চাঁদপুরের মতলব দক্ষিণ উপজেলার নায়েরগাঁও মার্চেন্ডাইজ কোল্ড স্টোরেজ লিমিটেডে অতিরিক্ত মূল্যে আলু বিক্রি করা হচ্ছে। অতিরিক্ত মূল্যে আলু বিক্রি করায় দিশেহারা হয়ে পড়েছে কৃষকরা।
এ কোল্ড স্টোরেজে প্রশাসনের নজরদারি প্রয়োজন মনে করছেন সাধারণ কৃষকরা। সরকারি মূল্য তালিকার চেয়ে অধিক মূল্যে আলু বিক্রি করা হয় এখানে। অধিক মূল্যের কারণে এলাকার কৃষকরা আলু না কিনে বাড়ি ফিরে যাচ্ছেন। দুশ্চিন্তায় পড়েছেন অনেক কৃষক।
প্রতি কেজি আলু ২৭টাকা হারে ৫০ কেজির প্রতি ব্যাগ আলুর দাম হয় ১৩শ ৫০ টাকা। চার্ট টানানো এবং সরকারি মূলে বিক্রির কথা থাকলেও তা মানছে না পাইকারী আলু ব্যবসায়ী ও মজুদকারীরা। এখানে প্রতিব্যাগ আলু বিক্রি হচ্ছে গড়ে ২ হাজার থেকে ২ হাজার ১শ টাকা দরে। কোল্ড স্টোরের কর্তৃপক্ষকে হাত করেই এ অধিক দামে আলু বিক্রি হচ্ছে। অনেক আলু ব্যবসায়ী ও এজেন্ডরা কম মূল্যে আলু ক্রয় করে এখন অধিক মূল্যে আলু বিক্রি করছেন। এখানে রয়েছে অসংখ্য দালাল। কেউ আলু বিক্রি করতে আসলে আলু কম দামে বিক্রি করতে নিষেদ করেন তারা। কেউ কম রেটে আলু বিক্রি করলে ঐ দালালরা দমকাদমকি ও করে থাকেন। বিনিময়ে তাদের কাছ থেকে ও টাকা নেন। বীজ আলু রেখে অতিরিক্ত আলু মজুদ রাখা যাবে না এমন কথা থাকলেও এ নিয়ম মানা হয় নি এ কোল্ড স্টোরেজে।
মতলবের নায়েরগাঁও বাজারের সবুজ মিয়া নামের এক ব্যবসায়ী এখানে ২শ ৮০ বস্তা আলু মজুদ রেখেছেন। কম রেটে কিনে এখন বিক্রি করছেন অধিক মূল্যে। তাফাজ্জল নামে আরেক ব্যক্তি ৫০বস্তা আলু মজুদ রেখে ২ হাজার টাকা করে বিক্রি করেছেন। ঘোনা গ্রামের রশিদ ও পেয়ারী খোলা গ্রামের মান্নান ৪ বস্তা করে আলু কিনতে এসে অধিক মূল্যের কারণে ফিরত চলে যান।
এই কোল্ড স্টোরেজের ম্যানেজার মাসুদ আলী’র সাথে আলাপ করলে তিনি বলেন, আমরা কম মূল্যে আলু বিক্রির জন্য চার্ট টানিয়ে দিয়েছি। কিন্তু মজুদদার কৃষকরা তা মানছেন না। উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ফাহমিদা হক’র সাথে মোবাইল ফোনে একাধিকবার যোগাযোগ করলেও পাওয়া যায় নি।