চাঁদপুরের ফরিদগঞ্জ উপজেলার জেলে অনাথ দাস হত্যকাণ্ডের রহস্য উন্মোচন করেছে চাঁদপুর পিবিআই (পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশন)। লাশ উদ্ধারের ৫ দিনের মধ্যে রহস্যের ভেদ করতে সক্ষম হয় তারা।
বৃহস্পতিবার রাতে পিবিআই চাঁদপুরের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার জুনায়েত কাউছার সংবাদ বিজ্ঞিপ্তির মাধ্যমে বিষয়টি নিশ্চিত করেন।
আরো পড়ুন…ফরিদগঞ্জে জেলের গলিত লাশ উদ্ধার
পিবিআই জানায়, জমিসংক্রান্ত বিরোধের জের ধরে অর্থের বিনিময়ে তাকে হত্যা করে লাশ খালের পানিতে ফেলা দেয়া হয়। ঘটনার সঙ্গে জড়িত সন্দেহে আটক পাইকপাড়া দক্ষিণ ইউনিয়েনের সেকান্দর গাইন ওরফে শেখার ছোট ছেলে সোহাগকে পুলিশ আটকের পর সে হত্যার কথা স্বীকার করে এবং আদালতে ১৬৪ ধারায় জবানবন্দি দেয়। সোহাগের কাছ থেকে অনাথ দাসের মোবাইলটি উদ্ধার করা হয়। এই হত্যাকাণ্ডের সঙ্গে জমিসংক্রান্ত বিরোধের মূলহোতা সুবল দাসসহ ৪ জন জড়িত বলে জানা গেছে।
জানা গেছে, পাইকপাড়া দক্ষিণ ইউনিয়েনের খুরুমখালী গ্রামের জেলে অনাথ দাস ১৮ বছর আগে নিজের চাচাতো ভাই সুবল দাসের কাছ থেকে ৩ শতক জমি কিনেছেন। সেই ক্রয়কৃত জমি তিনি শেষ পর্যন্ত বুঝে পাননি। কিন্তু জমি দখলস্বত্ব বুঝে পেতে বছরের পর বছর সালিশ বৈঠকসহ সবকিছুই করেছেন। ত্রিশ হাজার টাকার জমির জন্য খরচ করেছেন লাখ টাকা। শিকার হয়েছেন মারধরের।
স্থানীয় লোকজন জানান, গত সোমবার সকালে তিনি কড়ৈতলীর পার্শ্ববর্তী শাহী বাজারে মাছ বিক্রি করতে যান। মাছ বিক্রি করে তিনিসহ লোকজন এসে কড়ৈতলী বাজারের একটি চায়ের দোকানে এসে চা খান। পরে সেখানেই তার কাছে একটি ফোন আসে। এরপর তার সঙ্গীদের কাছে তার কাজ আছে বলে চলে যান। এরপর থেকে তার আর খোঁজ মেলেনি।
শেষ পর্যন্ত নিখোঁজের সাত দিন পর তার অর্ধগলিত দেহ উদ্ধার হয়। ফরিদগঞ্জ থানায় নিহতের ছেলে সুভাষ দাস মামলা দায়ের করেন। একই সঙ্গে ছায়াতদন্তে নেমে পিবিআই হত্যাকাণ্ডের রহস্যজাল ভেদ করে।