‘বাংলাদেশ সুপ্রিম পার্টি’র চেয়ারম্যান, সাইয়্যিদ সাইফুদ্দীন আহমদ আল হাসানী বলেছেন, ১৯৭১ সালে বীর বাঙালি মুক্তি সংগ্রাম অংশ নিয়েছিল একটি মহৎ উদ্দেশ্য নিয়ে। মুক্তিযুদ্ধের চেতনা হল বৈষম্যহীন, শোষণমুক্ত একটি রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠা।
বাংলাদেশ আজ বিশ্বের বুকে মর্যাদার আসনে আসীন। বিভিন্ন সূচকের উন্নতি, বাংলাদেশের গতিময় অগ্রযাত্রার স্বাক্ষর বহন করছে। শত বাঁধা বিপত্তি, বৈশ্বিক ষড়যন্ত্র সত্ত্বেও বাংলাদেশের সফলতা, নিঃসন্দেহে অভূতপূর্ব এক অর্জন। এ অর্জনে আমরা যেমন গর্বিত, তেমনি স্বাধীনতার সুবর্ণ জয়ন্তীর এ শুভক্ষণে, কাঙ্ক্ষিত লক্ষ্য ও মহান মুক্তিযুদ্ধের দর্শন এর সাথে আমাদের বাস্তবিক অবস্থান মূল্যায়নের সময় এসেছে। এ দায় প্রধানত দেশের রাজনীতিবিদদেরকে নিতে হবে। সংবিধান ও গণতন্ত্রের প্রতি প্রতিশ্রুতিকে বাস্তবে রূপায়িত করতে তারা ব্যর্থ হয়েছেন। ক্ষমতার অপব্যবহার, রাজনৈতিক দ্বন্দ্ব দেশে বিশৃঙ্খলা-নৈরাজ্য, সন্ত্রাসবাদকে উৎসাহিত করেছে। ফলে বাংলাদেশকে ব্যাপক অর্থনৈতিক ক্ষতির মুখে পড়তে হয়েছে। দেশের রন্ধ্রে রন্ধ্রে দুর্নীতির কালো ছায়া বিস্তার লাভ করেছে। ফলে রাষ্ট্র তার জনগণের মৌলিক অধিকারগুলো প্রতিষ্ঠার ক্ষেত্রে পূর্ণ সফলতা পাচ্ছে না।
উন্নয়নের সুফল সাধারণ মানুষ পূর্ণাঙ্গরূপে ভোগ করতে পারছে না। ধনী-দরিদ্রের বৈষম্য বেড়েছে বহুগুণ৷ সাম্প্রতিক সমীক্ষা অনুযায়ী দ্রুত ধনীর সংখ্যা বৃদ্ধির তালিকায় বাংলাদেশ বিশ্বে শীর্ষে। অথচ দেশের সকল মানুষের জন্য খাদ্য, চিকিৎসা, বাসস্থান নিশ্চিত করা সম্ভব হয় নি। সুশাসনের শর্তগুলো পূরণ থেকে আমরা এখনও অনেক দূরে। সুতরাং দেশের অর্থনীতির উন্নয়ন দৃশ্যমান হলেও, সাধারণ মানুষ কতটুকু এর সুবিধা ভোগ করছে, তা নিয়ে প্রশ্ন থেকে যায়। সাইয়্যিদ সাইফুদ্দীন আহমদ আল হাসানী আরো বলেন, মুক্তিযুদ্ধের চেতনা বাস্তবায়নের প্রতিবন্ধকতাগুলোকে চিহ্নিত ও নির্মূল করতে হবে। এ জন্য উদার রাজনৈতিক চর্চা সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ।দুর্নীতি ও সামাজিক বৈষম্য নিরসনে অঙ্গীকারাবদ্ধ হতে হবে, সুশাসনের শর্তগুলো অনুসরণ এবং জনগণের সাংবিধানিক অধিকার নিশ্চিত করতে হবে। তবেই জাতির পিতা বঙ্গবন্ধুর স্বপ্নের সুখী, সমৃদ্ধ সোনার বাংলা গড়ে তুলতে আমরা সক্ষম হব।
২৬শে মার্চ রাতে গাজীপুরের শ্রীপুরে স্বাধীনতার সুবর্ণ জয়ন্তী উপলক্ষ্যে বীর শহীদদের স্মরণে ও আত্নার মাগফিরাত কামনায় মইনীয়া যুব ফোরাম, শ্রীপুর শাখা আয়োজিত মাহ্ফিলে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
আলোচনায় অংশগ্রহণ করেন, মুফতি বাকী বিল্লাহ্ আল আজহারী, মাওলানা রুহুল আমিন ভূইয়া চাঁদপুরী, হাফেজ মুফতি মাকসুদুর রহমান, হাফেজ মওলানা মনসুর আলি মাইজভাণ্ডারী, স্থানীয় খলিফাবৃন্দ, আঞ্জুমান-এ-রাহমানিয়া মইনীয়া মাইজভাণ্ডারীয়া ও মইনীয়া যুব ফোরামের নেতৃবৃন্দ। বিশ্বমানবতার কল্যাণ, দেশের শান্তি-সমৃদ্ধি কামনায় মুনাজাত পরিচালনা করেন, শাহ্সূফি সাইয়্যিদ সাইফুদ্দীন আহমদ আল হাসানী। হাজারো আশেকানবৃন্দ মুনাজাতে অংশগ্রহণ করেন।