ০৫:৫৩ অপরাহ্ন

বঙ্গবন্ধু হত্যার পেছনে কারা ছিল একদিন বের হবে: প্রধানমন্ত্রী

দর্পণ ডেস্ক / ১৪৩ বার এই সংবাদটি পড়া হয়েছে
প্রকাশের সময় : শনিবার, ১৪ আগস্ট, ২০২১
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা (ফাইল ছবি)

আওয়ামী লীগের সভাপতি ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, আমরা জাতির পিতার হত্যার বিচারের রায় কার্যকর করেছি। আশা করি, ১৫ আগস্ট জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে সপরিবারে হত্যার ষড়যন্ত্রের পেছনে কারা ছিল, সেটাও একদিন বের হয়ে আসবে।

শনিবার (১৪ আগস্ট) জাতীয় শোক দিবস উপলক্ষে দেয়া এক বাণীতে তিনি এ কথা বলেন।

প্রধানমন্ত্রী আরও বলেন, জাতীয় চার নেতা হত্যার বিচারও সম্পন্ন হয়েছে। একাত্তরের মানবতাবিরোধী-যুদ্ধাপরাধীদের বিচারের রায় কার্যকর করা হচ্ছে।

তিনি বলেন, স্বাধীনতাবিরোধী সাম্প্রদায়িক গোষ্ঠী এবং উন্নয়ন ও গণতন্ত্র বিরোধী চক্রের যে কোনো অপতৎপরতা-ষড়যন্ত্র ঐক্যবদ্ধভাবে মোকাবিলা করার জন্য সর্বদা প্রস্তুত থাকতে হবে। জাতির পিতাকে হারানোর শোককে শক্তিতে পরিণত করে বঙ্গবন্ধুর স্বপ্নের অসাম্প্রদায়িক, ক্ষুধা ও দারিদ্র্যমুক্ত সোনার বাংলাদেশ গড়ে তুলতে সবাইকে ঐক্যবদ্ধ হয়ে কাজ করার আহ্বান জানান বঙ্গবন্ধুকন্যা। ঘাতকচক্র বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবকে হত্যা করলেও তার স্বপ্ন ও আদর্শের মৃত্যু ঘটাতে পারেনি বলে মন্তব্য করেন তিনি।

শেখ হাসিনা বলেন, বঙ্গবন্ধুকে হত্যার মধ্য দিয়ে ঘাতকরা বাঙালির ঐতিহ্য, সংস্কৃতি ও অগ্রযাত্রাকে স্তব্ধ করার অপপ্রয়াস চালায়। ঘাতকদের উদ্দেশ্যই ছিল অসাম্প্রদায়িক গণতান্ত্রিক বাংলাদেশের রাষ্ট্রকাঠামাকে ভেঙে আমাদের কষ্টার্জিত স্বাধীনতাকে ভূলুণ্ঠিত করা।

তিনি বলেন, এই জঘন্য হত্যাকাণ্ডের সঙ্গে জড়িত স্বাধীনতাবিরোধী চক্র ’৭৫-এর ১৫ আগস্টের পর থেকেই হত্যা, ক্যু ও ষড়যন্ত্রের রাজনীতি শুরু করে। তারা ইনডেমনিটি অর্ডিন্যান্স জারি করে বঙ্গবন্ধু হত্যার বিচারের পথকে বন্ধ করে দেয়।

