শিরোনাম
কেনিয়ায় বাঁধ ভেঙে ৪২ জন নিহত স্কুল-মাদরাসা বৃহস্পতিবার পর্যন্ত বন্ধ রাখতে হাইকোর্টের নির্দেশ ৪ বিভাগে বজ্রসহ বৃষ্টি হতে পারে উপস্থিতি প্রমাণ করে আস্থা ফিরেছে ভোটারদের: ইসি আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কার্যনির্বাহী সংসদের সভা আগামীকাল ওষুধের মূল্যবৃদ্ধি রোধে ব্যবস্থা নেয়ার নির্দেশ হাইকোর্টের বিএনপি সাংগঠনিকভাবে আরও দুর্বল হচ্ছে : কাদের নানা কর্মসূচিতে শেখ জামালের ৭১তম জন্মদিন পালিত খাদ্য ও পুষ্টি নিরাপত্তা নিশ্চিতে প্রধানমন্ত্রীর গুরুত্বারোপ মন্ত্রী-এমপি’র স্বজনদের উপজেলা নির্বাচন থেকে সরে দাঁড়ানোর নির্দেশ শহীদ ও মুক্তিযোদ্ধা পরিবারের সম্মানি বৃদ্ধির প্রস্তাব বিবেচনাধীন প্রতীক বরাদ্দের আগেই ডিজিটাল মিডিয়ায় প্রচারণা চালানো যাবে: ইসি লিটারে সয়াবিনের দাম বাড়লো ৪ টাকা, কমলো খোলায় বিমানবন্দরে প্রবাসীদের জন্য সেবা বৃদ্ধি পেয়েছে: দীপু মনি বাংলাদেশে গ্রিসের দূতাবাস হচ্ছে: পররাষ্ট্রমন্ত্রী
শুক্রবার, ০৩ মে ২০২৪, ১২:২৫ অপরাহ্ন

প্রতিবেশীদের সঙ্গে বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্কই পারে দারিদ্র্যমুক্ত দক্ষিণ এশিয়া গড়তে: শেখ হাসিনা

দর্পণ ডেস্ক / ২২৬ বার এই সংবাদটি পড়া হয়েছে
প্রকাশের সময় : সোমবার, ২২ মার্চ, ২০২১
মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা (ফাইল ফটো)

দক্ষিণ এশিয়ার এক বিশাল সংখ্যক মানুষ এখনো দারিদ্র্যসীমার নিচে বসবাস করে জানিয়ে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, আমরা দক্ষিণ এশিয়ার প্রতিটি দেশ যদি বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক নিয়ে একে অপরের হাত ধরে যদি এগিয়ে যাই, তাহলে অবশ্যই এ অঞ্চলের মানুষকে ক্ষুধা ও দারিদ্র্যমুক্ত একটি উন্নত জীবন দিতে পারব।

সোমবার জাতীয় প্যারেড গ্রাউন্ডে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মশতবার্ষিকী ও স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তী উপলক্ষে আয়োজিত ষষ্ঠ দিনের অনুষ্ঠানে সভাপতির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।

শেখ হাসিনা বলেন, দক্ষিণ এশিয়ায় আমাদের পর্যাপ্ত সম্পদ আছে। আমরা যদি সম্পদের সঠিক ব্যবহার করি তাহলে এ সমস্যা সমাধান করা সম্ভব। বর্তমান যুগ বিশ্বায়ানের, বিশ্বে একা চলার কথা চিন্তা করা যাবে না। আমরা সবাই একসঙ্গে কাজ করলে আমরা দারিদ্রমুক্ত দক্ষিণ এশিয়া গড়তে পারবো।

শেখ হাসিনা বলেন, বৈশ্বিক উষ্ণায়ন, জলবায়ুর পরিবর্তন আমাদের এই উপমহাদেশের দেশগুলোকে সব থেকে বেশি নাজুক করে তুলেছে। জলবায়ু পরিবর্তনে আমাদের কোনো ভূমিকা নাই, তারপরও আমরা সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত। তাই আমরা অভিযোজনের মাধ্যমে সাময়িকভাবে নিজেকে রক্ষা করতে পারি, কিন্তু জলবায়ু পরিবর্তনের বর্তমান ধারা বন্ধ করা না গেলে অভিযোজন প্রক্রিয়া দীর্ঘস্থায়ী সুরক্ষা দিতে ব্যর্থ হবে।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, ক্লাইমেট ভালনারেবল ফোরাম বা সিভিএফ-এর বর্তমান সভাপতি হিসেবে বাংলাদেশ বিশ্ব নেতৃবৃন্দকে জলবায়ু পরিবর্তন মোকাবেলায় দ্রুত উদ্যোগ নেওয়ার আহ্বান জানিয়ে আসছে।

‘গত বছর ঢাকায় গ্লোবাল ক্লাইমেট অ্যাডাপটেশন, বাংলাদেশ এর অফিস চালু করা হয়েছে। ঢাকা অফিস দক্ষিণ এশিয়ায় জলবায়ু পরিবর্তনের প্রভাবজনিত ক্ষয়ক্ষতি মোকাবেলায় কী কী করনীয় সেটা খুঁজে বের করা এবং যথাযথ পদক্ষেপ গ্রহণ করার কাজ ইতোমধ্যে শুরু করেছে।’

শেখ হাসিনা বলেন, ‘জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মশতবার্ষিকী এবং স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তী উদযাপনের এই শুভ মুহূর্তে আমি টেকসই উন্নয়ন নিশ্চিত করার জন্য বিশ্ববাসীকে উদাত্ত আহ্বান জানাচ্ছি।’

নেপালের রাষ্ট্রপতি বিদ্যা দেবী ভান্ডারী অনুষ্ঠানে সম্মানিত অতিথি হিসেবে উপস্থিত থাকায় কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী।

তিনি বলেন, তার উপস্থিতি এই অনুষ্ঠানের মর্যাদা বহুগুণ বৃদ্ধি করেছে। আমরা নিজেরা সম্মানিত হয়েছি। গতবছর জাতির পিতার জন্মশতবার্ষিকীর উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে তার আসার কথা ছিল। কিন্তু করোনাভাইরাসের কারণে তিনি সশরীরে উপস্থিত হতে পারেননি। সব প্রোগ্রামই তখন ভার্চুয়াল করেছিলাম এবং তখন তিনি তার বার্তা পাঠিয়েছিলেন, বাণী দিয়েছিলেন। আমরা কৃতজ্ঞতার সঙ্গে সে কথা স্মরণ করছি।

শেখ হাসিনা বলেন, নেপালের মহামান্য রাষ্ট্রপতি জাতির পিতার জন্মশতবার্ষিকী এবং স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তীর অনুষ্ঠানে যোগদান করায় আমি নিজের এবং আমরার ছোট বোন রেহানার পক্ষ থেকে, আমার সরকারের পক্ষ থেকে এবং আমাদের জনগণের পক্ষ থেকে তাকে আন্তরিক ধন্যবাদ জানাচ্ছি।


আপনার মতামত লিখুন :

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এই ক্যাটাগরির আরো সংবাদ