যুক্তরাজ্যের চলমান লকডাউন ২১ জুন তুলে নেওয়ার পরিকল্পনা থাকলেও আরও চার সপ্তাহ বহাল থাকবে বলে সিদ্ধান্ত নেওয়া হচ্ছে। দেশটির সিনিয়র মন্ত্রীরা লকডাউনের মেয়াদ আরও বাড়ানোর ব্যাপারে মত দিয়েছেন।
ধারণা করা হচ্ছে, প্রধানমন্ত্রী বরিস জনসন সংবাদ সম্মেলনে লকডাউন বাড়ানোর বিষয়টি আনুষ্ঠানিকভাবে জানাবেন। এ ব্যাপারে রোববার প্রধানমন্ত্রী বলেছিলেন, সবকিছু খুলে দেওয়ার সিদ্ধান্ত এখনও হয়নি।
অন্যদিকে লকডাউন বাড়লে নাইটক্লাবগুলো বন্ধই থাকবে এবং নাগরিকরা বাড়ি থেকে অফিস করবেন।
স্বাস্থ্য সংশ্লিষ্টরা মনে করছেন, লকডাউন বাড়ানো হলে চলমান ভ্যাকসিন কর্মসূচিতে বড় সাফল্য পাবে ব্রিটেন। সে কারণে ব্রিটিশ মেডিকেল অ্যাসোসিয়েশনও লকডাউন বাড়ানোর ব্যাপারে জনস্বাস্থ্যবিদদের সঙ্গে সহমত পোষণ করেছেন।
সাবেক কেবিনেট মিনিস্টার ডামিয়ান গ্রিন বলেন, লকডাউন দেরিতে তুলে নেওয়ার বিষয়টি পর্যালোচনা করা যেতে পারে। যদি আরও এক মাস লকডাউন বাড়ানো হয় এবং দুই বা তিন সপ্তাহ পর যদি দেখা যায় লোকজন গুরুতর অসুস্থ হয়ে হাসপাতালে যাচ্ছে না। সেক্ষেত্রে আগে লকডাউন তুলে নেওয়া যেতে পারে।
এর আগে, রোববার ব্রিটিশ পররাষ্ট্রমন্ত্রী ডমিনিক রাব বলেন, বিধিনিষেধ নিয়ে সরকার ছেলেখেলা করতে চায় না। লকডাউন তুলে নেওয়ার সিদ্ধান্ত নির্ভর করবে সংক্রমণ এবং হাসপাতালে রোগী ভর্তির পরিসংখ্যানের ওপর।
সম্প্রতি করোনাভাইরাস সংক্রমণের ঊর্ধ্বগতি এবং ডেল্টা ভ্যারিয়েন্টের দ্রুত সংক্রমণ হার নতুন করে ভাবাচ্ছে ব্রিটিশ প্রশাসনকে। সে কারণেই লকডাউন বাড়ানোর এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হচ্ছে।