বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটন মন্ত্রণালয়ের অফিস সহায়ক নিয়োগের পরীক্ষায় অসদুপায় অবলম্বনের কারণে পাঁচ জন পরীক্ষার্থীকে আটক করে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণের জন্যে পুলিশের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে।
আটককৃত পরীক্ষার্থীরা হলেন- নেত্রকোনা জেলার আটপাড়া উপজেলার গরমা গ্রামের মো. আব্দুল হামিদ তালুকদারের ছেলে মো. আল মামুন তালুকদার, ভোলার বোরহানউদ্দিন উপজেলার দেওলা শিবপুর গ্রামের মোহাম্মদ শাহাব উদ্দিন খন্দকারের ছেলে মো. হামিম, ফরিদপুরের নগরকান্দা উপজেলার বাঘুটিয়া গ্রামের মো. আবু বক্কর সিদ্দিকের ছেলে মো. আকরাম হোসেন, ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার মজলিশপুর গ্রামের মহিদ্দিন আহমেদের ছেলে মো. তাকরিম আহমেদ ও ময়মনসিংহের গফরগাঁওয়ের বিরই গ্রামের আব্দুল হামিদের ছেলে মো. আনোয়ার হোসেন।
গতকাল শুক্রবার (২৭ নভেম্বর) বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটন মন্ত্রণালয়ের অফিস সহায়ক নিয়োগের লিখিত পরীক্ষা রাজধানীর আটটি কেন্দ্রে অনুষ্ঠিত হয়। আজ শনিবার (২৮ নভেম্বর) এর মৌখিক পরীক্ষা নেওয়ার সময় ওই পরীক্ষার্থীদের আচরণ এবং প্রশ্নের প্রদানকৃত জবাবে পরীক্ষকদের সন্দেহ হয়।
এ সময় তাদের গতকালের লিখিত পরীক্ষায় উত্তরকৃত বিভিন্ন প্রশ্নের উত্তর জিজ্ঞাসা করলেও তার জবাব তারা মৌখিক পরীক্ষার সময় দিতে ব্যর্থ হন। এসময় বোর্ডের সদস্যরা তাদের হাতের লেখা মিলিয়ে দেখেন। উত্তর পত্রে উল্লেখিত হাতের লেখার সঙ্গে তাদের হাতের লেখার অমিল দেখা যায়।
প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে পরীক্ষার্থী মোহাম্মদ আল মামুন তালুকদার স্বীকার করেন যে, তার লিখিত পরীক্ষা দিয়েছেন জনৈক সৈকত জামান। অপর পরীক্ষার্থী মো. হামিম স্বীকার করেন যে তার পরিবর্তে লিখিত পরীক্ষায় অংশ নিয়েছেন ভোলার বোরহানউদ্দিন উপজেলার মো. কেফায়েত উল্লাহ খন্দকারের ছেলে মো. সুমন খন্দকার।
পরীক্ষার্থী মো. আকরাম হোসেন জানান, লিখিত পরীক্ষায় তার পরিবর্তে ফরিদপুরের নগরকান্দা উপজেলার হারুন মাতুব্বরের ছেলে জুয়েল মাতুব্বর অংশ নেয়। পরীক্ষার্থী তাকরিম আহমেদ স্বীকার করে যে ১০ হাজার টাকার চুক্তিতে তার পরীক্ষা দিয়েছে জনৈক ওমর ফারুক। অপর পরীক্ষার্থী মো. আনোয়ার হোসেন স্বীকার করেন বিআরডিবিতে চাকরিরত জনৈক আলমগীর কবির সরকারের মাধ্যমে একজনের সঙ্গে চুক্তি করেন। ঐ ব্যক্তি তার পরীক্ষা দিয়েছে।