শিরোনাম
The Surge of Bitcoin Online Casinos: A Guide to Depositing with Cryptocurrency সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের জ্ঞাতার্থে অবগতি পত্র প্রশিক্ষণ যুদ্ধবিমান বিধ্বস্ত হয়ে পাইলটের মৃত্যু বাইডেনের অস্ত্র সরবরাহ বন্ধের হুমকি খুবই হতাশাজনক: ইসরাইল প্রথম ফ্লাইটে সৌদি আরব গেলেন ৪১০ জন হজযাত্রী ৪৬তম বিসিএস প্রিলিমিনারির ফল প্রকাশ, উত্তীর্ণ ১০৬৩৮ দেশবরেণ্য পরমাণু বিজ্ঞানী ওয়াজেদ মিয়ার ১৫তম মৃত্যুবার্ষিকী উপজেলা ভোট অবাধ ও শান্তিপূর্ণ হয়েছে: সিইসি অ্যাস্ট্রাজেনেকা টিকার বিষয়ে অনুসন্ধান চলছে: স্বাস্থ্যমন্ত্রী বিএসএফ’র গুলিতে দুই বাংলাদেশী নিহত গাজীপুরের তিন উপজেলায় ভোটগ্রহণ শুরু সারাদেশে পরিবেশ রক্ষায় গাছ কাটা নিয়ন্ত্রণে হাইকোর্টের রুল কেনিয়ায় বাঁধ ভেঙে ৪২ জন নিহত স্কুল-মাদরাসা বৃহস্পতিবার পর্যন্ত বন্ধ রাখতে হাইকোর্টের নির্দেশ ৪ বিভাগে বজ্রসহ বৃষ্টি হতে পারে
বুধবার, ১৫ মে ২০২৪, ০২:৩৯ অপরাহ্ন

যেসব বিচ্ছেদ চমকে দিয়েছিল বিশ্বকে

দর্পণ ডেস্ক / ১১৫ বার এই সংবাদটি পড়া হয়েছে
প্রকাশের সময় : বৃহস্পতিবার, ২৫ জানুয়ারী, ২০২৪

সম্প্রতি আলোচনায় এসেছে পাকিস্তানি ক্রিকেটার শোয়েব মালিক ও ভারতীয় টেনিস খেলোয়াড় সানিয়া মির্জার বিচ্ছেদ । মূলত, শোয়েবের তৃতীয় বিয়ের খবর প্রকাশ্যে এলেই জানা যায়, কয়েক মাস আগে তালাক নিয়েছেন সানিয়া।

আর বিচ্ছেদের খবর প্রকাশ পেতেই গুঞ্জন উঠেছে কত টাকা সানিয়াকে ক্ষতিপূরণ হিসেবে দিতে হচ্ছে শোয়েবকে। ভারতীয় গণমাধ্যমগুলোর তথ্য অনুযায়ী, সানিয়া মির্জার মোট সম্পদের পরিমাণ ২১৬ কোটি রুপি, যেখানে শোয়েব মালিকের ২৩০ কোটি। বিপুল বিত্তের অধিকারী এই দুই তারকা খেলোয়াড়ের বিচ্ছেদ তাই বিশ্ব ক্রীড়াঙ্গনের হাই প্রোফাইল বিচ্ছেদগুলোর একটি হিসেবে বিবেচিত হচ্ছে।

অ্যাম্বার হার্ড-জনি ডেপ

জনি ডেপ ও তাঁর সাবেক স্ত্রী অ্যাম্বার হার্ড

জনি ডেপ ও তাঁর সাবেক স্ত্রী অ্যাম্বার হার্ডছবি : সংগৃহীত

হলিউড অভিনেতা অ্যাম্বার হার্ড ও জনি ডেপের বিবাহিত জীবনের স্থায়িত্ব ছিল ১৫ মাস। ২০১৬ সালে জনি ডেপের থেকে বিচ্ছেদ চেয়ে আবেদন করেন অ্যাম্বার হার্ড। বিচ্ছেদ নিষ্পত্তির পর তিনি পেয়েছিলেন ৭০ লাখ ডলার। পুরো অর্থই অবশ্য তিনি দান করে দিয়েছেন। তবে তাঁদের বিচ্ছেদপ্রক্রিয়া মোটেও সুখকর ছিল না। দুজনেই একে অন্যের বিরুদ্ধে আনেন পারিবারিক নির্যাতনের অভিযোগ। ২০২০ ও ২০২১ সালের বড় সময়ই তাঁরা একে অন্যের বিরুদ্ধে আদালতে লড়াই করেছেন।


শেখ মোহাম্মাদ বিন রশিদ আল-মাখতুম-প্রিন্সেস হায়া বিনতে আল হোসেইন

জর্ডানের রাজকুমারী হায়া বিনতে আল-হুসাইন ও দুবাইয়ের শাসক শেখ মোহাম্মদ বিন রশিদ আল-মাকতুম

