বাংলাদেশি নাগরিকরা এখন থেকে করোনাভাইরাসের ভ্যাকসিন ২৫ বছর হলেই নিতে পারবেন।
করোনার ভ্যাকসিন নিতে নিবন্ধনের জন্য সুরক্ষা অ্যাপে বয়সসীমা ২৫ বছর ও তদূর্ধ্ব করা হয়েছে।
আজ বৃহস্পতিবার করোনার টিকার নিবন্ধনের সুরক্ষা অ্যাপে নিবন্ধন করতে গিয়ে দেখা যায়, ২৫ বছরের বেশি বাংলাদেশি নাগরিকরা করোনার টিকা নেওয়ার জন্য আবেদন করতে পারছেন।
ফলে ২৫ বছর বা তার বেশি বয়সী বাংলাদেশিরা এখন থেকে করোনাভাইরাসের টিকা নিতে পারবেন। করোনার টিকা নিতে নিবন্ধনের জন্য সুরক্ষা অ্যাপে এই বয়সসীমা ২৫ বছর ও তদূর্ধ্ব করা হয়েছে।
গতকাল বুধবার বুধবার দুপুরে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের নিয়মিত করোনা বুলেটিনে অধিদপ্তরের মুখপাত্র ও লাইন ডিরেক্টর অধ্যাপক ডা. নাজমুল ইসলাম বলেন, ”অক্সফোর্ডের ভ্যাকসিন কার্যক্রম আমরা শুরু করেছিলাম, কিন্তু মাঝখানে ভ্যাকসিন সরবরাহ না থাকার কারণে বন্ধ করে দেওয়া হয়। বর্তমানে বন্ধুপ্রতীম জাপানের কাছ থেকে কিছু ভ্যাকসিন পেয়েছি। আশা করছি শিগগিরই ভ্যাকসিন কার্যক্রম শুরু করতে পারব।”
দীর্ঘদিন আগে ভ্যাকসিন এলেও এখনও কার্যক্রম শুরু না হওয়ার কারণ জানতে চাইলে নাজমুল ইসলাম বলেন: অভ্যন্তরীণ প্রক্রিয়া সংক্রান্ত কারণে আমরা এখনও শুরু করতে পারছি না। অপেক্ষা করছি আরও কিছু ভ্যাকসিন আসার। তবে আপনাদের আশ্বস্ত করতে পারি যে, অল্প সময়ের মধ্যেই এই কার্যক্রম শুরু হয়ে যাবে।
গত ৭ ফেব্রুয়ারি দেশে গণটিকাদান কার্যক্রম শুরু হয়। এরপর দিন করোনার ভ্যাকসিন জন্য নিবন্ধনের জন্য ৪০ বছর বয়স সীমা নির্ধারণ করে সরকার। ওই দিন দুপুরে সচিবালয়ে মন্ত্রিসভার বৈঠকে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এই নির্দেশনা দেন। এর আগে ৫৫ বছর বয়সীদের ভ্যাকসিনের জন্য নিবন্ধন করার অনুমোদন দেওয়া হয়েছিল। এরপর ৩০ বছর ভ্যাকসিন নেওয়ার বয়সসীমা নির্ধারণ করা হয়েছিল।