বিএনপির আন্দোলনের ঘোষণা শুনতে শুনতে জনগণও এখন মুখ ফিরিয়ে নিয়েছে বলে মন্তব্য করেছেন আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের।
খালেদা জিয়াকে মুক্ত করতে দলকে সুসংগঠিত করে বিএনপি নেতারা আন্দোলনের ঘোষণা দেওয়ার পরদিন মঙ্গলবার ঢাকায় নিজের বাড়িতে এক নিয়মিত প্রেস ব্রিফিংয়ে একথা বলেন কাদের।
বিএনপির আন্দোলনের সক্ষমতা নিয়ে প্রশ্ন তুলে তিনি বলেন, বিএনপির আন্দোলনের লক্ষ্য নির্ধারণ করতেই ১২ বছর চলে গেল, আন্দোলন হবে কোন বছর? কর্মসূচি ঘোষণা দিয়ে বিএনপি নেতারা এখন বলছে, সংগঠনকে গুছিয়ে তারপর আন্দোলনে নামবে। জনগণ এখন বুঝে গেছে, বিএনপির আন্দোলনের সক্ষমতা কতটুকু। তাদের এমন অজুহাতেই একযুগ পেরুল, কর্মীরাও হতাশ।
বিএনপির তৎপরতা এখন গণমাধ্যম এবং ইন্টারনেটে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমেই ‘সীমাবদ্ধ’ বলে মন্তব্য করেন আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক। তিনি বলেন, দলীয় নেত্রীর মুক্তির চেয়ে সরকার পতন নিয়ে বিএনপির ‘বেশি আগ্রহ’।
বিএনপির পাল্টা কোনো কর্মসূচি নিয়ে আওয়ামী লীগ নামছে না বলে জানান ক্ষমতাসীন দলের সাধারণ সম্পাদক। তিনি বলেন, পূর্ব নির্ধারিত কর্মসূচি অনুযায়ী আওয়ামী লীগ স্বাধীনতার সুবর্ণ জয়ন্তী ও মুজিববর্ষ উপলক্ষে সভা-সমাবেশ, গণসংযোগ ঘোষণা করেছে। এটা কোনো পাল্টাপাল্টি কর্মসূচি নয়।
বিএনপিকে পরামর্শ দিয়ে কাদের বলেন, অপরাজনীতি এবং ষড়যন্ত্র ও অপপ্রচারে বিনিয়োগ না করে জনঘনিষ্ঠ ইস্যুতে মানুষের পাশে দাঁড়ান, বিরোধীদল হিসেবে দায়িত্বশীল ভূমিকা পালন করুন।