বঙ্গবন্ধুকন্যা বলেন, বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ ১৯৯৬ সালের ১২ জুনের সাধারণ নির্বাচনে বিজয়ী হয়ে দীর্ঘ ২১ বছর পর সরকার গঠন করে। অতীতের জঞ্জাল সরিয়ে ১৯৯৬ থেকে ২০০১ এই ৫ বছরে দেশে আর্থসামাজিক উন্নয়নের এক নবদিগন্তের সূচনা হয়। আমরা জাতির পিতার হত্যার বিচার শুরু করি। কিন্তু বিএনপি-জামায়াত জোট সরকার ২০০১ সালে ক্ষমতায় এসে আবার এই হত্যার বিচার কাজ বন্ধ করে দেয়। জঙ্গিবাদ-সন্ত্রাসবাদ নির্মূলে সরকারের ‘জিরো টলারেন্স’ নীতির কথা উল্লেখ করেন টানা তিনবারের প্রধানমন্ত্রী। সংবিধান সংশোধনের মাধ্যমে অবৈধ ক্ষমতা দখলের পথ বন্ধ করার উল্লেখ করে শেখ হাসিনা বলেন, সংবিধানে পঞ্চদশ সংশোধনীর মাধ্যমে অসাংবিধানিকভাবে ক্ষমতা দখলের সুযোগ বন্ধ হয়েছে। টানা তিন মেয়াদে দেশের উন্নতি ও অগ্রগতির কথা তুলে ধরে প্রধানমন্ত্রী বলেন, গত সাড়ে ১২ বছরে দেশের প্রতিটি সেক্টরে কাঙ্ক্ষিত অগ্রগতি অর্জন করেছে। আর্থ-সামাজিক উন্নয়নে বাংলাদেশ বিশ্বে ‘রোল মডেল’ হয়েছে। আমরা জাতির পিতার জন্মশতবার্ষিকী এবং বাংলাদেশের স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তী উদযাপন করছি। এই সময়ে বাংলাদেশ উন্নয়নশীল দেশের মর্যাদা অর্জন করেছে।

তিনি বলেন, বর্তমান প্রাণঘাতী করোনাভাইরাসের মহামারির মধ্যেও আমরা আমাদের অর্থনীতির চাকাকে সচল রাখতে সক্ষম হয়েছি। আমাদের সরকার ২০৪১ সালের মধ্যে উন্নত-সমৃদ্ধ দেশে পরিণত করার লক্ষ্য নিয়ে নিরলসভাবে কাজ করে যাচ্ছে।

প্রধানমন্ত্রী ১৫ আগস্টের শহীদের কথা স্মরণ করেন এবং তাদের রুহের মাগফেরাত কামনা করেন।

১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্টে ঘাতকরা সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ বাঙালি, জাতির পিতা রাষ্ট্রপতি বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে সপরিবারে নির্মমভাবে হত্যা করে।

জাতির পিতার সহধর্মিণী বঙ্গমাতা ফজিলাতুন নেছা মুজিব, তিন পুত্র বীর মুক্তিযোদ্ধা ক্যাপ্টেন শেখ কামাল, বীর মুক্তিযোদ্ধা লেফটেন্যান্ট শেখ জামাল, দশ বছরের শিশুপুত্র শেখ রাসেল, পুত্রবধূ সুলতানা কামাল ও রোজী জামাল, বঙ্গবন্ধুর সহোদর শেখ আবু নাসের, কৃষকনেতা বীর মুক্তিযোদ্ধা আব্দুর রব সেরনিয়াবাত, যুবনেতা বীর মুক্তিযোদ্ধা শেখ ফজলুল হক মণি ও তার অন্তঃসত্ত্বা স্ত্রী আরজু মণি, বেবী সেরনিয়াবাত, আরিফ সেরনিয়াবাত, সাংবাদিক শহিদ সেরনিয়াবাত, সুকান্ত বাবু, আব্দুল নঈম খান রিন্টুসহ পরিবারের ১৮ জন সদস্যকে হত্যা করে ঘাতকরা।

রাষ্ট্রপতির সামরিক সচিব ব্রিগেডিয়ার জেনারেল জামিল, কর্তব্যরত পুলিশের বিশেষ শাখার এএসআই সিদ্দিকুর রহমান, সেনা সদস্য সৈয়দ মাহবুবুল হকও সেদিন নিহত হন। ঘাতকদের কামানের গোলার আঘাতে মোহাম্মদপুরে একটি পরিবারের বেশ কয়েকজন হতাহত হন।


আপনার মতামত লিখুন :

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এই ক্যাটাগরির আরো সংবাদ