শিরোনাম
The Safest Online Gaming Sites: A Comprehensive Guide চাঁদপুর জমিন পত্রিকার ২৫ বছরে পদার্পণে মিলাদ সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের জ্ঞাতার্থে অবগতি পত্র প্রশিক্ষণ যুদ্ধবিমান বিধ্বস্ত হয়ে পাইলটের মৃত্যু বাইডেনের অস্ত্র সরবরাহ বন্ধের হুমকি খুবই হতাশাজনক: ইসরাইল প্রথম ফ্লাইটে সৌদি আরব গেলেন ৪১০ জন হজযাত্রী ৪৬তম বিসিএস প্রিলিমিনারির ফল প্রকাশ, উত্তীর্ণ ১০৬৩৮ দেশবরেণ্য পরমাণু বিজ্ঞানী ওয়াজেদ মিয়ার ১৫তম মৃত্যুবার্ষিকী উপজেলা ভোট অবাধ ও শান্তিপূর্ণ হয়েছে: সিইসি অ্যাস্ট্রাজেনেকা টিকার বিষয়ে অনুসন্ধান চলছে: স্বাস্থ্যমন্ত্রী বিএসএফ’র গুলিতে দুই বাংলাদেশী নিহত গাজীপুরের তিন উপজেলায় ভোটগ্রহণ শুরু সারাদেশে পরিবেশ রক্ষায় গাছ কাটা নিয়ন্ত্রণে হাইকোর্টের রুল কেনিয়ায় বাঁধ ভেঙে ৪২ জন নিহত স্কুল-মাদরাসা বৃহস্পতিবার পর্যন্ত বন্ধ রাখতে হাইকোর্টের নির্দেশ
শনিবার, ১৮ মে ২০২৪, ০৯:০২ পূর্বাহ্ন

মতলবে চোখ ওঠা রোগের প্রকোপ বৃদ্ধি, ড্রপ না পেয়ে চরম ভোগান্তিতে রোগীরা

সুমন আহম্মেদ / ৭৮ বার এই সংবাদটি পড়া হয়েছে
প্রকাশের সময় : শুক্রবার, ২১ অক্টোবর, ২০২২

