শনিবার, ২৭ জুলাই ২০২৪, ০৬:০৫ পূর্বাহ্ন

ভাস্কর্যে নয়, জাতির পিতার আদর্শে আঘাত দেয়া হয়েছে: মাজেদুর রহমান

আরিফ খান, চাঁদপুর / ২৩৫ বার এই সংবাদটি পড়া হয়েছে
প্রকাশের সময় : শনিবার, ১২ ডিসেম্বর, ২০২০

চাঁদপুরের জেলা প্রশাসক মো: মাজেদুর রহমান খান বলেছেন, এটা শুধু ভাস্কর্যের প্রতি আঘাত নয়, জাতির পিতার আদর্শের প্রতি আঘাত দেয়া হয়েছে। জাতির পিতার আদর্শকে ধ্বংস করবেন তা এত সহজ নয়। তিনি আমাদের জাতীয় সম্পদ। তাঁর ডাকে স্বাধীন হওয়া এই দেশ এখন বিশ্ব দরবারে রোল মডেল। তাই জাতির এ উন্নয়নকে এই অপশক্তি মেনে নিতে পারছে না।

শনিবার (১২ ডিসেম্বর) সকাল ১০টায়  জেলা শিল্পকলা একাডেমী মিলনায়তনে ‘কুষ্টিয়া জেলায় জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান এর ভাষ্কর্য ভাঙার প্রতিবাদে’ চাঁদপুর জেলায় কর্মরত জেলা পর্যায়ের সরকারি কর্মকর্তা-কর্মচারীদের প্রতিবাদ সভায় সভাপতির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।

তিনি আরো বলেন, জাতির পিতার সম্মান ধরে রাখা আমাদের সকলের দায়িত্ব। যে যেখানে আছেন এবং যাদের নিয়েজ কাজ করছেন, আপনারা সকলে সচেতন থাকবেন। জাতির পিতার আদর্শকে লালন করার উপযুক্ত সময়ই হচ্ছে এটি

তিনি সরকারি কর্মকর্তা ও কর্মচারিদের উদ্দেশ্যে বলেন, এখন ঘুমাবার সময় না, কাজ করার সময়। দেশকে এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার সময়। আমাদেরকে এখনই অপশক্তির বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়াতে হবে। এটি আমাদের পবিত্র দায়িত্ব।

অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) মোহাম্মদ আবদুল্লাহ আল মাহমুদ জামানের পরিচালনায় এসময় আরো বক্তব্য রাখেন চাঁদপুরের পুলিশ সুপার (এসপি) মো. মাহবুবুর রহমান পিপিএম (বার)।

এসময় তিনি বলেন, দুস্কৃতকারীরা ডিসেম্বর মাসকে নাশকতা এবং বাঙালি সত্ত্বার মনে আঘাত করার জন্য বেঁচে নেয়। তারাই এরকম দু:সাহজ কিভাবে পায়। প্রগতিশীল অপশক্তি মাথা নাড়াচাড়া দিয়ে উঠেছে। বঙ্গবন্ধুর ভাস্কর্যে আঘাত বাঙালি সত্ত্বার গভীর কোটায় আঘাত। বঙ্গবন্ধুকে অস্বীকার করে অগ্রগতি সম্ভব নয়। বাঙালি জাতি মাথা নত করার নয়।

চাঁদপুরের জেলা ও দায়রা জজ এস এম জিয়াউর রহমান বক্তব্যে বলেন, বাংলাদেশের ইতিহাস মানেই বঙ্গবন্ধু। বঙ্গবন্ধু হত্যার মধ্য দিয়েই আমাদের সবকিছু নিঃশ্বেস হয়ে যায়। আমাদের সৌভাগ্য তারই সুযোগ্য কন্যা এখন দেশের নেতৃত্ব দিচ্ছেন। প্রধানমন্ত্রীর নেতৃত্বে যখন এ দেশ এগিয়ে যাচ্ছে, তখনই কিছু দুস্কৃতিকারীরা এদেশকে পিছিয়ে দিতে এ ধরণের কর্মকান্ড চালিয়ে যাচ্ছে। যারা এ ধরণের কাজে লীপ্ত এদেশের মাটিতেই তাদের বিচার হবে।

এসময় আরো বক্তব্য রাখেন চাঁদপুর সরকারি জেনারেল হাসপাতালের তত্ত্বাবধায়ক ডাঃ হাবিবুল করিম, চীফ জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট শামছুল ইসলাম, এনএসআই উপপরিচালক আরমান আহম্মেদ, এলজিইডির নির্বাহী প্রকৌশলী মো. ইউনুছ বিশ্বাস, জেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসার মো. শাহাবুদ্দিন, কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর চাঁদপুরের উপপরিচালক জালাল উদ্দিন, জেলা আনসার কমান্ডেন্ট মো. ইব্রাহীম খলিল, চাঁদপুর সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) কানিজ ফাতেমা, চাঁদপুর প্রেসক্লাবের সাধারণ সম্পাদক এএইচএম আহসান উল্যাহ, তৃতীয় ও চতুর্থ শ্রেনী কর্মকর্তা সমিতির পক্ষে এসএম মিজানুর রহমান ও সাইফুল ইসলাম। প্রতিবাদ উপস্থিত ছিলেন, সভায় সরকারি অন্যান্য দপ্তরের কর্মকর্তা ও কর্মচারীবৃন্দ।


আপনার মতামত লিখুন :

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এই ক্যাটাগরির আরো সংবাদ