করোনা ভাইরাসের ২য় ঢেউ প্রকোপ আকার ধারন করায় সরকারের ঘোষিত সাত দিনের কঠোর ভাবে লকডাউন গ্রহন করায় তার বাস্তবায়ন জন্য ফরিদগঞ্জ উপজেলা প্রশাসন ও থানা পুলিশ কঠোর তৎপরতা চালিয়ে যাচ্ছেন। লকডাউনের ৪র্থ দিনও শনিবার (১৭ এপ্রিল) ভ্রাম্যমান আদালতের অভিযান অব্যাহত।
শনিবার (১৭ এপ্রিল) সকাল থেকে বিকেল পযর্ন্ত উপজেলার প্রধান সড়ক ও বাজারে গিয়ে অযথা ঘুরাঘুরি না করে মানুষকে ঘরে থাকার জন্য নির্দেশ করেন উপজেলা নির্বাহী অফিসার শিউলী হরি ও থানার অফিসার ইনচার্জ মোহাম্মদ শহীদ হোসেন।
সরকারের পূর্ণ লকডাউন নির্দেশ অমান্য করে ব্যবসায়ীরা দোকানপাট খোলা ও রিক্সা অটোরিক্সা, সিএনজি-পিকআপ, চলাচল করার অপরাধে উপজেলা নিবার্হী ম্যাজিস্ট্রেট শারমিন আক্তার ও থানা অফিসার ইনচার্জ শহীদ হোসেননেতৃত্বে উপজেলার বিভিন্ন হাট-বাজারগুলোতে ভ্রম্যমান আদালতের অভিযান অব্যাহত রাখেন। স্বাস্থ্যবিধি ও মাক্স না পড়ার কারনে জরিমানা ও মামলা দেওয়া হয় অনেক কে। প্রশাসন এতকিছু করার পরও স্বাস্থ্যবিধি মানছে না অনেকেই।
ফরিদগঞ্জ বাজার, রুপসা বাজার নয়ারহাট সহ বিভিন্ন বাজারে সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায় প্রশাসনের অভিযান পরিচালনা করা পর প্রশাসন চলে গেলে পুনরায় দোকানদার দোকান খুলে ফেলেন। অন্যদিনের চেয়ে আজকে লকডাউন ছিল খুবই করাকরি।
এদিকে পৌর সদরে মাছ ভাজার কাঁচাবাজার মাংস বাজার জায়গা পরিবর্তন করার জন্য প্রশাসনের কাছে দাবি জানান অনেকেই।
এ সময় উপজেলা নির্বাহী অফিসার শিউলী হরি বলেন, দেশে করোনার প্রভাব দিনে দিনে বৃদ্ধি পাচ্ছে তাই আপনারা ঘর থেকে বের না হয়ে নিরাপদ স্থানে থাকুন। কেউ প্রয়োজন ছাড়া রাস্তায় কিংবা বাজারে আসবেন না।
অফিসার ইনচার্জ মোহাম্মদ শহীদ হোসেন বলেন, সারা দেশে করোনা ভাইরাসের প্রাদুর্ভাব দিন দিন বেড়ে চলছেই, তাই অপ্রয়োজনে কেউ ঘর থেকে বের হবেন না। দোকান পাট নিদিষ্ট সময়ের পর খোলা রাখা যাবে না। নিজে সচেতন থাকুন নিজের পরিবারকে নিরাপদ রাখুন।