জর্ডানের রাজকুমারী হায়া বিনতে আল-হুসাইন ও দুবাইয়ের শাসক শেখ মোহাম্মদ বিন রশিদ আল-মাকতুমফাইল ছবি: রয়টার্স

দুবাইয়ের শাসক শেখ মোহাম্মদ বিন রশিদ আল-মাখতুমের সঙ্গে প্রিন্সেস হায়া বিনতে আল-হুসেইনের বিচ্ছেদের মামলার রায় ঘোষণা করেছেন ব্রিটেনের হাইকোর্ট। রায়ে জর্ডানের সাবেক রাজা হুসেইনের কন্যা ৪৭ বছর বয়সী সাবেক স্ত্রী ও দুই সন্তানের ভরণপোষণের জন্য দুবাইয়ের আমিরকে ৭৩৩ মিলিয়ন ডলার পরিশোধের নির্দেশ দিয়েছেন আদালত। বাংলাদেশি মুদ্রায় যার পরিমাণ প্রায় ৫ হাজার ৭০০ কোটি টাকা। যুক্তরাজ্যের আইনি জগতের ইতিহাসে এটিই সবচেয়ে বড় বিচ্ছেদ মামলা বলে উল্লেখ করেছে ব্রিটিশ গণমাধ্যম বিবিসি।


বিল গেটস-মেলিন্ডা গেটস

বিয়ের ২৭ বছর পর বিল গেটসের সঙ্গে মেলিন্ডা গেটসের বিচ্ছেদ হয়

বিয়ের ২৭ বছর পর বিল গেটসের সঙ্গে মেলিন্ডা গেটসের বিচ্ছেদ হয়ছবি : সংগৃহীত

বিয়ের ২৭ বছর পর ২০২১ সালের ৩ মে নিজেদের বিচ্ছেদ ঘোষণা করেন মাইক্রোসফটের সহপ্রতিষ্ঠাতা, ধনকুবের ও মানবকল্যাণমূলক কাজের জন্য বিখ্যাত বিল গেটস ও তাঁর সাবেক স্ত্রী মেলিন্ডা গেটস। এই ঘোষণা বিশ্বের বেশির ভাগ মানুষকে হতবাক করেছিল। আদালত থেকে পাওয়া তথ্য অনুযায়ী, নিজেদের মধ্যে বিচ্ছেদসংক্রান্ত চুক্তি করেছেন তাঁরা। এক বিবৃতিতে বিল ও মেলিন্ডা জানান, বিচ্ছেদের পরও পৃথিবীর বিভিন্ন প্রান্তের মানুষকে সহায়তা দিতে একসঙ্গেই গেটস ফাউন্ডেশনের কাজ এগিয়ে নেবেন তাঁরা। গেটস ফাউন্ডেশনের মোট সম্পদের পরিমাণ ৪০ বিলিয়ন বা ৪ হাজার কোটি ডলার। অন্যদিকে বিল গেটসের সম্পদের পরিমাণ ১৩ হাজার ৫০ কোটি ডলার। এ ছাড়া বিল ও মেলিন্ডার যৌথ মালিকানায়ও রয়েছে বিপুল পরিমাণ সম্পদ।


জেফ বেজোস-ম্যাকেঞ্জি স্কট

জেফ বেজোস ও ম্যাকেঞ্জি স্কট

জেফ বেজোস ও ম্যাকেঞ্জি স্কটছবি : সংগৃহীত

২৫ বছরের সংসার ভেঙে যাওয়ার খবর ২০১৯ সালের এপ্রিলে দেন মার্কিন ঔপন্যাসিক ও মানবহিতকর কাজের জন্য বিখ্যাত ম্যাকেঞ্জি স্কট। তাঁর সাবেক স্বামী জেফ বেজোস ছিলেন ২০১৮ সালে বিশ্বের সবচেয়ে ধনী ব্যক্তি। ফলে ২০১৯ সালে তাঁদের বিচ্ছেদ হলে সেটিও বেশ আলোচনায় ছিল। গণমাধ্যমগুলো সে সময় জানিয়েছিল, বিচ্ছেদ চূড়ান্ত হলে ম্যাকেঞ্জি স্কটকে ৩৬ বিলিয়ন বা ৩ হাজার ৬০০ কোটি ডলার ক্ষতিপূরণ দিয়েছিলেন বেজোস। আর এই অর্থ পাওয়ার পর বিশ্বের অন্যতম ধনী নারীতে পরিণত হন ম্যাকেঞ্জি। তবে ২০২০ সালের জুনে নিজের সম্পদ থেকে ১ দশমিক ৭ বিলিয়ন বা ১৭০ কোটি ডলার দাতব্য সংস্থাকে দান করে দেন ম্যাকেঞ্জি। এ ছাড়া বিচ্ছেদ থেকে পাওয়া অর্থ তিনি বিভিন্ন জনকল্যাণমূলক কাজে ব্যয় করেছেন।

তথ্যসূত্র: টাইমস অব ইন্ডিয়া


আপনার মতামত লিখুন :

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এই ক্যাটাগরির আরো সংবাদ