ভূমধ্যসাগরের নিয়ন্ত্রণকে কেন্দ্র করে তুরস্কের বিরুদ্ধে গ্রিস ও সাইপ্রাসকে নিয়ে জোট গঠন করেছে ইসরাইল। ইহুদি এ দেশটির নেতৃত্বে ভূমধ্যসাগরে গ্রিস ও সাইপ্রাসকে নিয়ে নৌমহড়া দেওয়া হয়েছে। ইসরাইল সেনবাহিনী বলছে, তিন দেশের মধ্যে সহযোগিতা বৃদ্ধি করতে এ মহড়া দেওয়া হয়েছে। সর্বশেষ চুক্তির অংশ হিসেবে তিন দেশেরই বিরোধপূর্ণ সম্পর্ক রয়েছে তুরস্কের সঙ্গে।
কাতারভিত্তিক সংবাদ মাধ্যম আলজাজিরার খবরে বলা হয়েছে, এই মহড়াটির নেতৃত্ব দিয়েছে ইসরাইল। তবে এতে ফ্রান্সের সম্পৃর্ক্ততা ছিল। বৃহস্পতিবার এ মহড়া পরিচালনা করা হয়।
এতে যুদ্ধকালীন সাবমেরিন মোকাবেলা, সমুদ্রে অন্বেষণ ও উদ্ধার কার্যক্রমের মহড়া চলে। মহড়াটিতে অংশ নিয়েছিল দেশগুলোর যুদ্ধ জাহাজ ও হেলিকপ্টার। ইসরাইলি নৌবাহিনী এতে এসএএআর ৪.৫ ক্লাস মিসাইল ফ্রিগেট নিয়ে মহড়া করে। এটি সাবমেরিন ধ্বংসে সক্ষম। এছাড়া দেশগুলোর সাবমেরিনও এই মহড়ায় অংশ নেয়।
এদিকে সম্প্রতি কয়েক মাসে ইসরাইল, গ্রিস ও সাইপ্রাস সম্পর্ক জোরদার করতে কয়েকটি পরিকল্পনার পদক্ষেপ নেয়। এর মধ্যে রয়েছে টিকা উৎপাদন, বৈদ্যুতিক তার ও সমুদ্রের নিচে গ্যাস পাইপ তৈরি।
মহড়া নিয়ে গ্রিসের নৌবাহিনী জানিয়েছে, এই মহড়ার প্রধান উদ্দেশ্য হচ্ছে আধুনিক সময়ে সমুদ্রে যেসব চ্যালেঞ্জ দেখা যাচ্ছে তা মোকাবেলা করা। একইসঙ্গে মিত্র রাষ্ট্রগুলোর সঙ্গে যৌথভাবে কাজ করার অভিজ্ঞতা অর্জন এবং বোঝাপরা বাড়ানোও এর অন্যতম উদ্দেশ্য।
পূর্ব ভূমধ্যসাগরে তেল-গ্যাস অনুসন্ধান নিয়ে গ্রিস ও সাইপ্রাসের সঙ্গে সম্পর্কের অবনতি ঘটে তুরস্কে। পাশাপাশি তুরস্কের বিতর্কিত দ্বীপ নিয়ে গ্রিস ও সাইপ্রাসের সঙ্গে দীর্ঘদিন ধরে বিরোধ চলে আসছে। যখন প্রতিবেশী দেশগুলোর সঙ্গে উত্তেজনার পারদ চরমে ঠিক সেই সময়ে এসে আগুনে ঘি ঢালছে ইসরাইল।