চাঁদপুর জেলার হাইমচর উপজেলার ২০১৭ সালে প্রাথমিক বিদ্যালয়ের দারিদ্রপীড়ি ও ঝড়ে পড়া শিক্ষার্থীদের স্কুল মূখী করার লক্ষ্যে সরকারের স্কুল ফিডিং প্রকল্পের যাত্রা শুরু হয়। সরকার এবং বিশ্ব খাদ্য কর্মসুচির সহয়তায় পরিচালিত ও উন্নয়ন সহযোগি টিম (ইউএসটি) এনজিও দ্বারা বাস্তবাহিত প্রকল্প মেয়াদ ৩০ জুন শেষ হতে যাচ্ছে।
এ অবস্থায় আসছে জুলাই মাস থেকে শিশুদের মধ্যে আর বিস্কুট বিতরন করা সম্ভাব হচ্ছে না। এমনটাই অভিযোগ উঠেছে প্রকল্পটি বন্ধ হওয়ার পিচনে মন্ত্রনালয়ের দায় রয়েছে। মন্ত্রনালয়ের সচিব চাচ্ছে নগদের মাধ্যমে খাদ্য টাকা শিশুদের দিতে ।
অপরদিকে অধিদপ্তর চাচ্ছে আগের নিয়ম ভাবে বাচ্ছাদের খাদ্য (বিস্কুট) দেয়া হয়েছে সেভাবে দিতে। চলতি জুন মাসে পর সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের স্কুল ফিডিং কার্যক্রম বন্ধ হওয়ার খবরে উদ্বিগ্ন হয়ে পড়ছে শিক্ষার্থী, শিক্ষক, প্রকপ্লের সাথে জড়িত কর্মকর্তা ও অভিভাবকরা।তারা মনে করছেন স্কুল ফিডিং না থাকলে অনেক শিশু ঝড়ে পড়বে। তারা স্কুল যেতে চাইবে না ।
বিশেষ করে হাইমচর উপজেলার ১৩৪৯৭ জন শিক্ষার্থীদের ৫৮৩১ জন শিক্ষার্থী চরাঞ্চলের ঝড়ে পড়া শিক্ষার্থী। পাশাপাশি স্কুল ফিডিং কার্যক্রম বন্ধ হলে এ সকল শিক্ষার্থীদের পরিবার মানবতার জীবন যাপন করতে বাধ্য হবে । পথে বসবে এ সব সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তা কর্মচারীরা।
এ অবস্থায় স্কুল ফিডিং প্রকল্প চালু রাখার জন্য মাননীয় শিক্ষামন্ত্রী ডাঃ দীপু মনি হস্তক্ষেপ চাচ্ছেন শিক্ষক, অভিভাবকসহ সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তা কর্মচারীরা। হাইমচরে প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ঝড়ে পড়া শিক্ষার্থীদের কমানো লক্ষে ও স্কুলমূখী করে পুষ্টির জোগান দিতে স্কুল ফিডিং প্রকল্প চালু হয়।
এ প্রকল্পের মাধ্যমে প্রতিদিন শিশুদের এক প্যাকেট করে উচ্চ পুষ্টিমান সম্পন্ন বিস্কুট দেয় সরকার। চরাঞ্চলের শিক্ষার্থীরা বিস্কুটের আশায় প্রতিনিহিত স্কুলে আসতো। অনেকের মনে করেন দারিদ্র পরিবারের শিশু স্কুল ছেড়ে দিয়ে আবার নদীতে কিংবা বাবা-মার সাথে ক্ষেতে কাজ করতে শুরু করবে।
এ ব্যাপারে ৩৭ নং চরশোলাদী সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ৩য় শ্রেনীর ছাত্র মোঃ বাদশা মিয়া জানান , আমগো প্রতিদিন এক প্যাকেট করে বিস্কুট দিত এতে করে আমাদের স্কুলের পড়ার মনোযোগী হয়ে লেখাপড়ায় শক্তি পেতাম। আমরা গরিব মানুষ বিস্কুট পেলে পরিবারের খাবার কম লাগে। বিস্কুট পাব বলে প্রতিদিন স্কুলে আসি।
এ ব্যাপারে অভিভাবক আঃ রহিম জানান আমাদের চরাঞ্চলের ছেলে মেয়েরা বেশী ভাগ স্কুলে যেতো না । সরকার তাদেরকে বিস্কুট দিয়ে স্কুলে ফিরে নিয়েছে। সরকারের প্রতি অনুরোধ যাতে স্কুলে বিস্কুট দেওয়া বন্ধ না করে।
৪নং মনিপুর গাজীপুর সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষক ও উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষক সমিতির সাংগঠনিক সম্পাদক মোঃ সালাউদ্দিন জানায় স্কুল ফিডিং প্রকল্প বন্ধ হয়ে গেলে চরাঞ্চলের স্কুলের শিক্ষার্থীর উপস্থিতির সংখ্যা কমে যাবে এবং পুষ্টিহীনাতা শতভাগ ভোগবে। সরকার বিকল্প প্রকল্প গ্রহন না করলে ঝড়ে যাওয়া শিক্ষার হার বেড়ে যাবে। স্থানীয় লোকজন , অভিভাবক ও শিক্ষার্থীদের স্কুল ফিডিং প্রকল্প মেয়াদ বৃদ্ধি করে শিক্ষার্থীদের পুষ্টিহীনতা দুর করতে শিক্ষা মন্ত্রি হস্তক্ষেপ কামনা করছেন।