শিরোনাম
The Safest Online Gaming Sites: A Comprehensive Guide চাঁদপুর জমিন পত্রিকার ২৫ বছরে পদার্পণে মিলাদ সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের জ্ঞাতার্থে অবগতি পত্র প্রশিক্ষণ যুদ্ধবিমান বিধ্বস্ত হয়ে পাইলটের মৃত্যু বাইডেনের অস্ত্র সরবরাহ বন্ধের হুমকি খুবই হতাশাজনক: ইসরাইল প্রথম ফ্লাইটে সৌদি আরব গেলেন ৪১০ জন হজযাত্রী ৪৬তম বিসিএস প্রিলিমিনারির ফল প্রকাশ, উত্তীর্ণ ১০৬৩৮ দেশবরেণ্য পরমাণু বিজ্ঞানী ওয়াজেদ মিয়ার ১৫তম মৃত্যুবার্ষিকী উপজেলা ভোট অবাধ ও শান্তিপূর্ণ হয়েছে: সিইসি অ্যাস্ট্রাজেনেকা টিকার বিষয়ে অনুসন্ধান চলছে: স্বাস্থ্যমন্ত্রী বিএসএফ’র গুলিতে দুই বাংলাদেশী নিহত গাজীপুরের তিন উপজেলায় ভোটগ্রহণ শুরু সারাদেশে পরিবেশ রক্ষায় গাছ কাটা নিয়ন্ত্রণে হাইকোর্টের রুল কেনিয়ায় বাঁধ ভেঙে ৪২ জন নিহত স্কুল-মাদরাসা বৃহস্পতিবার পর্যন্ত বন্ধ রাখতে হাইকোর্টের নির্দেশ
শনিবার, ১৮ মে ২০২৪, ১১:৫০ পূর্বাহ্ন

পথ দেখানোর কেন্দ্র হোক ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় : প্রধানমন্ত্রী

নিজস্ব প্রতিবেদক / ১৭৪ বার এই সংবাদটি পড়া হয়েছে
প্রকাশের সময় : বৃহস্পতিবার, ২১ জানুয়ারী, ২০২১
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা (ফাইল ছবি)

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, বাংলাদেশ এগিয়ে যাচ্ছে। করোনাভাইরাস আমাদের বাধা দিয়েছে, কিন্তু এই বাধা অতিক্রম করেই এগিয়ে যেতে হবে। এর জন্য প্রয়োজন গবেষণা করা। গবেষণা ছাড়া কোনো অর্জন সম্ভব না।

বৃহস্পতিবার ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শতবর্ষপূর্তি উপলক্ষে আয়োজিত আন্তর্জাতিক সম্মেলনের উদ্বোধনকালে তিনি এ কথা বলেন।

 

পথ দেখানোর কেন্দ্র হোক ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়: প্রধানমন্ত্রী

 ঢাবি প্রতিনিধি

 ২১ জানুয়ারি ২০২১, ১০:১২ পিএম  |  অনলাইন সংস্করণ
52Shares
facebook sharing button
messenger sharing button
twitter sharing button
pinterest sharing button
linkedin sharing button
পথ দেখানোর কেন্দ্র হোক ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়: প্রধানমন্ত্রী
ফাইল ছবি

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, বাংলাদেশ এগিয়ে যাচ্ছে। করোনাভাইরাস আমাদের বাধা দিয়েছে, কিন্তু এই বাধা অতিক্রম করেই এগিয়ে যেতে হবে। এর জন্য প্রয়োজন গবেষণা করা। গবেষণা ছাড়া কোনো অর্জন সম্ভব না।

বৃহস্পতিবার ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শতবর্ষপূর্তি উপলক্ষে আয়োজিত আন্তর্জাতিক সম্মেলনের উদ্বোধনকালে তিনি এ কথা বলেন।

বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের নবাব নওয়াব আলী চৌধুরী সিনেট ভবনে ঢাবির শতবর্ষপূর্তি উদযাপন উপলক্ষে আয়োজিত আন্তর্জাতিক সম্মেলনে উপাচার্য অধ্যাপক ড. আখতারুজ্জামানের সভাপতিত্বে গণভবন থেকে ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে প্রধান অতিথি ছিলেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।

বিশেষ অতিথি হিসেবে সংযুক্ত ছিলেন শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনি। উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য দেন আন্তর্জাতিক সম্মেলন আয়োজক কমিটির আহ্বায়ক অধ্যাপক ড. ইমতিয়াজ আহমেদ, মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন বিশিষ্ট অর্থনীতিবিদ অধ্যাপক রেহমান সোবহান। এতে আরও উপস্থিত ছিলেন বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রো-ভাইস চ্যান্সেলর (প্রশাসন) অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ সামাদ, প্রো-ভাইস চ্যান্সেলর (শিক্ষা) অধ্যাপক ড. এএসএম মাকসুদ কামাল, কোষাধ্যক্ষ অধ্যাপক মমতাজ উদ্দিন আহমেদ।

