রবিবার, ০৫ মে ২০২৪, ১০:২০ অপরাহ্ন

কচুয়ার কওমী মাদ্রাসায় বলাৎকারের অভিযোগে শিক্ষককে মারধর : মাদ্রাসা ভাংচুর

মোঃ নাঈম পাটোয়ারী, কচুয়া (চাঁদপুর) / ২২৬ বার এই সংবাদটি পড়া হয়েছে
প্রকাশের সময় : সোমবার, ৪ জানুয়ারী, ২০২১

চাঁদপুরের কচুয়া উপজেলার তালিমুল কোরআন ওয়াল হিকমাহ (রহিমানগর) কওমী মাদ্রাসায় এক শিক্ষার্থীকে বলাৎকারের অভিযোগে মাদ্রাসা শিক্ষক ওমর ফারুককে মারধর করে পুলিশে সোপর্দ করা ও মাদ্রাসা ভাংচুরের ঘটনায় মাদ্রাসা পরিদর্শন করেছেন যাত্রাবাড়ী তাহফিজুল কোরআন ওয়াসসুন্নাহ মাদ্রাসার প্রতিষ্ঠাতা পরিচালক হাফেজ ক্বারী নাজমুল হাসান ও শাজুলিয়া দরবার শরীফের পীর শাহ মুহাম্মদ রুহুল্লাহ শাজুলি।

রোববার সন্ধ্যায় মাদ্রাসা শিক্ষক ও শিক্ষার্থীদের সার্বিক খোজ খবর নেন এবং ভাংচুরকৃত মাদ্রাসা পরিদর্শন করেন। এসময় মাদ্রাসার মুহতামিম হাফেজ মো. হোসাইন আহমেদ বলেন, ঘটনার দিন আমি বিশেষ কাজে চাঁদপুর থাকায় মাদ্রাসায় ছিলাম না। মাদ্রাসা শিক্ষকের বিরেুদ্ধে এ অভিযোগ শোনার পর ছাত্রের বাবাকে বলি আপনারা একটু অপেক্ষা করুন আমি চাঁদপুর থেকে অতিদ্রুত ফিরে আসতেছি। আপনারা যে অভিযোগ করেছেন তা যদি প্রমাণিত হয় আমরা ওই শিক্ষকের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা নেব। কিন্তু তারা আমার কোন কথা শুনেনি। তারা আমার মাদ্রাসা শিক্ষক ওমর ফারুককে বেধরক মারধর করেছে, মাথা ন্যাড়া করে দিয়েছে এবং পরে তারা তাকে পুলিশে সোপর্দ করে দিয়েছে।

তিনি বলেন, মাদ্রাসা ছাত্র যে সময় উল্লেখ করে শিক্ষকের বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়ের করেছে, আমি সিসি ক্যামেরার ফুটেজ দেখি, সে সময়ে শিক্ষক টয়লেটে হাজত সাড়তে গিয়েছিল ওই সময় ওই ছাত্র পাশ্ববর্তী রুমে কোরআন তিলাওয়াত করছে, তখন কার সাথে আরো কয়েকজন ছাত্র উপস্থিত ছিল।

তিনি আরো বলেন, ওই ছাত্র মেধায় একটু দুর্বল ছিল এবং মাদ্রাসা নিয়ম ভহির্ভূত কাজ করায় শিক্ষক ওমর ফারুক তাকে চাপ প্রয়োগ করলে সে ওই শিক্ষকের বিরুদ্ধে এ অভিযোগ তুলে।

এসময় উপস্থিত ছিলেন, বিশিষ্ট লেখক ও গবেষক মাওলানা রুহুল আমীন সাদী, সবার খবর সম্পাদক আবদুল গাফফার, টিকাটুলি সাওদা বিনতে জাম’আ মাদ্রাসার প্রতিষ্ঠাতা পরিচালক হাফেজ ইসমাইল হাসান চৌধুরী, নারায়নগঞ্জ জামিয়া হোসাইনিয়া সিদ্দিকিয়া মাদ্রাসার অধ্যক্ষ হাফেজ ক্বারী শরীফুল ইসলাম, নিশ্চিন্তপুর ডিএস কামিল মাদ্রাসার মুহাদ্দিস নুর আহমদ আজাদী, হাফেজ মোরশেদ সিরাজীসহ আরো অনেকে।

এদিকে তালিমুল কোরআন ওয়াল হিকমাহ (রহিমানগর) কওমী মাদ্রাসায় এক ছাত্রকে বলাৎকারের অভিযোগে শিক্ষককে মারধর ও মাদ্রাসা ভাংচুরের ঘটনায় সুষ্ঠু তদন্তের মাধ্যমে এর সঠিক বিচার করার জন্য প্রশাসনের সহযোগিতা কামনা করেছেন তারা। পরে মাদ্রাসা শিক্ষক ওমর ফারুকের গ্রামের আকিয়ারা গিয়ে তার পরিবারের সার্বিক খোজ খবর নিয়েছেন তারা।


আপনার মতামত লিখুন :

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এই ক্যাটাগরির আরো সংবাদ