২০ নভেম্বর (শুক্রবার) দ্বিতীয় দিনের কর্মসূচি সকাল সাড়ে ৮টায় ভাতৃ-দ্বিতিয়া অখন্ড সম্মেলন উপলক্ষে বিশেষ সমবেত উপাসনা অনুষ্ঠীত হয়। সকাল ১১ টায় ভাতৃ-দ্বিতীয়া অখন্ড সম্মেলনের শুভ উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন চাঁদপুর পৌরসভার মেয়র অ্যাডঃ জিল্লুর রহমান জুয়েল। সরকারের নির্দেশিত স্বাস্থ্য বিধি মেনে ভক্তরা অখণ্ড সম্মেলনে ভক্তরা অংশ গ্রহণ করেন।
প্রধান অতিথির বক্তব্য রাখেন চাঁদপুর পৌরসভার মেয়র অ্যাড.জিল্লুর রহমান জুয়েল।
তিনি তার বক্তব্যে বলেন, ধর্মের মূল বিষয়টা আচরনের মধ্যে থাকতে হবে। তিনি জগতের সকল মানুষের কথা চিন্তা করতেন। তার বক্তব্য সকল ধর্মের মানুষ জন্য কল্যান কর। চাঁদপুরে এমন এক মহা পুরুষের জম্ম হওয়ায় আমরা গর্ববোধ করছি।
আজকের এ ভাতৃ দ্বিতীয়ার অনুষ্ঠান একের প্রতি অন্যের ভাতৃত্ববোধে সম্প্রসারনের লক্ষে। ভাতৃ মানবতাই হলো ভাতৃত্ব বোধ। যার যার ধর্মে সেই বোধ আছে। আমি অন্য ধর্মের হলেও স্বরূপানন্দের বানী গুলো পড়তাম। তার এ বানী জগতের সকলের উদ্দেশ্যে লিপিবদ্ধ।
তিনি আরো বলেন, শিক্ষামন্ত্রী ডা.দীপু মনি অত্যান্ত সাফল্যের সাথে মন্দিরের উন্নয়ন কাজে সহযোগিতা করেছেন। আমি চাঁদপুর পৌরসভা নির্বাচনে মেয়র হয়েছি, আমি সব সময় আপনাদের পাশে থাকার চেষ্টা করবো। মিথ্যাকেও অজান্তে সত্য রূপ দেওয়ার চেষ্টা করেন। আমি আছি কেউ যেনো আশ্রমের বিষয়ে কোন চক্রান্ত করতে না পারে। আপনারা আমাকে ভোট দিয়েছেন, আমি আপনাদের জন্য কিছু করবো। চাঁদপুর সস্প্রতির শহর। এই শহরের সুনাম অক্ষুণ্ণ রাখার চেষ্টা করবো।
ফরিদগঞ্জ ডিগ্রী কলেজের অধ্যাপক রাধেশ্যাম কুড়ির সভাপতিত্বে ও অযাচক আশ্রম বোর্ড অব স্ট্রাস্টের সদস্য দুলাল দাসের পরিচালানায় ভারতে পশ্চিমবঙ্গ প্রদেশ থেকে মোবাইলে বক্তব্য রাখেন দাদা মনি তপন ব্রক্ষ্মচারী।
বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন, জেলা পুজা উদযযাপন পরিষদের সভাপতি সুভাষ চন্দ্র রায়,সাধারণ সম্পাদক তমাল কুমার ঘোষ, জেলা হিন্দু বৌদ্ধ খিস্ট্রান ঐক্য পরিষদের সভাপতি অ্যাডঃ বিণয় ভূষন মজুমদার, জেলা জম্মাষ্টমী উদযাপন পরিষদের সভাপতি গোপাল সাহা,সদর উপজেলা পূজা উদযাপন পরিষদের সাধারণ সম্পাদক লক্ষণ চন্দ্র সূত্রধর,২ নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর মালেক শেখ, ১০ নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর ইউনুস শোয়েব,স্বাগত বক্তব্য রাখেন চাঁদপুর অযাচক আশ্রম-বোর্ড অব ট্রাস্টের সদস্য সচিব মৃণাল কান্তি দাস, বাংলাদেশ সম্মিলিত অখণ্ড সংগঠনের সদস্য সচিব সুজিত কুমার দে,পূর্ণ জন্মস্থান চাঁদপুর অযাচক আশ্রম পরিচালনা পরিষদের সচিব তাপস কুমার দাস, বোর্ড অব স্ট্রাস্টের সদস্য গৌতম সাহা।
এ সময় বক্তারা বলেন, ১০৫ বছর আগে শ্রী শ্রী স্বামী স্বরূপানন্দ পরমহংসদেব এমন একটি দিন গঠন করতেই চরিত্র গঠন আন্দোলনের ডাক দিয়েছিলেন ঘোড়ামারার মাঠে। আজকে আমরা এখানে আনন্দের মাঝে ভ্রাতৃ দ্বিতীয়া অখণ্ড সম্মেলন হচ্ছে। কিন্তু যিনি এ মন্দিরের জন্য কাজ করে গেছেন তিনি হলেন অধ্যক্ষ কবিরাজ সুখরঞ্জন ব্রক্ষ্মচারী। তিনি আজ আমাদের মাঝে নেই।তিনি মানব সেবায় ব্রত ছিলেন। এখানে দেশ বিদেশের বহু ভক্ত এসেছে। একটি কুচক্রি মহল স্বরূপানদের পূর্ন জম্মস্হান দখলের পায়তারা করছে। বিষয়টি শিক্ষামন্ত্রী ডা.দীপু মনি এমপি অবগত আছেন।
আমাদের চাঁদপুরের সম্পদ, অন্য জেলাকে কিছুতেই দেয়া যাবেনা। আজকে যে ভাতৃ দ্বিতীয়া সম্মেলন করা হচ্ছে সেই সময় আমরা পৌর মেয়রের কাছে আহবান করবো স্বরূপানন্দের মন্দির যেন এ পূর্ন জম্মস্হানে যেন করা হয়।ভাই বোন কে ভাতৃ দ্বিতীয়া বলে। সকলের সাথে ভাতৃত্ব বন্ধন। স্বামী স্বরূপানন্দ পরমহংসদেব সবার সথে বন্ধুত্ব গঠন করেছেন তাই তার পূর্ন জম্ম ভূমিতে এ সম্মেলন করা হচ্ছে।
এখানে ৫/৭টি ঘর ছিল ভাষানদের। গাঙ্গুলী পাড়ায় স্বামী স্বরূপানন্দের জম্মস্হান। রোকেয়া বেগম দখলে ছিল। তার কাছ থেকে জায়গা উদ্ধার করা হলো। জেলা প্রশাসক ছিলেন খালিদ আনোয়ার। তিনি এন ডি সি ছিলেন বিমল সর্বাত্রক সহযোগীতা করার জন্য নির্দেশ দেন।
রহিমপুরে মন্দির কেন করা হবে, চাঁদপুরের জম্মভূমিতে মন্দির করা হবে, সেই মতে মন্দির করার কাজ শুরু।ঐ চক্রটি এখন আবার রহিমা নগরে মন্দির করার পায়তারা করছে।
অখণ্ডা সংগীতা পাঠ করেন অরুন কুমার ঘোষ,পরিবেশন করেন মানিক রায়।