শিরোনাম
সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের জ্ঞাতার্থে অবগতি পত্র প্রশিক্ষণ যুদ্ধবিমান বিধ্বস্ত হয়ে পাইলটের মৃত্যু বাইডেনের অস্ত্র সরবরাহ বন্ধের হুমকি খুবই হতাশাজনক: ইসরাইল প্রথম ফ্লাইটে সৌদি আরব গেলেন ৪১০ জন হজযাত্রী ৪৬তম বিসিএস প্রিলিমিনারির ফল প্রকাশ, উত্তীর্ণ ১০৬৩৮ দেশবরেণ্য পরমাণু বিজ্ঞানী ওয়াজেদ মিয়ার ১৫তম মৃত্যুবার্ষিকী উপজেলা ভোট অবাধ ও শান্তিপূর্ণ হয়েছে: সিইসি অ্যাস্ট্রাজেনেকা টিকার বিষয়ে অনুসন্ধান চলছে: স্বাস্থ্যমন্ত্রী বিএসএফ’র গুলিতে দুই বাংলাদেশী নিহত গাজীপুরের তিন উপজেলায় ভোটগ্রহণ শুরু সারাদেশে পরিবেশ রক্ষায় গাছ কাটা নিয়ন্ত্রণে হাইকোর্টের রুল কেনিয়ায় বাঁধ ভেঙে ৪২ জন নিহত স্কুল-মাদরাসা বৃহস্পতিবার পর্যন্ত বন্ধ রাখতে হাইকোর্টের নির্দেশ ৪ বিভাগে বজ্রসহ বৃষ্টি হতে পারে উপস্থিতি প্রমাণ করে আস্থা ফিরেছে ভোটারদের: ইসি
সোমবার, ১৩ মে ২০২৪, ০৬:৫৭ পূর্বাহ্ন

জানুয়ারিতে প্রকল্প অনুমোদন না পেলে ইভিএমে ভোট সম্ভব নয়

নিজস্ব প্রতিবেদক / ৭৩ বার এই সংবাদটি পড়া হয়েছে
প্রকাশের সময় : বুধবার, ৯ নভেম্বর, ২০২২

আগামী বছরের জানুয়ারির মাঝামাঝি সময়ের মধ্যে ইলেক্ট্রনিক ভোটিং মেশিন (ইভিএম) প্রকল্প পাস না হলে জাতীয় নির্বাচনে দেড়শ’ আসনে ইভিএমে ভোট সম্ভব নয় বলে জানিয়েছেন নির্বাচন কমিশনার (ইসি) মো. আলমগীর। 

বিদেশ থেকে ইভিএম যন্ত্রপাতি আনতে নানা প্রক্রিয়ার কথা তুলে ধরে তিনি বলেন, মধ্য জানুয়ারির মধ্যে অর্ডার দিতে হবে। না হলে আর সম্ভব হয়ে উঠবে না। বুধবার নির্বাচন ভবনে নিজ দফতরে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে মো. আলমগীর এ কথা বলেন।

তিনি জানান, সেক্ষেত্রে বর্তমানে ইসির হাতে থাকা দেড় লাখ ইভিএম নির্বাচনে ব্যবহার করা হবে।

নতুন দুই লাখ ইভিএম কিনতে ৮ হাজার ৭১১ কোটি টাকার ‘নির্বাচনি ব্যবস্থায় ইলেকট্রনিক ভোটিং মেশিনের (ইভিএম) ব্যবহার বৃদ্ধি এবং টেকসই ব্যবস্থাপনা’ শীর্ষক একটি প্রকল্প প্রস্তাব পরিকল্পনা কমিশনে পাঠায় ইসি। গত মঙ্গলবার পরিকল্পনা কমিশন ওই প্রকল্প প্রস্তাবের ব্যয় যৌক্তিক করার পরামর্শ দেয়।

এ বিষয়ে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে মো.আলমগীর বলেন, পরিকল্পনা কমিশন কী পর্যবেক্ষণ দিয়েছে তা নির্বাচন কমিশন এখনও জানে না। এগুলো দেখার পর কমিশন বসে সিদ্ধান্ত নেবে। তিনি বলেন, প্রকল্প অর্থনৈতিক সক্ষমতার ওপর নির্ভর করে। পরিকল্পনা কমিশন বা অর্থ মন্ত্রণালয় কত টাকা দিতে পারবে, তার ওপর এটি নির্ভর করে।

তিনি বলেন, প্রকল্প অনুমোদনের পর কার্যাদেশ দেওয়া, এলসি খোলা, যন্ত্রাংশ দেশে আনা, মান পরীক্ষা করা, সংশ্লিষ্টদের প্রশিক্ষণ, ইভিএম ব্যবহারের জন্য প্রস্তুত করা, মাঠে পাঠানো-এ কাজগুলো করতে হবে।

 

তিনি আরও বলেন, সারা বিশ্বে অর্থনৈতিক সংকট আছে। বাংলাদেশও তার বাইরে নয়। ইভিএমের যে ব্যয় তার অধিকাংশই বিদেশি মুদ্রায় পরিশোধ করতে হবে। যন্ত্রাংশ বিদেশ থেকে আমদানি করতে হবে। রিজার্ভের একটা সমস্যা থাকতে পারে, অর্থনৈতিক সমস্যা থাকতে পারে, সে হিসাবে পরিকল্পনা কমিশন কতটুকু পারবে সেসব দেখে ইসি সিদ্ধান্ত নেবে কী করা উচিত।

 

মো. আলমগীর বলেন, প্রকল্প প্রস্তাবে ইভিএম সংরক্ষণাগার, পরিবহনের জন্য গাড়ি, প্রশিক্ষণ বিভিন্ন খাত আছে। পরিকল্পনা কমিশন কোন খাতে খরচ কমাতে বলেছে তা এখনও কমিশন জানে না। তবে যেটাই হোক, যাতে অর্থ ও সম্পদের অপচয় না হয় সেগুলো বিবেচনায় নিয়েই ইসি সিদ্ধান্ত নেবে।

 

অর্থনৈতিক সংকটের মধ্যে এত বড় প্রকল্প প্রস্তাব করার বিষয়ে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ইভিএমের বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেওয়ার সময় অর্থনৈতিক পরিস্থিতি এমন ছিল না।  অর্থনৈতিক সক্ষমতা কতটুকু আছে সেটা বলতে পারবে অর্থ মন্ত্রণালয়, পরিকল্পনা মন্ত্রণালয়। ইসি নিজেদের চাহিদার কথা বলেছে। মন্ত্রণালয় কতটুকু দিতে পারবে সেটা তাদের ব্যাপার।


আপনার মতামত লিখুন :

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এই ক্যাটাগরির আরো সংবাদ