সরকারের সমালোচনা করার আগে বিএনপিকে বিশ্ব গণমাধ্যমে দেশের উন্নয়নচিত্রের দিকে তাকাতে বলেছেন তথ্য ও সম্প্রচারমন্ত্রী এবং আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ড. হাছান মাহমুদ।
মঙ্গলবার দুপুরে রাজধানীতে জাতীয় প্রেস ক্লাবে দেশে সংবাদপত্রজগতের পথিকৃত তফাজ্জল হোসেন মানিক মিয়ার ৫২তম মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষে ‘স্বাধীন সংবাদপত্র পাঠক সমিতি, বাংলাদেশ’ আয়োজিত এক আলোচনা সভায় সমসাময়িক প্রসঙ্গে তিনি একথা বলেন।
বিশ্বখ্যাত ব্লুমবার্গ পত্রিকায় সদ্যপ্রকাশিত নিবন্ধ ‘দক্ষিণ এশিয়ার উচিত তাদের ব্যতিক্রমী তারকাটির দিকে নজর দেওয়া’ (সাউথ এশিয়া শুড পে অ্যাটেনশন টু ইটস স্ট্যান্ডআউট স্টার) উদ্ধৃত করে তথ্যমন্ত্রী বলেন, এই স্টার হচ্ছে বাংলাদেশ। নিবন্ধে প্রত্রিকাটি লিখেছে, ভারত ও পাকিস্তানের উচিত তাদের একসময়কার স্বল্পোন্নত প্রতিবেশি বাংলাদেশের কাছ থেকে দ্রুত উন্নয়নের মন্ত্র শেখা। ১৯৭১ সালে পাকিস্তান বাংলাদেশের চেয়ে ৭০% বেশি ধনী ছিল, আর এখন বাংলাদেশ তাদের চেয়ে ৪৫% বেশি ধনী। আর বাংলাদেশের মন্ত্রিপরিষদ সচিব ক’দিন আগে জানিয়েছেন, সে দেশের মাথাপিছু আয় ভারতকে ছাড়িয়ে এখন ২ হাজার ২২৭ ডলার।
অর্থাৎ স্বাধীনতার ৫০ বছর পর আজকে বাংলাদেশ সব সূচকে পাকিস্তানকে এবং অনেক ক্ষেত্রে ভারতকেও ছাড়িয়ে গেছে উল্লেখ করে ড. হাছান বলেন, দুখের বিষয়, এই উন্নয়ন-অগ্রগতি অনেকে দেখেও দেখে না, বুঝেও বোঝে না। তাদের রাজনীতিটা শুধু খালেদা জিয়ার স্বাস্থের মধ্যে আটকে আছে। দেশের মানুষের স্বাস্থ্য কিংবা উন্নয়ন অগ্রগতি নিয়ে তারা কোনোভাবেই চিন্তিত বলে মনে হয় না। মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর সাহেবসহ বিএনপিকে অনুরোধ জানাব, বহু শিক্ষিত লোক তাদের দলে আছে, তারা যেন সমালোচনা করার আগে ব্লুমবার্গের আজকের আর্টিকেলটিসহ বিশ্ব গণমাধ্যমে বাংলাদেশের উন্নয়নচিত্র দেখে নেয়।
জাতির মনন তৈরিতে গণমাধ্যমের ভূমিকাকে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ বর্ণনা করে তথ্যমন্ত্রী বলেন, গণমাধ্যম সমাজকে যেমন সঠিকখাতে প্রবাহিত করতে পারে, তেমনি চেষ্টা করলে ভিন্নখাতেও প্রবাহিত করতে পারে। বহু সংগ্রামের পথ ধরে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধুর নেতৃত্বে বাংলাদেশ রচনার পথে সংবাদপত্রজগতের পথিকৃত তফাজ্জল হোসেন মানিক মিয়াসহ নিবেদিতপ্রাণ বহু মানুষের অবদান চিরোজ্জ্বল। তফাজ্জল হোসেন মানিক মিয়া ব্যক্তি বা ব্যবসায়িক স্বার্থরক্ষার জন্য সংবাদমাধ্যমকে ব্যবহার করেননি, তার কাছ থেকে অনেক কিছু শেখার আছে।