পুলিশের মহাপরিদর্শক (আইজিপি) ড. বেনজীর আহমেদ বলেছেন, ‘করোনা সংকট মোকাবিলায় কেন্দ্রীয় পুলিশ হাসপাতালের ওয়ার্ড বয় থেকে শুরু করে চিকিৎসক, নার্স, স্বাস্থ্যকর্মী, প্রশাসকসহ সবার মহাকাব্যিক প্রচেষ্টা ছিল। সবাই যে দুর্দমনীয় সাহস দেখিয়েছেন, ঝুঁকি নিয়েছেন, পেশাগত মমত্ববোধ দেখিয়েছেন, তা অনন্য নজির স্থাপন করেছে। এটা সত্যিই বিরল।’
রোববার (১০ জানুয়ারি) দুপুরে রাজধানীর রাজারবাগে পুলিশ অডিটোরিয়ামে কেন্দ্রীয় পুলিশ হাসপাতালের চিকিৎসাকর্মীদের স্বীকৃতি ও পুরস্কার প্রদান অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
আইজিপি বলেন, ‘করোনাকালে কেন্দ্রীয় পুলিশ হাসপাতালের পেশাগত দক্ষতার স্বীকৃতি সমগ্র দেশ দিয়েছে, দেশে-বিদেশে প্রশংসিত হয়েছে। সারা বিশ্বের মতো আমাদের জন্যও করোনা ছিল সম্পূর্ণ নতুন অভিজ্ঞতা। সঙ্গত কারণেই করোনার জন্য আমাদের প্রস্তুতি ছিল না। কিন্তু, আমাদের বুক ভরা সাহস ছিল, পরাভব না মানার প্রবল প্রত্যয় ছিল। আমরা হতবিহ্বল না হয়ে দুর্দমনীয় প্রত্যয় নিয়ে করোনা মোকাবিলা করেছি। বাংলাদেশের মানুষ, বাঙালি জাতি কখনোই পরাভব মানে না।’
তিনি আরও বলেন, ‘শুরুতেই করোনা মোকাবিলায় যুক্তরাষ্ট্র, যুক্তরাজ্য, জার্মানি, ভারতসহ বিভিন্ন দেশের পুলিশের অভিজ্ঞতা নিয়ে আমরা বাংলাদেশ পুলিশের উপযোগী করে গাইডলাইন তৈরি করেছি। আমাদের গাইডলাইনটি বাংলাদেশ পুলিশের ওয়েবসাইটে আপলোড করা হয়েছিল, যাতে অন্যান্য দেশ আমাদের অভিজ্ঞতা ও আয়োজন থেকে উপকৃত হতে পারে।’
অনুষ্ঠানে অতিরিক্ত আইজি ড. মো. মইনুর রহমান চৌধুরী ও ডিএমপি কমিশনার মোহা. শফিকুল ইসলাম বক্তব্য রাখেন। করোনায় আক্রান্ত হয়ে কেন্দ্রীয় পুলিশ হাসপাতালে চিকিৎসাসেবা নেওয়া র্যাবের মহাপরিচালক চৌধুরী আবদুল্লাহ আল মামুন, নৌ পুলিশের ডিআইজি মো. আতিকুল ইসলাম তাদের অভিজ্ঞতা ও অনুভূতি ব্যক্ত করেন।
কেন্দ্রীয় পুলিশ হাসপাতালকে ৫০০ শয্যার কোভিড হাসপাতালে উন্নীত করা হয়েছে। মাত্র তিন সপ্তাহে পিসিআর ল্যাব স্থাপন করা হয়েছে। এ হাসপাতালে প্লাজমা ব্যাংক স্থাপন ও প্লাজমা থেরাপি প্রয়োগ করা হয়েছে।