করোনাকে উপেক্ষা করে ঈদের আনন্দে চাঁদপুর বড় স্টেশন মোলহেডের ত্রি-নদীর মোহনায় মেতে উঠেছেন দর্শনার্থীরা। ঈদের আনন্দকে ভাগাভাগি করে নিতে চাঁদপুরের বড় স্টেশন মোলহেডে ছিল দর্শনার্থীদের উপচে পড়া ভীড়। স্বাস্থ্যবিধি না মেনেই চাঁদপুরসহ বিভিন্ন জেলা থেকে আসা দর্শনার্থীরা মোহনায় ভিড় জমাচ্ছেন। ঈদ আনন্দ উদযাপনে বিভিন্ন শ্রেণিপেশার মানুষ ঘুরতে এসেছেন পরিবার-পরিজন নিয়ে।
ঈদের দিনগুলো অন্যদিনের থেকে বিশেষ। তাই পরিবার-পরিজন নিয়ে ঘুরতে এসেছি বলে জানালেন জোসনা বেগম। তিনি বলেন, বছরের অন্য সময়গুলোতে আমরা ব্যস্ত থাকি সংসার নিয়ে। ঈদ এলে স্বামী, ছেলেমেয়েদের নিয়ে ঘুরতে বের হই। যদিও করোনার প্রভাব রয়েছে। এরপরও ঈদ বলে কথা।
স্থানীয় কাউন্সিলর ফরিদা ইলিয়াস বলেন, বড় স্টেশন মোলহেডে দর্শনার্থীদের নিরাপত্তা এবং সব ধরনের সুযোগ-সুবিধা দেওয়া হচ্ছে। কিন্তু করোনা পরিস্থিতিতে দর্শনার্থীদের স্বাভাবিক চলাফেরায় আমরা উদ্বিগ্ন। জানি না কি হয়। এরপরও বলি আল্লাহ যেন সবাইকে হেফাজত করেন।
বিকেলে মোলহেডে সরেজমিনে গিয়ে দেখা গেছে ঈদ আনন্দ উপভোগ করতে আসা শিশু, কিশোর, তরুন-তরুনিসহ বিভিন্ন বয়সী মানুষের উপস্থিতি। শিশুরা আনন্দ উপভোগ করছে বিভিন্ন ধরণের রাইডারে। তরুন-তরুনিরা ট্রলার করে মেঘনা নদী ভ্রমন করছে। আবার কেউবা মোলহেডে গাছের নীচে আড্ডা দিয়ে। স্বাস্থ্যবিধিত মানাই হচ্ছে না, বরং অনেকের মুখেই মাস্কও নেই।
চাঁদপুর জেলা সদরে ভাল কোন বিনোদন কেন্দ্র নেই। একমাত্র তিন নদীর মোহনাই লাখ লাখ মানুষের সময় কাটানোর স্থান। যে কারণে নদীর অপরূপ সৌন্দর্য উপভোগ করতে ভ্রমন পিপাসুরা এখানেই ছুটে আসে। করোনার বিধি-নিষেধ তাদেরকে আটকে রাখতে পারেনি। শুক্রবার ঈদের দিনেও ভীড় ছিলো মোলহেডে।
চাঁদপুর স্বাস্থ্য বিভাগ সূত্রে জানা গেছে, চাঁদপুরে করোনায় আক্রান্ত থেমে নেই। প্রতিদিনই কেউ না কেউ আক্রান্ত হচ্ছেন। এ পর্যন্ত শতাধিক মানুষের মৃত্য হয়েছে করোনায়।
অপরদিকে সারাদেশে আজও ২২ জনের করোনায় মৃত্যু হয়েছে। পাশের দেশে ভারতে করোনায় প্রতিদিন হাজার হাজার মানুষের মৃত্যু হয়েছে। সরকারের পক্ষ থেকে বলা হয়েছে ঈদ যাত্রায় শহরের মানুষ গ্রামে। এমন পরিস্থিতিতে করোনাভাইরাস সংক্রমণ বৃদ্ধির আশঙ্কাই বেশী।