বাংলাদেশ সুপ্রিম পার্টি’র চেয়ারম্যান সাইয়্যিদ সাইফুদ্দীন আহমদ আল হাসানী মাইজভাণ্ডারী বলেছেন, মহান মুক্তিযুদ্ধে ভারতের অবদান প্রত্যেক বাংলাদেশী চিরকাল শ্রদ্ধার সাথে স্মরণ করবে। বাংলাদেশের ও ভারতের সার্বিক উন্নয়ন ও অগ্রগতির জন্য পারস্পরিক সুসম্পর্ক ও সহযোগিতার কোন বিকল্প নেই। কিন্তু তিস্তার জলবণ্টন ও সীমান্ত হত্যা বিষয়ে ভারতের প্রতিশ্রুতির বাস্তবায়ন আমরা দেখছি না। এটা অত্যন্ত হতাশাজনক।
তিনি বলেন,তিস্তার জলবণ্টনের ওপর নির্ভর করছে উত্তরাঞ্চলের অন্তত ২ কোটি মানুষের জীবন। দেশের সবচেয়ে বড় সেচ প্রকল্প, “তিস্তা সেচ প্রকল্প”র জন্য ১০ হাজার কিউসেক আর নদীর ন্যূনতম ধারা ধরে রাখতে ৪ হাজার কিউসেক পানি প্রয়োজন । অথচ দুই-তিন হাজার কিউসেক পানির নিশ্চয়তাও নেই। উজানে ভারতের এক তরফা পানি প্রত্যাহারের ফলে তিস্তা সেচ প্রকল্পের ১ লাখ ১১ হাজার হেক্টর আবাদযোগ্য এলাকা কমতে কমতে ঠেকেছে ৫০ হাজার হেক্টরে। ফলে উত্তরাঞ্চল ক্রমাগত মরুভূমি হতে শুরু করেছে।এ অঞ্চলে বন্যা ও ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতির কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে। মানবাধিকার সংস্থার মতে, ২০০০-২০১৯ মধ্যে বাংলাদেশ-ভারত সীমান্তে কমপক্ষে ১,১৮৫ বাংলাদেশিকে গুলি বা নির্যাতন করে হত্যা করেছে বি.এস.এফ.।
এটা কখনো বন্ধুপ্রতিম দেশের আচরণ হতে পারে না। সীমান্তে কেউ আইন লঙ্ঘন করলে, নিয়মতান্ত্রিকভাবে তার বিচার হতে হবে। এভাবে নির্বিচারে হত্যা আন্তর্জাতিক আইন ও মানবাধিকারের সুস্পষ্ট লঙ্ঘন। তিনি আরো বলেন, সীমান্তে হত্যা বন্ধে ভারতের প্রতিশ্রুতি রক্ষায় চাপ বাড়াতে হবে এবং এ পর্যন্ত নির্বাচারে যত হত্যাকাণ্ড সংঘটিত হয়েছে তার সুষ্ঠু বিচার নিশ্চিত করতে হবে।
২৭শে মার্চ চট্টগামের হাটাহাজারীর ফতেপুর দারুল মোস্তফা মডেল মাদ্রাসা ৬ ষ্ঠ বাষিক সভা ,পবিত্র ঈদ-এ-মিলাদুন্নবী (সা:) এবং পবিত্র শব-ই-বরাত এর তাৎপর্য শীর্ষক আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
আলহাজ্ব নুরুল ইসলাম পুতুল এর সভাপতিত্বে উদ্বোধক ছিলেন মূফতি সোলায়মান আনসারী। প্রধান আলোচক ছিলেন মওলানা ওমায়ইর রেজবী , মূফতি আব্দুল ওয়াজেদ প্রমুখ।