করোনাভাইরাসের প্রথম ডোজ এক কোম্পানির ভ্যাকসিন নেওয়ার পর দ্বিতীয় ডোজ অন্য কোনো কোম্পানির গ্রহণ করলে অসুবিধা হবে কি না- এটা নিয়ে অনেকের শঙ্কা। তবে গবেষণা বলছে, ভ্যাকসিনের মিশ্রণে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি পায়। যদিও এই তথ্য নিশ্চিত হতে আরো তথ্য-উপাত্ত যাচাই-বাছাই করতে হবে।
এনডিটিভিকে এমনটাই বলছেন, অল ইন্ডিয়া ইনস্টিটিউটস অব মেডিকেল সায়েন্সেস এর প্রধান ডা. রণদীপ গুলেরিয়া।
শনিবার তিনি বলেন, বিভিন্ন গবেষণা তথ্যে দেখা যাচ্ছে, ভ্যাকসিনের মিশ্রণ হলে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বা অ্যান্টিবডি আরও বেশি হয়। তবে এটি একটি সম্ভাবনা। এটি নিশ্চিত হওয়ার জন্য আরো তথ্যের প্রয়োজন রয়েছে।
‘‘আমাদের হাতে ফাইজার, মডার্না, স্পুুটনিক ভি-সহ বিভিন্ন ভ্যাকসিন রয়েছে। তবে কোনটির সঙ্গে কোনটির মিশ্রণ ঘটালে আরো ভালো হবে তা এই মুহুর্তে নিশ্চিত নই। প্রাথমিক গবেষণায় দেখা যাচ্ছে, মিশ্রিত ভ্যাকসিনে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ে।’’
গত ১২ মে চিকিৎসা সাময়িকী ল্যানসেটে প্রকাশিত গবেষণায় অ্যাস্ট্রাজেনেকা ও ফাইজারের ভ্যাকসিনের মিশ্রণের ব্যবহারে ভালো ফলাফল পাওয়ার কথা জানিয়েছে। যদিও এটি তাদের আংশিক প্রবন্ধ, তবে তারা অন্যন্য ভ্যাকসিনের মিশ্রণ নিয়ে কাজ করছে।
এরপর ১৮ মে স্পেনে একদল গবেষক তাদের গবেষণার ফল উপস্থাপন করেছেন।
এই গবেষক দল বলছেন, তারা প্রায় ৬৬৩ ব্যক্তিকে প্রথম ডোজ অক্সফোর্ড-অ্যাস্ট্রাজেনেকা দেওয়ার পর দ্বিতীয় ডোজ ফাইজার-বায়োএনটেক ভ্যাকসিন দিয়েছেন। তাদের শরীরে ইমিউনিটি কয়েকগুণ বেড়েছে, যা একই কোম্পানির প্রথম ও দ্বিতীয় ডোজ গ্রহণকারীদের শরীরে পাওয়া যায়নি।
গবেষণায় বলা হয়, আশ্চর্যজনক হলেও সত্য, প্রথম ডোজ নেওয়ার আট সপ্তাহ পর দ্বিতীয় ডোজের মিশ্রণে শরীরে অ্যান্টিবডি উল্লেখযোগ্য হারে বাড়িয়ে তুলেছে। এই ভ্যাকসিনে মিশ্রণের ফলে গ্রহীতার দেহে অতিরিক্ত কোনো পার্শ্বপ্রতিক্রিয়াও তৈরি হয়নি। গবেষণার এই ফল বিজ্ঞান সাময়িকীতে এখনও না হলেও নেচার ও অন্যন্য আউটলেটগুলো বিশেষ গুরুত্ব দিয়ে প্রতিবেদনও করেছে।
ভারতে এখন কোন ভ্যাকসিনের সঙ্গে কোনটি মিশ্রণ করলে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি পাবে তা নিয়ে বিস্তর গবেষণা চলছে।
দেশটিতে এরই মধ্যে করোনা শনাক্ত হয়েছে ৩ কোটির অধিক। আর মৃত্যু হয়েছে প্রায় ৪ লাখ।