ভারতের পশ্চিমবঙ্গের বিধান সভা নির্বাচনে বিজেপির মনোনয়ন পেয়েছেন ক্যান্সার বিশেষজ্ঞ ডা. ইন্দ্রনীল খান। কসবা থেকে মনোনয়ন পেয়েছেন তিনি।
রোববার (১৪ মার্চ) দুপুরে পশ্চিমবঙ্গের বিধানসভা নির্বাচনের তৃতীয় এবং চতুর্থ দফার প্রার্থী তালিকা প্রকাশ করে বিজেপি। ওই তালিকায় এই বিশিষ্ট ক্যানসার চিকিৎসককে জায়গা দেওয়া হয়েছে।
ডা. ইন্দ্রনীল ঢাকুরিয়ার এএমআরআই হাসপাতালের অনকোলজি বিভাগের কনসালটেন্স হিসেবে কর্মরত আছেন। এর আগে তিনি কলকাতা মেডিকেল রিসার্চ ইনস্টিটিউটে কনসালটেন্ট হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন। কলকাতা সাউথ পয়েন্ট হাইস্কুল থেকে পাস করা ইন্দ্রনীল নর্থ বেঙ্গল মেডিকেল কলেজ থেকে এমবিবিএস সম্পন্ন করেন।
কলকাতা মেডিকেল কলেজ থেকে এমডি পাস করে নর্থ বেঙ্গল মেডিকেল কলেজে আবাসিক সার্জন হিসেবে কর্মজীবনের সূচনা করেন এ চিকিৎসক। পরে কলকাতা মেডিকেল কলেজে রেডিয়েশন অনকোলজিস্ট হিসেবেও দায়িত্ব পালন করেন তিনি।
ডা. ইন্দ্রনীলের শৈশব কেটেছে দক্ষিণ ২৪ পরগণা জেলার নুঙ্গি এলাকায়। ছাত্রজীবন থেকেই রাজনীতির সঙ্গে যুক্ত ছিলেন তিনি। গেরুয়া ছাত্র সংগঠন অখিল ভারতীয় বিদ্যার্থী পরিষদের (এবিভিপি) শীর্ষ নেতৃত্বে ছিলেন তিনি।
করোনা মোকাবিলায় রাজ্য সরকারের প্রস্তুতি নিয়ে প্রশ্ন তোলে পুলিশের হাতে আটক হন ভারতের প্রখ্যাত এ ক্যান্সার বিশেষজ্ঞ। এরপরই দেশব্যাপী ব্যাপক আলোচিত হন তিনি।
ফেসবুকে একটি পোস্ট করেছিলেন বিখ্যাত ক্যান্সার বিশেষজ্ঞ ইন্দ্রনীল খান। পোস্টে সরকারি হাসপাতালের চিকিৎসকদের ‘পিপিইর বদলে কেন রেইন কোর্ট দেওয়া হচ্ছে’—তা নিয়ে প্রশ্ন তোলেন তিনি।
বিখ্যাত এই চিকিৎসক বলেন, ‘রেইন কোর্ট পরে চিকিৎসা করতে যাওয়া বন্দুক ছেড়ে লাঠি হাতে সীমান্ত পাহারা দিতে যাওয়ার মতো ব্যাপার।’
এই পোস্টের জন্য মহেশতলা থানায় তাঁর বিরুদ্ধে অভিযোগ করেন এক ব্যক্তি। সেই অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে ডা. ইন্দ্রনীল খানকে আটক করে পুলিশ। সেখানে তাকে দীর্ঘক্ষণ বসিয়ে রাখা হয় বলে অভিযোগ।
ওই সময় পুলিশ তার মোবাইল ফোন ও সিমকার্ড জব্দ করে। এ নিয়ে সারাদেশে ব্যাপক সমালোচনার ঝড় উঠে। এ ঘটনায় সরব হয় বিরোধী বাম ও বিজেপি।
পরে পুলিশি হেনস্থার অভিযোগ তুলে হাইকোর্টের দ্বারস্থ হন ডা. ইন্দ্রনীল খান। কলকাতা হাইকোর্টের আদেশে তিনি তার মোবাইল ও সিমকার্ড ফিরে পান।