জেলা প্রশাসক অঞ্জনা খান মজলিশ ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্ঠীদের উদ্দেশ্য করে বলেছেন, আপনারা আমাদের ঐতিহ্য, আমাদের গর্ব, আপনারা আমাদেরই একজন। আপনাদের সন্তান আমাদের সন্তানেরই মত। জন্মসূত্রে পাওয়া আপনাদের ভাষা ও সংস্কৃতি বিকশিত হোক, সেটাই আমরা চাই। আজকে এই শিক্ষাবৃত্তি দেয়া হচ্ছে কারন আপনাদের সন্তানরা যেন পিছিয়ে না পড়ে, তারাও যেন এগিয়ে আসতে পাড়ে এবং সমাজে তাদের একটি পৃথক জায়গা হয়৷ নিজের যোগ্যতায় নিজেরাই যেন এগিয়ে আসতে পারে।
মঙ্গলবার (৯ মার্চ) চাঁদপুর সদর উপজেলা অডিটোরিয়ামে প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয় হতে বাস্তবায়নাধীন “বিশেষ এলাকার জন্য উন্নয়ন সহায়তা (পার্বত্য চট্টগ্রাম ব্যতীত)” শীর্ষক কর্মসূচির আওতায় চাঁদপুর সদর উপজেলায় বসবাসরত ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্ঠী শিক্ষার্থীদের মাঝে শিক্ষাবৃত্তি বিতরণ অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
জেলা প্রশাসক বলেন, প্রধানমন্ত্রীর দৃষ্টি এড়ায় না এমন কোন বিষয় আমার মনে হয় নেই। কারণ পাহাড়ের নৃ-গোষ্ঠীদের প্রতি যেমন উদার ও সহনশীল মনোভাব ঠিক একইভাবে সমতলে থাকা ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্ঠীদের প্রতিও। আপনাদের ভাষা, শিক্ষা ও সংস্কৃতি যেন বিলীন না হয়ে যায়, আপনারা যেন আপনাদের স্বকীয়তা নিয়ে বাঁচতে পারেন। আপনারা যেন আপনাদের ভাষা, সংস্কৃতি ও মূল্যবোধ নিয়ে আমাদের মাঝে টিকে থাকতে পারেন, সেজন্যে প্রধানমন্ত্রী প্রতিনিয়ত খোঁজখবর রাখছেন এবং খেয়াল রাখছেন।
চাঁদপুর সদর উপজেলার নির্বাহী কর্মকর্তা সানজিদা শাহনাজ’র সভাপতিত্বে আমন্ত্রিত অতিথিদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন সদর উপজেলার চেয়ারম্যান আলহাজ্ব নুরুল ইসলাম নাজিম দেওয়ান, মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান আবিদা সিফাত, ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্ঠীর সভাপতি কর্ণ রাজ ত্রিপুরা প্রমূখ।
অনুষ্ঠান সঞ্চালনা করেন, বালিয়া ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্ঠীর কম্পিউটার প্রশিক্ষক মোঃ তানভির আহমেদ। আলোচনা সভা শেষে ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্ঠীতে বসবাসরতদের পরিবেশনায় মনোমুগ্ধকর সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান পরিবেশিত হয় ।
এরপরেই উচ্চ মাধ্যমিক শাখার একাদশ থেকে দ্বাদশ শ্রেনীর ৩০জন, মাধ্যমিক শাখার ৬ষ্ঠ থেকে দশম শ্রেনীর ৫৭জন ও প্রাথমিক শাখার ১ম থেকে ৫ম শ্রেনীর ৫৪জনসহ মোট ১শত ৪১ জন শিক্ষার্থীদের মাঝে ১লাখ টাকার শিক্ষা বৃত্তির চেক প্রদান করেন অনুষ্ঠানের প্রধান অতিথি ও আমন্ত্রিত অতিথিবৃন্দরা।