সোমবার, ০৬ মে ২০২৪, ০৫:৪৪ অপরাহ্ন

পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ে যে নিয়মে ভর্তি পরীক্ষা হবে

নিজস্ব প্রতিবেদক / ১৯২ বার এই সংবাদটি পড়া হয়েছে
প্রকাশের সময় : শনিবার, ১৯ ডিসেম্বর, ২০২০
ফাইল ছবি

বাংলাদেশের ১৯টি পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ের গুচ্ছ পদ্ধতিতে ভর্তি পরীক্ষা হবে ১০০ নম্বরের অভিন্ন এমসিকিউ প্রশ্নপত্রে। পরীক্ষায় থাকবে না পাস-ফেল, শূন্য থেকে ১০০ নম্বরপ্রাপ্তদের তালিকা দেওয়া হবে। পরে বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর নিজস্ব চাহিদা অনুযায়ী বিজ্ঞপ্তি প্রকাশের মাধ্যমে ভর্তি করতে পারবে।

বিশ্ববিদ্যালয়ে গুচ্ছভিত্তিক ভর্তি পরীক্ষাবিষয়ক কার্যক্রমের যুগ্ম আহ্বায়ক জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক মীজানুর রহমান গতকাল শনিবার এসব তথ্য জানিয়েছেন।

শনিবার সকালে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্যের কক্ষে উপাচার্যদের এক বৈঠকে এসব সিদ্ধান্ত গৃহীত হয় বলে তিনি জানান। পরে এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, গুচ্ছভুক্ত প্রতিটি বিশ্ববিদ্যালয় নিজস্ব শর্তারোপ করে ভর্তির বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করবে এবং সম্মিলিত ভর্তি পরীক্ষায় ফলাফলের ভিত্তিতে শিক্ষার্থী ভর্তি করবে।

আবেদনের যোগ্যতার বিষয়ে বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, যেসব শিক্ষার্থী ২০১৯ বা ২০২০ সালে এইচএসসি/সমমান পরীক্ষায় উত্তীর্ণ, তারা আবেদন করতে পারবে। ভর্তিচ্ছু আবেদনকারীকে বিজ্ঞান শাখার জন্য নূ্যনতম জিপিএ ৭.০, বাণিজ্য শাখার জন্য নূ্যনতম জিপিএ ৬.৫ এবং মানবিক শাখার জন্য নূ্যনতম জিপিএ ৬.০ থাকতে হবে। তবে প্রত্যেক শাখাতে এসএসসি এবং এইচএইচসি পরীক্ষায় নূ্ন্যতম জিপিএ ৩.০ থাকতে হবে।

মান বণ্টন বিষয়ে বলা হয়, মানবিক শিক্ষার্থীদের বাংলায় ৪০, ইংরেজিতে ৩৫ ও আইসিটিতে ২৫ নম্বরের পরীক্ষা হবে। বাণিজ্যে অ্যাকাউন্টিংয়ে ২৫, ম্যানেজমেন্টে ২৫, ভাষা জ্ঞানে ২৫, বাংলায় ১৩, ইংরেজিতে ১২ ও আইসিটিতে ২৫ নম্বরের পরীক্ষা হবে। বিজ্ঞানের ক্ষেত্রে ভাষায় ২০, বাংলায় ১০, ইংরেজিতে ১০, রসায়নে ২০, পদার্থে ২০, আইসিটি/ম্যাথ/বায়লজি- এই তিনটি থেকে যে কোনো দুটিতে ২০ করে ৪০ নম্বরের পরীক্ষা হবে।

২০২০-২১ শিক্ষাবর্ষের গুচ্ছ পদ্ধতিতে ভর্তি পরীক্ষার জন্য বৈঠকে দুটি কমিটি করা হয়েছে। এর মধ্যে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ডিজিটাল ইউনিভার্সিটির (গাজীপুর) উপাচার্য অধ্যাপক মুনাজ আহমেদ নূরের নেতৃত্বে টেকনিক্যাল সাব কমিটি ও জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের ট্রেজারার অধ্যাপক কামালউদ্দীন আহমদের নেতৃত্বে অর্থ কমিটি গঠন করা হয়েছে।

এ সময় বৈঠকে গুচ্ছ পদ্ধতিতে অংশগ্রহণ করা হাজী মোহাম্মদ দানেশ বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় এবং রাঙামাটি বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় ছাড়া অন্যান্য বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য উপস্থিত ছিলেন।


আপনার মতামত লিখুন :

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এই ক্যাটাগরির আরো সংবাদ