আঞ্জুমান-এ-রাহমানিয়া মইনীয়া মাইজভাণ্ডারীয়া’ সভাপতি, সাইয়্যিদ সাইফুদ্দীন আহমদ আল হাসানী মাইজভাণ্ডারী বলেছেন, মহান আল্লাহ্ তা’য়ালা আমাদেরকে পৃথিবীতে পাঠিয়েছেন তার আনুগত্যের জন্য। আমরা তার নির্দেশিত পথে চলে তাকে পরিপূর্ণভাবে ভালোবাসতে চেষ্টা করব এটাই তার অভিপ্রায়। আর কিভাবে জীবনযাপন করলে আমরা তার সন্তুষ্টি অর্জন করতে পারব, সেই পথ প্রদর্শনের জন্য তিনি অগণিত নবী রাসুল (আঃ) পাঠিয়েছেন।
সমগ্র সৃষ্টিকুলের রহমত, প্রিয় নবিজী ﷺ দ্বীন আল্লাহর নির্দেশিত পথে যথাযথভাবে চলার জন্যই অলি আল্লাহ্দের সান্নিধ্যে যেতে হবে। কিন্তু ইসলাম বিরোধী শক্তি সর্বদাই মানুষকে সত্যপথ থেকে দূরে রাখতে মরিয়া। তাদের নানামুখী ষড়যন্ত্র, অপতৎপরতা ইসলামের প্রাথমিক যুগ থেকেই। সে জন্য নবুয়্যতের সমাপ্তি ঘটলেও, বেলায়তের ধারা পৃথিবীতে জারি রয়েছে। যুগে যুগে অসংখ্য অলি আল্লাহ্গণ প্রিয় নবিজীর ﷺ প্রতিনিধি হয়ে সমগ্র বিশ্বে ইসলামের খেদমতে নিয়োজিত। তারাই প্রিয় নবিজী ﷺ এর আদর্শের প্রকৃত ধারক ও বাহক। আফসোসের বিষয় বর্তমানে কিছু ফিতনাবাজ ও ফিতনাকারী আলেম নামের জালেম তাদের মতাদর্শের বিপরীত আলেম ওলামা পীর মাশায়েখদের কাফের মুশরিক অভিহিত করে গালাগাল করে মুসলিম জাহানের মধ্যে বিশৃংখলার চেস্টা করছে, অথচ তারা একজন বেদীনকে কলেমার দাওয়াত দিয়ে মুসলমান বানাতে পারেনাই কখনো,তাদেরকে মোনাজেরা করার জন্যে ডাকলে তারা আসেনা,মহান আল্লাহ্ এসব কাজজাব ও জালেমদের হেদায়েত দান করুণ।
সাইয়্যিদ সাইফুদ্দীন আহমদ আল হাসানী আরো বলেন, যদি পুঁথিগত বিদ্যাই একজন মুসলমানকে পরিপূর্ণ করত, তবে গাউসুল আযম বড়পীর হযরত আবদুল ক্বাদির জ্বিলানী (রঃ), মওলানা জালাল উদ্দীন রুমি (রঃ), হযরত খাজা মইনুদ্দীন চিশতী (রঃ), গাউসুল আযম হযরত আহমদউল্লাহ্ মাইজভাণ্ডারী (কঃ) এর মত বিশ্বখ্যাত ও উচ্চ শিক্ষিত আলেমগণ কখনো মুর্শিদের কাছে যেতেন না। কুরআন সুন্নাহর বাহ্যিক জ্ঞান অর্জনের জন্য যেমন মাদ্রাসায় যেতে হয়, তেমনি কুরআন এর অন্তর্নিহিত শিক্ষা অনুধাবন, আত্নিক পরিশুদ্ধি অর্জন ও খোদাপ্রেমের ঐশ্বর্যলাভের উদ্দেশ্যে প্রকৃত অলি আল্লাহ্দের কাছে যেতে হবে। একজন প্রকৃত অলি আল্লাহ্গণ মানুষের অন্তরে মহান আল্লাহ্ ও তার প্রিয় হাবিব ﷺ এর প্রতি ভালোবাসাকে জাগ্রত করার মাধ্যমে কুরআন সুন্নাহর আলোকে জীবন গড়তে উদ্ধুদ্ধ করেন। পিতা-মাতা, স্বামী-স্ত্রী, সন্তান-স্বজন, প্রতিবেশী, বড়-ছোট, সমাজ ও রাষ্ট্রের প্রতি আমাদের যে দায়িত্ব কর্তব্য রয়েছে সে সম্পর্কে তারা সচেতন করেন। এভাবেই একজন মানুষ সেই সিরাতাল মুস্তাকিম বা সত্য-সরল পথ অনুসরণ করে কাঙ্ক্ষিত লক্ষ্যে এগিয়ে যেতে থাকে।
৯ই মার্চ রাতে কুমিল্লার মুরাদনগরে পবিত্র ঈদ-এ-মিলাদুন্নবী (সা) উপলক্ষ্যে ইসলামি সুন্নী মহাসম্মেলনে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন। উদ্বোধক ছিলেন মোঃ আরিফুল ইসলাম। আবদুস সামাদ মৃধার সভাপতিত্বে বিশেষ অতিথি ও আলোচক ছিলেন, মুফতি বাকি বিল্লাহ্ আল আযহারি, হাফেজ মুফতি মাকসুদুর রহমান, মওলানা শামীম হোসাইন রেজা কাদেরী, মওলানা হাফেজ আবু কাউসার,হাফেজ মাওলানা মনসুর আলী,মইনীয়া যুব ফোরামের কেন্দ্রীয় সহ-সভাপতি খলিফা মুহাম্মদ আবুল কালাম, খলিফা মোহাম্মদ বিল্লাল হোসেন, সোহেল মাহমুদ প্রমুখ।