জানা যায়, ১ অক্টোবর ১৯৬৭ সালে এক সম্রান্ত মুসলিম পরিবারে তিনি জন্মগ্রহণ করেন। তার পিতার নাম বীর মুক্তিযোদ্ধা আলহাজ্ব আব্দুল লতিফ পাঠান এবং মাতার নাম মরহুমা হাজেরা পাঠান। ৪ভাই ও ৪ বোনের মধ্যে তিনি পিতা-মাতার ২য় সন্তান।
রাজনৈতিক জীবনের শুরুতেই তিনি বাংলাদেশ ছাত্রলীগের মতলব কলেজ শাখার সদস্য পদে নিযুক্ত হন। তারপর তিনি ৫নং উপাদী উত্তর ইউনিয়ন যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন। বর্তমানে তিনি ৫নং উপাদী উত্তর ইউনিয়ন আওয়ামীলীগের সহ-সভাপতি হিসেবে নিয়োজিত আছেন।
কর্মজীবনে তিনি ঠিকাদারী পেশায় নিয়োজিত আছেন। রাজনৈতিক জীবনের পাশাপাশি তিনি ইউনিয়নের বিভিন্ন সামাজিক কর্মকান্ডে নিয়ােজিত রয়েছেন। এর মধ্যে নওগাঁ গ্রাম উন্নয়ন সংস্থার সাধারণ সম্পাদক হিসেবে, নওগাঁ উচ্চ বিদ্যালয়ের ম্যানেজিং কমিটির সভাপতি হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছিলেন। বর্তমানে মতলব দক্ষিণের সিদ্দিক নূর শিক্ষা ট্রাস্টের বিদ্যোৎসাহী সদস্য হিসেবে নিয়োজিত আছেন।
উল্লেখ্য, মোঃ মোমিনুল হক পাঠানের পরিবার পরিজন সকলেই মুক্তিযুদ্ধের পক্ষের শক্তি ও আওয়ামী লীগের সক্রিয়কর্মী। তার পিতা বীরমুক্তিযোদ্ধা আঃ লতিফ পাঠান মুক্তিযুূদ্ধ কালীন সময়ে জীবনের ঝুঁকি নিয়ে নিজ বাড়ীতে মুক্তিযোদ্ধা ক্যাম্প স্থাপন করেন এবং ১৯৭১ সালের ৪ঠা ডিসেম্বর নিজ দায়িত্বে মতলব শত্রুমুক্ত করেন। তার পিতা ৫নং উপাদী (উঃ) ইউনিয়ন আ.লীগের সহ-সভাপতি, মতলব দক্ষিণ উপজেলা আ.লীগের উপদেষ্টা মন্ডলীর সদস্য সহ বাললাদেশ কৃষকলীগের মতলব দক্ষিণ উপজেলা শাখার সভাপতি হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছিলেন। বর্তমানে নওগাঁ রাশেদিয়া ফাজিল মাদ্রাসার সহ-সভাপতি হিসেবে নিযুক্ত আছেন। তার মাতা হাজেরা পাঠান ইউনিয়ন পরিষদের ১,২,৩ নং সংরক্ষিত মহিলা আসনের ইউপি সদস্য ছিলেন।
তার বড় ভাই একেএম মনির হোসেন পাঠান সড়ক ও জনপদ অধিদপ্তরের অতিরিক্ত প্রধান প্রকৌশলী হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন। ছাত্র রাজনীতির শুরুতে তিনি বাংলাদেশ ছাত্রলীগের ঢাকা কলেজ শাখা (কাদের-চুন্নু পরিষদ) এর সাংগঠনিক সম্পাদক এবং বাংলাদেশ ছাত্রলীগের প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয় শাখা (বুয়েট) এর সহ-সভাপতি হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছিলেন। বর্তমানে চাকরির পাশাপাশি তিনি বাংলাদেশ সড়ক ও জনপথ প্রকৌশলী সমিতির সভাপতি সহ বঙ্গবন্ধু প্রকৌশলী সমিতির আন্তর্জাতিক বিষয়ক সম্পাদক হিসেবে কর্মরত আছেন।
তার ছোট দুই ভাই উভয়েই রাজনৈতিক জীবনের সাথে জড়িত। একভাই আবুল কালাম আজাদ পাঠান রাজনৈতিক জীবনের শুরুতে মতলব কলেজ ছাত্রলীগের সহ-সভাপতি এবং জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় (শামীম-পান্না পরিষদ) এর সহ-সভাপতি হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছিলেন। বর্তমানে স্বেচ্ছাসেবকলীগের মতলব দক্ষিণ থানার শাখার যুগ্ম- আহবায়ক দায়িত্ব পালন করেছেন। অন্যজন মোঃ শাহাদাত হোসেন বিপ্লব চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রলীগ নেতা হিসেবে এবং তার ছোট বোন সাজেদা আক্তার হেলেনা মতলব দক্ষিণ থানা মহিলা আ.লীগের সভাপতি হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছিলেন।
মোঃ মোমিনুল হক পাঠান জানান, আসন্ন ইউপি নির্বাচনে আমাকে যদি আওয়ামীলীগ থেকে মনােনয়ন দেওয়া হয় তাহলে আমি নির্বাচিত হয়ে অসহায় মানুষের জন্য কাজ করতে পারবো। আমি নির্বাচিত হলে গ্রামকে শহর হিসেবে রূপান্তরিত করবো। ইউনিয়নে মাদক, বাল্যবিবাহ এবং নারী নির্যাতন সহ সমাজের সকল অনৈতিক কাজ বন্ধ করার চেষ্টা করবো।
তিনি আরো বলেন, জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের স্বপ্নের সােনার বাংলা ও জননেত্রী শেখ হাসিনার ঘোষিত ডিজিটাল বাংলা গড়তে অগ্রণী ভূমিকা পালন করবো ইনশাআল্লাহ।