শিরোনাম
কচুয়ায় আশ্রয়ন প্রকল্প পরিদর্শন করেন জেলা প্রশাসক রাশিয়া থেকে মোংলায় এলো রূপপুর বিদ্যুৎ কেন্দ্রের মেশিনারি করোনায় একদিনে শনাক্ত ১৪০ জন নতুন শিক্ষাক্রমে এসএসসি পরীক্ষা হবে ২০২৬ সালে: শিক্ষামন্ত্রী দাউদকান্দিতে ট্রাকের ধাক্কায় মাইক্রোবাস উল্টে নিহত ২ কাতারের আমিরের সঙ্গে প্রধানমন্ত্রীর সাক্ষাৎ বিয়ে করলেন গায়ক ইমরান গাজীপুর সিটিতে বৃহস্পতিবার ভোট, চলছে ব্যাপক প্রস্তুতি কীভাবে সুষ্ঠু নির্বাচন করতে হয় তা দেখিয়ে দেয়া হবে: ওবায়দুল কাদের ডেঙ্গু: ২৪ ঘণ্টায় হাসপাতালে ভর্তি ৪৬ জন নিউইয়র্কে বাণিজ্য মেলা সেপ্টেম্বরে, আবেদন ৩১ মে`র মধ্যে আইন-শৃঙ্খলা সমুন্নত রাখতে নিরলসভাবে কাজ করছে পুলিশ: আইজিপি সিলেটে বিশ্ব মেডিটেশন দিবস পালিত কচুয়ায় আওয়ামী মৎস্যজীবী লীগের প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী পালিত ৮২৯ হজযাত্রী সৌদি আরব পৌঁছেছেন
রবিবার, ০৪ জুন ২০২৩, ১০:৫২ অপরাহ্ন

মতলবে মেঘনা-ধনাগোদা সেচ প্রকল্পের বেড়িবাঁধে ধস

মো: কামরুজ্জামান হারুন, মতলব (উ:) চাঁদপুর / ১৩৮ বার এই সংবাদটি পড়া হয়েছে
প্রকাশের সময় : শনিবার, ২৬ ডিসেম্বর, ২০২০

চাঁদপুরের মতলব উত্তরে মেঘনা-ধনাগোদা সেচ প্রকল্পের মূল বেড়িবাঁধে ফের ধসের ঘটনা ঘটেছে। বাঁধের ৫০ মিটার এলাকায় গর্ত ও ফাটল দেখা দিয়েছে।

শনিবার (২৬ ডিসেম্বর)  সকালে বাঁধটির জনতা বাজার এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।

খবরটি ছড়িয়ে পড়লে এলাকাবাসীর মধ্যে আতঙ্ক দেখা দেয়। খবর পেয়ে পানি উন্নয়ন বোর্ড (পাউবো) কর্তৃপক্ষ বালুর বস্তা (জিও ব্যাগ) ফেলে সাময়িকভাবে ধসে পড়া স্থান মেরামত করে।

উপজেলার জনতা বাজার এলাকার কয়েকজন বাসিন্দা বলেন, তারা সকালে বেড়িবাঁধ ধসে পড়ার খবর পান। সঙ্গে সঙ্গে এলাকার লোকজন নিয়ে সেখানে যান। দেখতে পান, বেড়িবাঁধটির দক্ষিণ-পূর্ব পাড়ের অন্তত ২০০ ফুট জায়গা মেঘনার দিকে ধসে পড়েছে। খবর পেয়ে পাউবোর প্রকৌশলীসহ কয়েকজন ঘটনাস্থলে যায়। পরে স্থানীয়দের সহায়তায় বালুর বস্তা ফেলে ধসে পড়া স্থানটি মেরামত করা হয়।

সেচ প্রকল্পের মূল বেড়িবাঁধ ঘুরে দেখা গেছে, ফরাজীকান্দি ইউনিয়নের জনতাবাজার এলাকায় ৫০ মিটারের বেশি এলাকা ধসে গেছে। সেখানে বিরাট গর্ত ও ফাটল দেখা দিয়েছে। ওই ফাটল দিয়ে মেঘনার পানির প্রবেশ ঠেকাতে চাঁদপুর পাউবোর লোকজন অনেকগুলো বালুর বস্তা ফেলে আপাতত মেরামত করেছেন। সেখানে পানি ঢোকা বন্ধ রয়েছে। বাঁধটির ধসে পড়া স্থান দেখতে সেখানে ভিড় করছেন স্থানীয় লোকজন।

মেঘনা-ধনাগোদা সেচ প্রকল্প পানি ব্যবহারকারী ফেডারেশনের সাধারণ সম্পাদক সরকার মো. আলাউদ্দিন বলেন, ১৯৮৮ সালে সেচ প্রকল্পের ৬৩ কিলোমিটার দীর্ঘ ওই মূল বেড়িবাঁধ নির্মিত হয়। নির্মাণের পর থেকে এ পর্যন্ত দুবার এটি ভেঙে যায়। লাখ লাখ টাকার ফসল ও ঘরবাড়ি বিনষ্ট হয়।

তিনি অভিযোগ করেন, চাঁদপুর পাউবোর দায়িত্বহীনতা ও উদাসীনতার কারণে এবারও বাঁধটিতে বিরাট ধস নামে। আগে থেকে সতর্ক থাকলে এ ঘটনা ঘটত না।

সেচ প্রকল্পের দায়িত্বে থাকা চাঁদপুর পাউবোর নির্বাহী প্রকৌশলী মামুন হাওলাদার বলেন, মেঘনার পানির চাপে বেড়িবাঁধটির ৫০ মিটার এলাকা ধসে গেছে। ধস ও সম্ভাব্য ভাঙন ঠেকাতে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নেয়া হয়েছে। ধসে পড়া স্থানে দ’হাজারের বেশি বালুর জিও ব্যাগ ফেলা হয়েছে। এতে স্থানটি আপাতত ঝুঁকিমুক্ত হয়েছে। পরে স্থায়ীভাবে স্থানটি মেরামত করা হবে।

তিনি আরও বলেন, বেড়িবাঁধের কিছু অংশ ধসে পড়ায় আতঙ্কিত হওয়ার কিছু নেই। এর আগে চলতি বছরের ১৮ সেপ্টেম্বর মূল বাঁধের ৮০ কিলোমিটার এলাকা ধসে যায়। জিও ব্যাগ দেয়ে ধসে যাওয়া অংশ মেরামত করে পাউবো।


আপনার মতামত লিখুন :

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এই ক্যাটাগরির আরো সংবাদ