সারাদেশের ন্যায় চাঁদপুরের মতলব উত্তরে হঠাৎ বেড়েছে চোখ ওঠা রোগের প্রাদুর্ভাব। প্রায় এক সপ্তাহে চোখ ওঠার প্রকোপ বৃদ্ধি পাওয়ায় প্রচুর নারী-পুরুষ ও শিশু এ রোগে আক্রান্ত হয়েছেন। প্রতিনিয়তই চোখ ওঠা রোগে আক্রান্তের সংখ্যা বেড়ে চলছে, ফলে প্রয়োজনীয় ঔষধের স্বল্পতা দেখা দিয়েছে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে এবং ফার্মেসীতে ড্রপ না পেয়ে চরম ভোগান্তিতে চোখ ওঠা রোগীরা।
বুধবার(১৯ অক্টোবর) সকাল থেকে দুপুর পর্যন্ত খোঁজ নিয়ে জানা যায়, মতলব উত্তর উপজেলার প্রায় প্রত্যেক গ্রামেই কমবেশি চোখ ওঠা রোগ হানা দিয়েছে। মতলব উত্তর স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স,হোমিও চিকিৎসা কেন্দ্র, বেসরকারি ক্লিনিক ও ঔষধের দোকানদারদের কাছে চোখ ওঠা রোগীরা পালাক্রমে ভিড় জমাচ্ছেন। পরিবারের একজন আক্রান্ত হলে প্রায় সব সদস্যই এ রোগে আক্রান্ত হচ্ছেন। সাধারণত চোখ লাল হওয়া, চোখ দিয়ে পানি পড়া, চোখে ব্যথা অনুভব করা, রোদ্রে চরম অস্বস্তিলাগা লক্ষণ নিয়ে রোগীরা চিকিৎসকের কাছে যাচ্ছেন। সব বয়সের মানুষ এ ছোঁয়াচে ভাইরাল ইনফেকশন রোগে আক্রান্ত হচ্ছেন।
এ রোগে আক্রান্ত ছেংগারচর সরকারি ডিগ্রি কলেজ  পড়ুয়া ছাত্রী জুলিয়া আক্তার জানান, প্রথমে আমার মেয়ে ও পরে আমি আক্রান্ত হই। একদিন পরে আমার পরিবারের আরো একজন আক্রান্ত হয়। দু’চোখ হঠাৎ করে লাল হয়ে যায় এবং চোখ ফুটতে (খচখচ) ও ব্যাথা শুরু হয়। নতুন বাজারে হোমিও চেম্বার থেকে চিকিৎসা নিয়ে এখন ৯০% সুস্থ্য।
৭০ বছরের বৃদ্ধ মো.সিরাজ বেপারী বলেন-আমার চোখ ওঠার পর দু’বেলা জার-ফুক নিয়েছি এবং পাশাপাশি চোখে ড্রপ দিয়েছি আমি এখন সুস্থ।
এদিকে চোখ ওঠা বেড়ে যাওয়ায় উপজেলার বিভিন্ন ফার্মেসিতে চোখের ড্রপের সংকট দেখা দিয়েছে। চাহিদা মতো ড্রপ না পেয়ে চরম ভোগান্তিতে পড়েছেন চোখ ওঠা রোগীরা।
মকবুল হোমিও চিকিৎসা কেন্দের ডা.মকবুল খান
বলেন, গত চার’দিনে চোখে ভাইরাস আক্রান্ত ৪০ এর অধিক রোগীকে প্রাথমিক চিকিৎসা দেয়া হয়েছে। আক্রান্ত রোগীকে আলাদা ভাবে থাকতে হবে। তার ব্যবহৃত তোয়ালে, গামছা, রুমালসহ অন্য সবকিছু আলাদা রাখতে হবে। তিনি আরও বলেন চোখ ওঠা এই রোগ থেকে বাঁচতে নিজেদের সচেতন হতে হবে। চোখে কালো চশমা ব্যবহার করতে হবে। চোখে নিয়মিত ড্রপ দিতে হবে ও মুখে লক্ষ্মণ অনুযায়ী মেডিসিন খেতে হবে। শিশুদের ক্ষেত্রে অবশ্যই চক্ষু চিকিৎসকের পরামর্শ নিতে হবে।
উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের আরএমও হাসিবুল ইসলাম জানান, প্রতিদিনই কমবেশি চোখ ওঠা রোগী আসে। হাসপাতালের কমিউনিটি ভিষন সেন্টারের মাধ্যমে চোখের রোগীদের চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে। চোখ ওঠা রোগী চিকিৎসকের পরামর্শে ঔষধ সেবন করলে দ্রুত আরোগ্য সম্ভব।
উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা.
আসাদুজ্জামান জুয়েল বলেন, নিয়মিত অধিক হারে চোখ ওঠা রোগী হাসপাতালে আসছে তাদেরকে চিকিৎসা সহ মেডিসিন দেওয়া হচ্ছে। বর্তমানে অধিক রোগী আসায় ঔষধের স্বল্পতা দেখা দিয়েছে।
তিনি আরও বলেন এখানে চক্ষু বিশেষজ্ঞ কোন চিকিৎসক নেই, মেডিকেল অফিসারগণ ও প্রশিক্ষিণপ্রাপ্ত নার্সগণ চোখের চিকিৎসা দিচ্ছেন। চোখ ওঠা বা কনজাংটিভাইটিস একটি ভাইরালজনিত রোগ, একজনের থেকে আর একজনের ছড়ায়। ২/১ দিন বাসায় থেকে ব্যাথা নাশক ও এন্টিহিস্টামিন ঔষধ খাবে এবং কাল চশমা ব্যবহার করবে, পর্যাক্ত পানি খাবে, রোদের আলোতে কম যাবে তাহলেই এই চোখ ওঠা থেকে আরোগ্য সম্ভব।
উল্লেখ্য, চোখ উঠা (Conjunctivitis, কন্‌জাঙ্কটিভাইটিস) হচ্ছে চোখের ভাইরাসজনিত ইনফেকশন। সাধারণভাবে প্রচলিত কথা ‘চোখ ওঠা’ বলতে চোখ লাল হওয়া বুঝানো হয়ে থাকে। কিন্তু চোখ লাল হওয়া একটি উপসর্গ মাত্র।এই ধরণের ইনফেকশন প্রথমত এক চোখে হয় পরবর্তী দুচোখেই দেখা দেয়।


আপনার মতামত লিখুন :

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এই ক্যাটাগরির আরো সংবাদ