মঙ্গলবার, ০৭ মে ২০২৪, ০৩:৪০ পূর্বাহ্ন

স্কুল-কলেজে টিউশন ফি ছাড়া অন্য ফি নয়

সম্পাদকীয় / ১৬০ বার এই সংবাদটি পড়া হয়েছে
প্রকাশের সময় : শনিবার, ২১ নভেম্বর, ২০২০
প্রতীকি ছবি

এ বছর বিশ্বব্যাপী প্রাণঘাতী করোনা ভাইরাস এবং বিভিন্ন প্রাকৃতিক দুর্যোগের কারণে শিক্ষার্থী ঝরে পড়ার হার বৃদ্ধির আশঙ্কা রয়েছে। এছাড়াও বিভিন্ন পর্যায়ের শিক্ষার্থীরা নানারকম সমস্যার সম্মুখীন হচ্ছে।

দীর্ঘ সময় শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের স্বাভাবিক কার্যক্রম বন্ধ থাকা সত্ত্বেও কোনো কোনো শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান কর্তৃক বাড়তি ফি আদায় এবং কোনো কোনো শিক্ষকের কৌশলে অর্থ আদায়ের কারণে অভিভাবকরা উদ্বিগ্ন হয়ে পড়েছেন।

আর্থিক সংকটে পড়া অভিভাবকদের কাছ থেকে বিশেষ বিবেচনায় ফি কম নেয়ার দৃষ্টান্তও লক্ষ করা যায়নি। এমন পরিস্থিতিতে বুধবার এ সংক্রান্ত একটি বিজ্ঞপ্তি জারি করেছে মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা অধিদফতর (মাউশি)।

এতে কয়েকটি খাতে ফি না নিতে নির্দেশ দেয়া হয়েছে স্কুল-কলেজগুলোকে। মাউশির নির্দেশনা পালনে কোনো শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের কর্তৃপক্ষ দায়িত্বশীলতার পরিচয় না দিলে অনেক শিক্ষার্থীর অপূরণীয় ক্ষতি হবে।

শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের স্বাভাবিক কার্যক্রম বন্ধ থাকলেও এ সময়ে টেলিভিশনে পাঠদানসহ বিকল্প পদ্ধতিতে পাঠদানের ব্যবস্থা করা হয়েছে। কিন্তু বিপুলসংখ্যক শিক্ষার্থী এসব কার্যক্রমের সঙ্গে যুক্ত থাকতে পারেনি। হাতেগোনা কিছু প্রতিষ্ঠান অনলাইনে শিক্ষার্থীদের সঙ্গে যোগাযোগ রেখেছে। বছরের শেষদিকে এসে প্রতিষ্ঠানগুলোকে ‘অ্যাসাইনমেন্ট’ (বাড়ির কাজ) কার্যক্রমে যুক্ত করে সক্রিয় করেছে সরকার।

মাউশির নির্দেশনায় বলা হয়েছে, পরিস্থিতি এমন হলেও শতভাগ প্রতিষ্ঠানই নিতে পারবে টিউশন ফি। কোনো অভিভাবক আর্থিক সংকটে পড়ে থাকলে তার সন্তানের বিষয়টি বিশেষভাবে বিবেচনা করার কথাও বলা হয়েছে। এ নির্দেশনা পালনে কোনো শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান কর্তৃপক্ষ গড়িমসি করলে তাদের নৈতিকতার বিষয়টি প্রশ্নবিদ্ধ হবে।

সারা দেশের মানুষই কম-বেশ করোনায় ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। আমরা আশা করব, কোনো প্রতিষ্ঠান কর্তৃপক্ষ ইতোমধ্যে বাড়তি ফি আদায় করে থাকলে তা ফেরত দেবে অথবা টিউশন ফির সঙ্গে সমন্বয় করবে।

২০২১ সালের শুরুতে মহামারী পরিস্থিতি স্বাভাবিক হবে কিনা, তা এখনই বলা যাচ্ছে না। তবে ইতোমধ্যে প্রাপ্ত তথ্য থেকে অনুমান করা যায়, পরিস্থিতি স্বাভাবিক হতে আরও কয়েক মাস লাগবে। কাজেই আগামী শিক্ষাবর্ষের শুরুতে পাঠদানের পদ্ধতি কেমন হবে তা এখনই ভাবতে হবে।

বিকল্প পদ্ধতির পাঠদান কার্যক্রমের সঙ্গে যাতে সর্বাধিকসংখ্যক শিক্ষার্থী যুক্ত থাকতে পারে তা নিশ্চিত করতে হবে। মহামারীর কারণে ইতোমধ্যে উচ্চবিত্ত ও নিুবিত্ত পরিবারের শিক্ষার্থীদের মধ্যে এক ধরনের বৈষম্য সৃষ্টি হয়েছে, যা দূর করতে সরকারকে বিশেষ পদক্ষেপ নিতে হবে।

শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের সঙ্গে যুক্ত সংশ্লিষ্ট সবাইকে নিজেদের সুনাম ধরে রাখতে সর্বাত্মক চেষ্টা করতে হবে। যুগের সঙ্গে তাল মিলিয়ে শিক্ষার মানোন্নয়নেও যথাযথ পদক্ষেপ নিতে হবে।


আপনার মতামত লিখুন :

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এই ক্যাটাগরির আরো সংবাদ