গবেষণার প্রতি জোর দিয়ে প্রধানমন্ত্রী বলেন, জাতির পিতা আমাদের স্বাধীনতা দিয়েছেন সেটা সমুন্নত রাখা, বিশ্বে বাঙালি জাতিকে একটি মর্যাদার আসনে অধিষ্ঠিত করা সেটাই আমাদের লক্ষ্য। ’৯৬ তে আমরা যখন সরকারে আসি তখন দেখেছিলাম গবেষণার জন্য কোনো অর্থ বরাদ্দ ছিল না। বিশ্ববিদ্যালয়গুলো যেভাবে পারত অর্থের ব্যবস্থা করে গবেষণা করত। তখন আমরা গবেষণার জন্য আলাদাভাবে অর্থ বরাদ্দের ব্যবস্থা করলাম। আর এখন এর সুফল আমরা পাচ্ছি। আমরা খাদ্যে স্বয়ংসম্পূর্ণ, প্রতিটা ক্ষেত্রে এগিয়ে যাচ্ছি, ডিজিটাল বাংলাদেশ গড়ে তুলেছি। সবকিছুই গবেষণার ফসল। তাই গবেষণাকে সবসময় গুরুত্ব দিতে হবে, সেটা আমি অনুরোধ করব।

তিনি আরও বলেন, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় শুধু একটি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান নয়; এই প্রতিষ্ঠান বাংলাদেশের। আমাদের প্রতিটি অর্জনের পথ দেখিয়েছে। কাজেই সে বিশ্ববিদ্যালয় আরও উন্নত থেকে উন্নততর, সুন্দর হোক সেটাই আমরা চাই।  সেদিকে লক্ষ্য রেখেই আমরা বিভিন্নভাবে কাজ করে যাচ্ছি। আমাদের আগামী দিনের পথচলা বিশ্বের সঙ্গে তালমিলিয়ে চলার জন্য যে দক্ষ মানব শক্তির প্রয়োজন এই মানব শক্তি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় গড়তে পারে বা এর যাত্রা শুরু করতে পারে। যাকে অনুসরণ করে বাংলাদেশের প্রতিটি বিশ্ববিদ্যালয়ও সেইভাবেই কাজ করবে। আমাদের সামনে যে চতুর্থ শিল্পবিপ্লব আসবে বা বিশ্ব যখন এগিয়ে যাবে তার সঙ্গে আমরা যেন তাল মিলিয়ে চলতে পারি। তার পথ দেখানোর কেন্দ্রবিন্দু হবে ঢাবি সেটাই আমরা চাই।

ঢাবির সব আন্দোলনের সূতিকাগার উল্লেখ করে শেখ হাসিনা বলেন, আমরা যদি আমাদের প্রতিটা আন্দোলনের দিকে তাকাই সবগুলোরই সূতিকাগার ঢাবি। ঢাবি সবসময় গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠার জন্য আন্দোলন করেছে এবং আমরা দেখেছি স্বৈরাচারবিরোধী আন্দোলন তথা ৭৫-এ জাতির পিতাকে হত্যার পর মিলিটারি ডিক্টেটররা ক্ষমতা একের পর এক দখল করতে শুরু করে। ৭৫-এর পর দেখেছি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়সহ সব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে অস্ত্রের ঝনঝনানি।  আর এভাবেই একটি জাতিকে ধ্বংসের পথে ঠেলে দেওয়ার যড়যন্ত্র শুরু হয়েছিল। পঁচাত্তরের ১৫ আগস্ট আমাদের মুক্তিযুদ্ধের যে চেতনা, আদর্শ সব একে একে ধ্বংস করে দেওয়ার চেষ্টা শুরু হয়। কিন্তু এর প্রতিবাদ আবার শুরু হয় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে। কারণ ঢাবির শিক্ষক-শিক্ষার্থীরা সবসময় অন্যায়ের প্রতিবাদ করে।

তিনি বলেন, আমাদের সরকার গঠনের পর ঢাবিতে এখন আর অস্ত্রের ঝনঝনানি শোনা যায় না, গোলাগুলি, বোমাবাজির শব্দও শোনা যায় না। সবচেয়ে বড় বিষয় শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে পড়ালেখার পরিবেশ ফিরিয়ে আনা। আর আমরা সেটা পেরেছি। এখন শিক্ষকদের দায়িত্ব জ্ঞানদান করা আর ছাত্রদের দায়িত্ব জ্ঞান গ্রহণ করা। তবে আমার সরকারের পক্ষ থেকে বলতে পারি, ঢাবি আমাদের পক্ষ থেকে সব ধরনের সহযোগিতা পাবে।

 


আপনার মতামত লিখুন :

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এই ক্যাটাগরির আরো সংবাদ